ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু
শহরের উপকণ্ঠে কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে পবিত্র কোরআন তেলায়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার বেলা ১১টায় ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি।
শনিবারের (১২ নভেম্বর) গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইয়ূম।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নেতা-কর্মীদের ঢল। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
বিএনপি ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশটি করার জন্য শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুমতি চেয়েছিল।কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ফরিদপুর প্রশাসন।
ফরিদপুরে সমাবেশের ২ থেকে ৩ দিন পূর্বেই পাঁচটি জেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নেন। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তারা এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে চিড়া-মুড়ি, কলা নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। মাঠের মধ্যে তাঁবু টাঙিয়ে রাতযাপন করেন হাজারো নেতা-কর্মী। অনেকে সঙ্গে করে চাদর, কাঁথা, বিছানা নিয়ে এসেছেন। এ ছাড়া. স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে, বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীরা।
প্রসঙ্গত গত ১৪ বছরে বৃহত্তর ফরিদপুরের একটি আসনেও জেতেনি বিএনপি। ২০০৮ ও ২০১৮ সালে এ অঞ্চলের পাঁচ জেলার ১৫টি আসনেই বিপুল ভোটে হেরেছে তারা। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী বিএনপি বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৬টি আসনের (একটি আসন বিলুপ্ত) মাত্র একটি পেয়েছিল।
২০০১ সালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আওয়ামী লীগের ঘাঁটিখ্যাত ফরিদপুর অঞ্চলে পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন বাদে কখনোই গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুরে জয়ের মুখ দেখেনি ধানের শীষ।
এমএইট/এমএমএ/