বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রদল।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বাকৃবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তুষার এবং ছাত্রদল নেতা শাহীন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জাহিদুল ইসলাম পারভেজের ওপর চালানো হামলা পূর্বপরিকল্পিত। একটি তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রক্টরের মধ্যস্থতায় মীমাংসা হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
তরিকুল ইসলাম তুষার বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদলের কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমকে দমন করার জন্য ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে কিছু সন্ত্রাসী দল গঠন করে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। এরা ছাত্রলীগের স্টাইলের সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শুধু ক্যাম্পাসে নয়, ক্যাম্পাসের বাইরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, বাধা দেয়া হচ্ছে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে। আবরার ফাহাদের হত্যার পর এমন নজিরবিহীন ছাত্র হত্যা আর ঘটেনি।”
ছাত্রলীগ ঢুকে গেছে বৈষম্যবিরোধী সংগঠনে বলে দাবি করেন বক্তারা। তারা জানান, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে যারা সংগঠিত হচ্ছেন, তারা নিজেরাই ঘাতকদের রক্ষা করছে। সেই সংগঠনের অভ্যন্তরে এখন ছাত্রলীগের প্রভাব প্রবেশ করেছে। তাই তারা পারভেজ হত্যার দায় এড়িয়ে যেতে মরিয়া।”
বাকৃবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অবিলম্বে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
