মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)

দায়িত্ব ও সেবায় রাস্তায় দাঁড়িয়েই তাদের ইফতার। ছবি:ঢাকাপ্রকাশ

রোজা রেখে দিনভর প্রচণ্ড রোদে রাজধানীর পথে পথে দায়িত্ব পালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ইফতারের পর্ব সেরে নিতে হয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই। একই সঙ্গে চলে যানবাহনের চাপ ও গতি সামলানোর গুরুদায়িত্ব।

নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারেন, সেজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় তাদের। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতারি করার সুযোগ হয়ে ওঠে না তাদের।

নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সড়কেই ইফতারি সেরে নিতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। রাস্তায় যানবাহনের চাপ সামলানোর কারণে কয়েক মিনিট বসার সুযোগও মেলে না। তাই দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের করতে হয় ইফতারি।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ইফতারের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

ট্রাফিক সদস্যরা জানান, সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে ঘরে গিয়ে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সব সময় কাজ করতে হয়। ইফতারের আগ মুহূর্তে অনেক সময় পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আজান দেওয়ার পর ইফতারি সেরে নিই। কারণ আমাদের কাছে দায়িত্বটা অনেক বড় বিষয়।

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বিদ্যুত হোসেন বলেন, নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ইফতারি করতে পারেন সেজন্য আমাদের কর্তব্য বেড়ে যায়।  ইফতারের সময় আমরা রাস্তা ভাগ করে নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় সবাইকে দাঁড়িয়েই ইফতারি করতে হয়। কিছু কিছু সময় ট্রাফিক সদস্যদের পুলিশ বক্সে পাঠিয়ে দিয়ে আমিসহ দু-একজন রাস্তায় দাঁড়িয়েই ইফতারি করি।

প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতারি করেন, খারাপ লাগে কি? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেবা করাই আমাদের লক্ষ্যে। মানুষের সেবাটা আগে দেখতে হয়। তবে কিছু কিছু সময় পরিবার থেকে যখন ফোন করে জানতে চায়, তখন মন খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক।

জানা গেছে, সরকারিভাবে ইফতারে তাদের একেক জনের জন্য একটি বেগুনি, একটি পেঁয়াজু, খেজুর সঙ্গে কিছু ছোলা আর মুড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। অবশ্য নিজেদের উদ্যোগে আরও বেশ কয়েকটি ইফতারির আইটেম যুক্ত করে থাকেন তারা। কারওয়ানবাজার ট্রাফিক বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাফিক সদস্য জানান, ডিএমপি থেকে মাথাপিছু ১টি করে ইফতারের প্যাকেট বুঝিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক বক্সের কর্মকর্তাদের কাছে। 

আর এভাবেই নগরবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাসায় বা গন্তব্যে পৌঁছে স্বজন-পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে সেজন্য তাদের এমন নিরলস প্রচেষ্ঠা আমাদের কাছে সহমর্মিতার বার্তা দেয়।

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারা চান না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে যারা অন্যায়ের জন্য দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

গত ১৭ মার্চ দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নতুন দলের চ্যালেঞ্জ, নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন।

আন্দোলন থেকে সরকারে এবং তারপর রাজনীতিতে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “একটি সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময় ছিল। সময়ের দাবিতেই পদত্যাগ করে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরেছি। এখন আমি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা গঠন করতে চাই।”

নাহিদ ইসলাম জানান, তার দল এনসিপি একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল, যা তরুণ ও সকল সামাজিক শ্রেণির মানুষের জন্য একটি নতুন কণ্ঠস্বর তৈরি করতে চায়। ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি থেকে যারা বাদ পড়েছে, তাদের জন্যও এনসিপি কাজ করতে চায়।

জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ ভিন্ন দল। তাদের আদর্শিক অবস্থান ভিন্ন এবং উগ্রবাদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু দাবি মিল থাকতে পারে, যেমন সাংবিধানিক সংস্কার ও গণপরিষদ গঠনের পক্ষে থাকা, তবে আদর্শগতভাবে তারা ভিন্ন পথে চলছে।

নির্বাচন বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপির তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নির্বাচন নয়। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো আগের শাসনামলের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা, দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং একটি গণপরিষদ গঠন করা। বর্তমানে তারা নির্বাচনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেননি।

Header Ad
Header Ad

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারগিস খানম। কেজি দরে ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সম্প্রতি গাজীপুর শহরে ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রির ঘটনা ব্যাপক আলোচনা ও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল না হারাম—এ নিয়ে চলছে বিতর্ক ও মতবিরোধ। অভিযোগ উঠেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমদামে ঘোড়ার মাংস কিনে তা গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরে বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়। প্রথমদিকে কেবল একটি ঘোড়া জবাই করা হলেও পরবর্তীতে প্রতি সপ্তাহে ৬-৭টি ঘোড়া জবাই করা হতে থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রির বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ধরনের কার্যক্রম রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ঘোড়ার মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সাধারণ মানুষকে এ ধরনের মাংস কেনা ও খাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সতর্কবার্তা জারি করেছে।

Header Ad
Header Ad

ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় আটক ১৫ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটার হিসেবে ভুয়া টুর্নামেন্টের কাগজপত্র দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল।

মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল ও প্রটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) জানিয়েছে, আটককৃতরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্রিকেটের জার্সি পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। তারা একটি ভুয়া কাগজপত্র উপস্থাপন করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে তারা পেনাং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই টুর্নামেন্টটি হবে ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।

তবে বর্ডার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখতে পান, ওই কাগজপত্রটি ভুয়া এবং উল্লেখিত সময়ে কোনো ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন নেই।

এজেন্সির কর্মকর্তারা জানান, এই কথিত ক্রিকেটাররা এক ব্যক্তিকে তাদের স্পন্সর হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ওই স্পন্সর জানান যে তিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং তিনি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

বিস্তারিত তদন্তের পর স্পষ্ট হয় যে এই বাংলাদেশিরা আসলে ক্রিকেটার নন। তারা একটি সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে ক্রিকেটার সেজে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। পরবর্তীতে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

বর্ডার কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী খেলোয়াড় ভিসার অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় আটক ১৫ বাংলাদেশি
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব
গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা
ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই: মাসুদ সাঈদী
সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০
১৫ দিনের মধ্যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পাকিস্তানের কল সেন্টারে জনতার তাণ্ডব, শত শত ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক পণ্য লুট!
নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে দাঁড়িয়েই ট্রাফিক পুলিশদের ইফতারি (ভিডিও)
যমুনা রেলসেতুতে দুর্নীতি হলে খতিয়ে দেখা হবে: রেলপথ সচিব
এবার খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ খান, থাকছেন আল্লু অর্জুন!
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৬
আপনি কি পরিবারের বড় সন্তান? আপনাকে অভিনন্দন!
টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ