ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বাংলাদেশি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
নিহত মোহনা মন্ডল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক বাংলাদেশি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোহনা মন্ডল নামের ওই তরুণী ভাদোদরার এম এস ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ভদোদরার রাওপুরা এলাকায় নর্মদা অ্যাপার্টমেন্টে একাই থাকতেন ওই শিক্ষার্থী।
তবে দেশটির পুলিশ দাবি করেছে, তিনি স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার আত্মহত্যা করেছেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মঙ্গলবারই ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম দিনের পরীক্ষা ছিল কিন্তু পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন মোহনা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মোহনার মোবাইলে ফোন করলেও সহপাঠীরা বা তার পরিবার কোনো উত্তর পায়নি।
পুলিশ জানিয়েছেন, আত্মহত্যার কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন মোহনা মন্ডল।
ওই নোটে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কেও স্পষ্ট করে সুইসাইড নোটে উল্লেখ নেই। মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার অশোক রাথাভা বলেছেন, ‘এমএস ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত এক বাংলাদেশি নাগরিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের দল ঘটনাস্থলে যায়।এ ঘটনায় রাওপুরা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তার সুইসাইড নোটটি প্রাথমিকভাবে তার হাতের লেখা বলে মনে হচ্ছে এবং সে উল্লেখ করেছেন, তার সিদ্ধান্তের জন্য কেউ দায়ী নন।’
মোহনা মন্ডলের এক বন্ধু বলেছেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯০% নাম্বার নিয়ে পাস করেছিল মোহনা। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এম এস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হন। প্রথমে সকলের সঙ্গে হোস্টেলে থাকলেও পরে রাওপুরায় নর্মদা আপ্যার্টমেন্টে একা থাকতে শুরু করেন।
তার এক বন্ধুর কাছে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিল কিন্তু মোহনা সেটা নিতে আসেনি। পরীক্ষার পরে ওই বন্ধু মোহনার সঙ্গে যোগাযোগর চেষ্টা করলেও তাকে পায়নি। গভীর রাতে মহোনার বাবা-মা তার কিছু বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তার বন্ধুরা ফ্ল্যাটে পৌঁছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়...’
যদিও মোহনা সুইসাইড নোটে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি, তবে তার বন্ধুরা পুলিশকে বলেছে, ‘পড়াশোনা নিয়ে মোহনা চাপে ছিলেন এবং বিষয়টি নিয়ে মোহনা চিন্তিত ছিল। তিনি আগের দিনের ফার্মাসি অনুষদের প্রথম পরীক্ষাও মিস করেছিলেন।’