জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠকটি হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। ঈদের আগে ২৪ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলবে। সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে আরও দুটি দলের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এদিন জাতীয় গণফ্রন্ট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) তাদের মতামত জমা দেয়। এছাড়া বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জমা দেবে বলে কমিশন জানিয়েছে।
মতামত জমা দেওয়া বাকি ১৩টি দল হলো—লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), আমজনতার দল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং নাগরিক ঐক্য।
গত বছর সরকার সংবিধান, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি, পুলিশ এবং নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচটি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত জমা দেয়। এরপর সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
পুলিশ সংস্কার বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত সংগ্রহের জন্য ১৬৬টি প্রশ্ন স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এই মতামত জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৩ মার্চ।
সংলাপের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাবনাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
