'মাদকের কোন স্পট আছে এটা শুনতে চাই না'
ফেনীর নবাগত পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, প্রত্যেক অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু মাদক। এটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। বড় বিক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানো যায় না। তবে সরবরাহকারীকে ধরতে পারলে বিক্রি ও সেবন কমে যাবে। কোন পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মাদকের কোন স্পট থাকবে এটা শুনতে চাই না। মাদকের স্পট রাখতে চাই না। মাদক স্পট থাকলে সেখানে ওসি থাকার দরকার নেই। ইভটিজিং-মাদক একটি সামাজিক ব্যধি। এটি পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বিত চেষ্টায় সমাজ থেকে উৎখাত করতে হবে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ জানান পুলিশ। আশা করছি আপনারা একটা ভালো ফলাফল পাবেন।
মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে সৌজন্য সাক্ষাতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাদিয়া ফারজানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশিং সেবা সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে জেলা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে কেউ হয়রানী হবে না। হয়রানী বরদাশত করা হবে না। হয়রানীর বিষয়ে কোন অফিসার জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগনের প্রাপ্য সেবা দেয়ার যেই দায়িত্ব রয়েছে আইনের মধ্যে যেটুকু সম্ভব জনগন সেবা পাবে।
জাকির হাসান বলেন, পুলিশ আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রত্যেকটি কাজ আইন দিয়ে বিচার করতে হবে। একসময় ছেলেদের লম্বা চুল কেটে দেয়া হতো। সন্ধ্যার পর স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের বাইরে ঘোরাফেরা এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
এএজেড