শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ নিবন্ধ

বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানের কৃতিত্ব ভারতের

আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনে প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল একটি দেশ এবং সেটি ভারত। স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার চেষ্টা করে আসছিল যেন বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এটি শুধু ভারত না, ইউরোপের আরও বিভিন্ন দেশে আমরা চেষ্টা করে গেছি। তখন যে ডিপ্লোম্যাটিক একনলেজমেন্ট সৃষ্টি হয়েছিল, এতে সবাই চেষ্টা করছিল। তখন প্রথম স্বীকৃতিটি এল ভারতের কাছ থেকে। এর আগে যে স্বীকৃতি আসেনি, সেটিও অস্বাভাবিক ছিল না। কারণ–প্রথমদিকে যুদ্ধ এমন পর্যায়ে ছিল যে, পাকিস্তানি বাহিনী পুরো দেশ দখল করে নিয়েছিল।

তারপর জুলাইয়ের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে, অর্থাৎ প্রতিআক্রমণ জুলাইয়ের পর থেকেই শুরু হয়। আগস্ট সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়েছে। মোটামুটি অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে বিশেষ করে আগস্টে যখন ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী চুক্তি হলো, এরপর বিষয়টি একটা ডেফিনিট দিকে এগুতে থাকল যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা একটা সময়ের ব্যাপার। ভারত তখন অনেকটাই নিরাপদ বোধ করছে। তার আগে পর্যন্ত ভারতের একধরনের একটা অনিরাপত্তাবোধ ছিল যে, চীন হয়তো সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং আমেরিকার সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্কটি ছিল, সেটিও অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেছে। কাজেই তখন তাদের কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছিল। তবে ভারত মৈত্রী চুক্তির পর একটি নিশ্চয়তা এল ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে এবং ভারত তখন একনিষ্ঠভাবে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করে। তখন তাদের মধ্যে কোনো একসময় সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করা যাবে, এই বোধটা সৃষ্টি হয়েছিল।

যুদ্ধ তো শুরু হলো ৩ তারিখে। তার পরপরই যেহেতু জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভীত ছিল যুদ্ধবন্ধের বিরুদ্ধে, আমেরিকাও চেষ্টা করেছিল যুদ্ধ বন্ধ করে একটা সমাধানে যাওয়ার। আমরা জানি, পরপর তিনটি ভেটো দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, কাজেই তখন নিশ্চিতভাবেই ভারত এবং মুক্তিবাহিনীর সম্মিলিত যে শক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পাকিস্তান বাহিনীকে পশ্চাদপসরণ করছে। স্বাধীনতা তখন মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে–পাকিস্তানের পরাজয় অবধারিত। সম্মিলিতবাহিনী, অর্থাৎ মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনী জয়ী হবেই।

এখানে একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এখানে মুক্তিবাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয়রা কিন্তু আশা করেনি যে, এত তাড়াতাড়ি তারা এগুতে পারবে। এটির কারণ মুক্তিবাহিনী;ভীষণভাবে দুর্বল করে ফেলেছিল পাকিস্তানি বাহিনীকে বিভিন্নভাবে তাদের গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে। সেটির কারণেই খুব তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ শেষ করা গেছে।

যুদ্ধটা শেষ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পাকিস্তানের পক্ষে বেশ লোকজন ছিল, যারা চাচ্ছিল এটি কোনোভাবে ঠেকানো যায় কি-না! কিন্তু সম্মিলিতবাহিনী অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়েছে–মাত্র ১৩দিনের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে বিরুদ্ধ শক্তিকে পরাজিত করে ফেলা, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তখন নিশ্চিত যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই। তারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে দিল। এতে করে অন্যান্য বিষয়ে স্বীকৃতি দানের বিষয়টি উন্মুক্ত হলো।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করল এবং বাংলাদেশ সরকার সর্বময় সরকার গঠনের প্রস্তুতি গ্রহণ করল। তখন অন্যান্য দেশের জন্য অনেক সহজ ছিল স্বীকৃতি দেওয়া। কারণ আমাদের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্ক না রাখার তো কোনো কারণ ছিল না। ধীরে ধীরে সব দেশই স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে প্রথম স্বীকৃতি নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক বিবেচনায় আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে।

লেখক: সাবেক পররাষ্ট্র সচিব
অনুলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

এসএ/

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে আয়োজিত গণমিছিল থেকে নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করেই পরবর্তী নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।”

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে জুমার নামাজের পর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

সমাবেশে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করেছিল, বাকশাল কায়েম করে রাষ্ট্রকে বিপর্যস্ত করেছিল এবং জুলাই আন্দোলনে যাদের হাতে নিরীহ ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। আমরা বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা দেখতে পাচ্ছি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই— পতিত স্বৈরাচারীদের বিচার নিশ্চিত করেই আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল এই দাবির পক্ষে সোচ্চার না থেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও দখলদারিতে লিপ্ত হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সমাবেশে ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ রাজপথ ছাড়বে না। আমরা আশা করেছিলাম, অচিরেই তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হবে, কিন্তু এখনো তা হয়নি। বরং ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলমসহ ঢাকা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিচার এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরের ব্যানারে একযোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

পোস্টে সারজিসকে অভিনন্দন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ লেখেন, "নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সারজিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।"

পোস্টের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন সারজিস আলম। তার পাশে রয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সারজিস আলমের এই নতুন যাত্রায় শুভ কামনা জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার

আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে নাগরপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজুকে (৪১) গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবারিয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে নাগরপুর থানা পুলিশ।

সজিবুল হুদা ওরফে সিজু উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি তেবারিয়া গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফা (গোলাম মাস্টারের) ছেলে।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই সকালে নাগরপুর বাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে একদল সন্ত্রাসী ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনায় দপ্তিয়র ইউনিয়নের ছাত্র তাইজুল ইসলাম নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ইয়াবা ব্যাবসা, নারী ও শিশু অপহরণ এবং হত্যার চেষ্টাসহ কমপক্ষে ৮টি মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের দায়েরকৃত মামলায় সাজিবুল হুদা সিজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। সিজুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ছাত্রশিবির সেক্রেটারি
বিয়ে করলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা সজিবুল হুদা সিজু গ্রেফতার
বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের
বিশ্ব ইজতেমায় ৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন
ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাই হাসপাতালে ভর্তি
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ