শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শক্তিপীঠ ট্যুরিজম সার্কিট

বিশ্বজনসংখ্যা রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭৭১.৫০ কোটি। এর মধ্যে সনাতন হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। শক্তিপীঠ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাপবিত্র ঐতিহ্যস্থান। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ছড়িয়ে আছে এই ৫১টি শক্তিপীঠ। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, এই সকল শক্তিপীঠ দর্শন মহাপূণ্যের কাজ। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে রয়েছে ৬টি শক্তিপীঠ। পর্যটনস্থান হিসেবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম, বিধায় এই দেশে সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা যায় একটি শক্তিপীঠ ট্যুরিজম সার্কিট। এই সার্কিট একটি বিপুল সংখ্যক মানুষকে ধর্মীয় পর্যটনে আকৃষ্ট করা যেতে পারে। এটি ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো থেকে অর্থনীতি পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।

পর্যটনে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা শেষ পর্যন্ত মানব উন্নয়নে অবদান রাখে। ধর্মীয় আকর্ষণ সাংস্কৃতিক উপাদান এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় পর্যটন এলাকা তীর্থস্থানের চেয়ে পর্যটনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হিসেবে অধিক বলে বিবেচিত হয়। তীর্থযাত্রার একটি বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক মূল্য রয়েছে, যা ধর্মীয় তাৎপর্যের সঙ্গে জড়িত। ধর্মীয় পর্যটনে পর্যটকদের কেবল একটি নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসকেই নির্দেশ করে না। সংস্কৃতির ধারণাটি ধর্মীয় পর্যটনকে মৌলিক প্রেরণার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করে। ধর্ম, সংস্কৃতির একটি অংশ হিসেবে, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণে অবদান রাখতে পারে।

সত্যপুরাণ
সত্য যুগের কোনো এক সময়ে মহাদেবের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি এক যজ্ঞের আয়োজন করেন। কন্যা সতী দেবী তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যোগী মহাদেবকে বিবাহ করায় দক্ষ ক্ষুব্ধ ছিলেন। দক্ষ মহাদেব ও সতী দেবী ছাড়া প্রায় সকল দেব-দেবীকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। মহাদেবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সতী দেবী মহাদেবের অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।

কিন্তু সতী দেবী আমন্ত্রিত অতিথি না হওয়ায় তাকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। অধিকন্তু দক্ষ মহাদেবকে অপমান করেন। সতী দেবী তার স্বামীর প্রতি পিতার এ অপমান সহ্য করতে না পেরে যোগবলে আত্মাহুতি দেন। শোকাহত মহাদেব রাগান্বিত হয়ে দক্ষর যজ্ঞ ভণ্ডুল করেন এবং সতী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। অন্যান্য দেবতা অনুরোধ করে এই নৃত্য থামাতে। তবে বিষ্ণুদেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ৫১ (একান্ন)টি খণ্ডে ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখণ্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান বা শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়।

ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ছড়িয়ে আছে এই ৫১টি দেহখণ্ড। তন্মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৬টি। এরা হলো সুগন্ধা, চন্দ্রনাথ, জয়ন্তীয়া, শ্রীশৈল, ভবানী ও যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ। এই শক্তিপীগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখযোগ্য হিন্দু মন্দির।

সুগন্ধা শক্তিপীঠ
বরিশাল জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গৌরনদী উপজেলার শিকারপুরে সন্ধ্যা নদীর তীরে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী সতীর নাসিকা এই স্থানে পতিত হয়। এখানে তিনি পূজিত হন দেবী সুগন্ধা রূপে এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ ত্র্যম্বক নামে।

চন্দ্রনাথ শক্তিপীঠ
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় চন্দ্রনাথ পর্বত শিখরে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী সতীর ডান হাত এই স্থানে পতিত হয়। তিনি এখানে দেবী ভবানী রূপে পূজিত হন এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ চন্দ্রশেখর নামে।

জয়ন্তীয়া শক্তিপীঠ
সিলেট জেলার জয়ন্তীয়া উপজেলায় কালাজোড় গ্রামে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী বাম জঙ্ঘা এই স্থানে পতিত হয়। এখানে তিনি পূজিত হন দেবী জয়ন্তী রূপে এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ ক্রমদীশ্বর নামে।

শ্রীশৈল শক্তিপীঠ
সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে জৈনপুর গ্রামে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী গলা এই স্থানে পতিত হয়। তিনি পূজিত হন দেবী মহালক্ষ্মী রূপে এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ সম্বরানন্দ নামে।

ভবানী শক্তিপীঠ
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে রতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী বাম পায়ের নূপুর এই স্থানে পতিত হয়। এখানে তিনি পূজিত হন দেবী অপর্ণা রূপে এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ বামন নামে।

যশোরেশ্বরী শক্তিপীঠ
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুরে অবস্থিত। শ্রী বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর দেবী দাক্ষায়ণী হাতের তালু ও পায়ের পাতা এই স্থানে পতিত হয়। এখানে তিনি পূজিত হন দেবী যশোরেশ্বরী রূপে এবং পাশে পূজিত হয় মহেশ্বর শিবের অবতার রূপ চণ্ড নামে।

ধর্মীয় পর্যটনের ক্ষেত্রে, একাধিক অনুপ্রেরণা সমানভাবে কাজ করে। ভোক্তা সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তা এবং নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। সাংস্কৃতিক চাহিদাগুলি বিনোদনের প্রয়োজনের সঙ্গে জড়িত। তাই ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং ঐতিহ্য চেতনাকে শাণিত করে। ধর্ম হলো সমাজে শান্তির বড় প্রচারকারী উপাদান। মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা অন্যের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা জানায়। শক্তিপীঠ ট্যুরিজম সার্কিট সমাজের মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি আনবে যে, ধর্ম তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির ধারক। ধর্মীয় এলাকাকে পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করা একটি চূড়ান্ত পদ্ধতি হতে পারে। ফলে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা হ্রাস পাবে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং কোনো বৈষম্য ছাড়াই সমস্ত বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের লোকেদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসারিত হবে। ধর্ম, একটি বড় মিশ্রণ হিসাবে অর্থনীতি, সামাজিক সম্প্রীতি এবং পর্যটনের মাধ্যমে মানসম্পন্ন বিশ্বের জন্য সর্বজনীনভাবে কাজ করতে পারে। এটি আর্থ-সামাজিক বাস্তুস্থানের শক্তি ঘর হবে, যা শেষ পর্যন্ত ভবিষ্যতের মানবজাতিকে সংরক্ষণ করবে। এই যাত্রা বাংলাদেশ থেকে হলে ক্ষতি কী?

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি