জাওয়াদের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বোরো’র বীজতলা, দুশ্চিন্তায় কৃষক
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অতিবৃষ্টির ফলে ডুবে গেছে বোরো ধানের বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে বীজতলায় গজানো চারা। এ সুযোগে বীজের দ্বিগুন দাম হাঁকাচ্ছে বীজ বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে বোরো ধানের আবাদ নিয়ে এবার দুশ্চিন্তায় চুয়াডাঙ্গার চাষিরা।
চুয়াডাঙ্গার জয়নগরের চাষি মজিদ আলী। বোরো ধান চাষের জন্য আগাম বীজতলা করেছিলেন বেশ যত্ন করে। বাপ-দাদার আমল থেকে বোরো ধানের আবাদী মজিদ আলী জানতেন, চারা ভালো হলে ধানও ভালো হবে। কিন্ত বিধি বাম। অসময়ে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড়। এখন দুশ্চিন্তায় মজিদ আলী।
তার মতো এলাকার অন্য চাষিরাও বিপাকে পড়েছেন বোরো আবাদ নিয়ে। শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি বের করে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। কেউ বা আবার নতুন করে বীজতলা তৈরির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বেড়ে গেছে বীজের দাম। ৪শ টাকার ধানের বীজ এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকায়। এই অবস্থায় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।
বীজতলা রক্ষায় চাষিদের পরামর্শ দিয়ে নতুন করে বীজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুল মাজেদ। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করেছে কৃষি বিভাগ। পাশাপাশি বীজতলায় জমে থাকা পানি শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চাষিদের বলা হচ্ছে এসএমইদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে। সেই সঙ্গে প্রতি এলাকায় কৃষি বিভাগের এসএমই যারা আছেন, তাদের বলা হচ্ছে-এই দুর্যোগের মুহূর্তে যেন বীজের দাম বেশি না নেয়। সরকারি দামেই যেন বীজ ব্রিক্রি করা হয়।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর জেলায় বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯শ ৪০ হেক্টর জমিতে। এ জন্য এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরি হয়েছিল ১৯৬ হেক্টর। এর মধ্যে বৃষ্টির পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে ১৬৭ হেক্টর জমির বীজতলা।
/এএন