নিউ ইয়র্কে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউ ইয়র্ক।
স্থানীয় সময় সোমবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অংশগ্রহণে 'মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনাঃ অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা' প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে দিবসটি পালন করা হয়।
কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পিকার ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি স্পিকারের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গমাতার বহুমাত্রিক অবদান তুলে ধরে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার জন্ম না হলে হয়ত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী বঙ্গমাতা বাঙালীর সুদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্লোভ ও শাশ্বত বাঙালি নারী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা সকল নারীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
বঙ্গমাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১-এর সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আরএ/