তলে তলে আওয়ামী লীগ ডোনাল্ড লু'র হাত-পা ধরছে: রিজভী
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
বৈঠকে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর হাত-পা ধরার পর বাইরে এসে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-উপদেষ্টারা ভিন্ন কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে উপজেলা নির্বাচন বর্জনে লিফলেট বিতরণের সময় এই দাবি করেন তিনি।।
রিজভী বলেন, ‘কঠিন সংকটের মধ্যে দিন পার করছি। কথা বলা ও চলাচলের স্বাধীনতা নেই। আমরা সভা-সমাবেশ করতে পারি না। দেশের আর্থিক অবস্থা চরম সংকটাপন্ন। ন্যাশনাল রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৩ মিলিয়ন ডলারে। প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার মতো টাকা আমাদের নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে বিএনপির নাকি গোপন সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তো যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনির নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু আপনারা কী করছেন? ইসরাইলের প্লেন বাংলাদেশে নেমে কী দিয়ে গেছে সরকারকে, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে সরানোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘মানুষের আমানত যেখানে থাকে, সেই বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। সেটা যাতে জানতে না পারে, এজন্য সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে বোঝা যাচ্ছে কী লুটপাট হয়েছে। মূলত এসব ঢাকতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেররা বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
ডোনাল্ড লুর বৈঠক নিয়ে রিজভী বলেন, ‘দেখলাম সরকারের এক উপদেষ্টার বাসায় বৈঠক করলেন। ভেতরে এই সরকারের লোকজন গোপনে গোপনে তার হাত-পা ধরলেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। আবার জানতে পারলাম দেশে ব্যবসা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানি গুলোর দেনা পরিশোধের জন্য চাপ দিয়েছেন লু। আসলে ক্ষমতাসীনরা মুখে এক বলে, আর ভেতরে করে আরেক।’
‘এই সরকার জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখে দেশ শাসন করছে। যতদিন তারা থাকবে দেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই,’ যোগ করেন যুগ্ম মহাসচিব।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রিজভী বলেন, ‘এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, মামু-খালু আর স্ত্রী-শ্যালকদের নিয়ে হচ্ছে। তাই জনগণ ভোট দিতে যায় না। প্রথম ধাপের নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে যায়নি। এবারও কেউ যাবে না বলে আশাবাদী।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকূল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডাঃ জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুর রহমান, সাদরেজ জামান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক হাসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, তিতুমীরের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারি, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান-সহ নেতৃবৃন্দ।