শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঐতিহ্য কৃষি পর্যটন

যত ধরনের পর্যটন আছে, কৃষি পর্যটন এদের মধ্যে অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন কৃষি পর্যটনে পৃথিবীর নেতৃস্থানীয় দুইটি দেশ। এ ছাড়া ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া পর্তুগাল, নেপাল, উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এমনকি ভারতও কৃষি পর্যটনে বেশ এগিয়ে গেছে। পর্যটকরা কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি সম্বন্ধে চাক্ষুষ জ্ঞান আহরণ করা ও স্থানীয় কৃষি পণ্য উপভোগ ও ক্রয় করা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চায়। অর্থাৎ কৃষি পর্যটন কৃষিকে দেখা, জানা ও উপভোগ করার সুযোগ তৈরি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, দিনাজপুরের লিচু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ইত্যাদি কৃষি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই কৃষি পর্যটন পরিচালিত হচ্ছে। একইভাবে কৃষির ঐতিহ্যসমূহ নিয়ে গড়ে উঠতে পারে আরও একটি বিশেষায়িত পর্যটন- ঐতিহ্য কৃষি পর্যটন।

ঐতিহ্য কৃষি পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটকরা গ্রামীণ কৃষির ঐতিহ্য দর্শন, সংরক্ষণ ও উক্ত অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনধারা উপলব্ধি করবে। এই জাতীয় পর্যটন গ্রামীণ সংস্কৃতির স্থায়ীত্বকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারে। ভ্রমণকারীরা আবিষ্কার করবে জীবনের নতুন গল্প ও প্রশান্তির সবুজ বাতাবরণ। তারা তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশবে, অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে এবং সর্বোপরি উক্ত কৃষি ঐতিহ্যকে ধারণ করতে শিখবে।

বাংলাদেশের ভাসমান সবজি চাষ বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী চাষপদ্ধতির স্বীকৃতি পেয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে। বিশ্ব ঐতিহ্যের এই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ইউনেস্কো, জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক তহবিল (জিইএফ) যৌথভাবে এই স্বীকৃতি দেয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ফুল চাষ, প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান চাষ, পাহাড়ে জুমচাষ এবং একসঙ্গে ধান ও মাছ চাষের পদ্ধতি বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী চাষপদ্ধতির সম্ভাব্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, কৃষি ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে চীনের ১১টি, জাপানের ৮টি, ভারতের ৩টি, দক্ষিণ কোরিয়ার ২টি এবং আলজেরিয়া, চিলি, কেনিয়া, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, ইরান ও আরব আমিরাতের একটি করে অর্থাৎ মোট ১৫টি দেশের ৩৫টি চাষ পদ্ধতি এই স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করা যায়, ১৫টি দেশ আগামীতে ঐতিহ্য কৃষি পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

পৃথিবীতে চাষাবাদের মধ্য দিয়ে সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে। তাই কৃষিকে প্রাচীনতম সংস্কৃতি বলা হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, আমাদের এই ভূখণ্ডে ধান চাষ শুরু হয় প্রায় ৪ হাজার বছর আগে। কৃষি সভ্যতার বিকাশের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় কৃষি, শিল্প ও সংস্কৃতির। এই ঐতিহ্য পর্যটনে ব্যবহৃত হতে পারে সহজেই।

দোন এ দেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রাচীন সেচযন্ত্র, যার মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের পানি সেচ দেওয়া হতো। আজ এটি বিলুপ্তপ্রায় এক কৃষি ঐতিহ্য। কৃষি জাদুঘর তৈরি করে এদের বাঁচিয়ে রেখে পর্যটকদের আদি কৃষি উপকরণের সঙ্গে পরিচিত করানো যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি কৃষি জাদুঘর রয়েছে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

ফাইল ছবি

এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যদি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকে, তাহলে ঈদের জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সভায় জানানো হয়, যদি আবহাওয়া ভাল থাকে, তবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত আয়োজন করা হবে। কিন্তু, যদি আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে, তাহলে ঈদ জামাত বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, যদি আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবে ঈদের জামাতের স্থান পরিবর্তন করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, এসএসএফ, ডিএমপি কমিশনার, আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্পারসো এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে।

কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেবে।

এছাড়া, এবার প্রধান জামাতের প্রথম কাতারটি গত বছরের তুলনায় দীর্ঘ করা হবে যাতে ভিআইপিরা প্রথম কাতারে দাঁড়াতে পারেন। ঈদগাহ মাঠে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান

সন‌্জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি সংস্কৃতির প্রখর আলো ছড়িয়ে যাওয়ার এক অমূল্য প্রতীক, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন‌্জীদা খাতুন তার জীবনাবসানের পরও বাঙালির জন্য এক মহান দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল দেহ দান, যা অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।

তার মৃত্যুর পর, সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ জানিয়েছেন, “এটি ছিল সন‌্জীদা খাতুনের ২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা, তার পরিবার, মরদেহ দান করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি এবং আজকের দিনে (বৃহস্পতিবার) মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।”

এমন একজন কিংবদন্তি, যিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের জন্য কাজ করেছেন, সন‌্জীদা খাতুন ছিলেন এক আলোকবর্তিকা। গানে গানে, সুরে সুরে তিনি বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সন‌্জীদা খাতুন। মৃত্যুর পর, সেদিন রাতে তার মরদেহ রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। পরের দিন, বুধবার দুপুরে তার কফিন ছায়ানট ভবনে নেওয়া হয়, যেখানে গানে গানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এরপর, তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, যেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরবর্তীতে, সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয় এবং সেখানে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ বিদায় জানান।

বৃহস্পতিবার, সন‌্জীদা খাতুনের পরিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এটি তার শেষ মহৎ কর্ম, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার

গ্রেফতার জাকিরুল। ছবি: সংগৃহীত

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়ন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জাকিরুল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বইল গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার আলীর ছেলে। তিনি কামদিয়া ইউনিয়নে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এই গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, জাকিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, এবং তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের নজরে ছিলেন।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল বলেন, "জাকিরুলকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারছি না। এ ঘটনায় আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সন্‌জীদা খাতুনের শেষ ইচ্ছা: চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান
গোবিন্দগঞ্জের কামদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকিরুল গ্রেফতার
কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ এক নারী পোশাককর্মীর
লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
৫ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
চুয়াডাঙ্গায় যুবকের কোমরে মিলল ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার স্বর্ণ
জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে: বিষ্ণোইয়ের হুমকি প্রসঙ্গে সালমান খান
গুলশানে কয়েদির বেশে দেখা মিলল আফরান নিশোর
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এখন থেকে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ’
পিএসএলে খেলার ছাড়পত্র পেলেন লিটন-নাহিদ-রিশাদ
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো মার্চে
ব্যাটারিচালিত ভ্যানে শোডাউন দিয়ে নিজ এলাকায় আখতার হোসেন
আশরাফুল আলম খোকন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এবার এমপি পদ ফেরত চাইলেন হিরো আলম
মেসিকে বিশ্বকাপ নিয়ে বিরক্ত না করার অনুরোধ স্কালোনির
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলেন ট্রাম্প
মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না, সেটা দলীয় বিষয়: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের বডিগার্ড পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ১
ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও জুনে চলে যায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর