রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রকাশ্যে বৃদ্ধার ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট

রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রকাশ্যে বৃদ্ধার ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক অসহায় বৃদ্ধার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (গতকাল) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় একটি মসজিদে ঘোষণা দেওয়া হয়। যে, তারা নাকি জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছেন।
মসজিদের মাইকে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোকসেদুল ইসলাম মুকুল বলেন, "আমি রাতেই খবর পেয়ে জনগণকে বলেছি, ইউএনও অফিস যেতে, আইন হাতে না নিতে। কিন্তু জনগণ সে কথা শোনেনি।"
এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন রাস্তাটি এমন ছিল কিন্তু হঠাৎই এক পক্ষের প্ররোচনায় সার্ভেয়ার এনে রেকর্ড বের করে বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মৃত আব্দুল বারীর বিধবা স্ত্রী সাজেদা বেগম এবং তাঁর তিন ছেলে মিলন, খোকন ও লিটনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে শোয়ার ঘরটি ভেঙে ফেলে। এ সময় নগদ অর্থ, ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
বৃদ্ধা সাজেদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যদি রাস্তার জমিতে ঘর করে থাকি, তাহলে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে নোটিশের মাধ্যমে জানাতে পারতো। কোনো কিছু না জানিয়েই আমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো। এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও রইল না।
অন্যদিকে, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছেন, জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় ওই জায়গায় নির্মিত ঘরবাড়ি স্থানীয় লোকজন নিজেরাই ভেঙে ফেলেছে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
