বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাজেট বিষয়ে একটি গাণিতিক সমাধান দরকার

বাজেটের মূল বিষয় হলো–বাজেট অবশ্যই বড় হবে। টাকার অঙ্ক আরও বড় হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাজার বড় হচ্ছে। এখন আসল কথা হলো–বাজেট কোন খাতে কীভাবে বরাদ্দ হবে, কোন কোন খাতে খরচ করা হবে, আর কীভাবে রাজস্ব আদায় করা হবে, সেটা দেখতে হবে। অর্থ আদায়ের বিষয়ে যেটুকু সম্ভব কর আদায় বা ইনকাম ট্যাক্সের বোঝা না বাড়িয়ে, যতটুকু সম্ভব সহনীয়ভাবে রাজস্ব আদায় করা উচিত।

প্রত্যক্ষ কর আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। দুঃখজনক হলো–বাংলাদেশ ভ্যাটের উপর নির্ভরশীল বেশি। ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর। অনেকেই ঠিক মতো ট্যাক্স দেয় না। মানুষের উপর কর বোঝা মনে হওয়ার কারণে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আরও বাড়ছে। অনেকের টিন আছে, ট্যাক্স দেন না। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, লিকেজ যেন না হয়। ঘাটতি বাজেট তো হবেই। তবে তা যতটা সম্ভব দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে। বাইরের উৎস থেকে অর্থ নেওয়াটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অধিক সুদে ঋণ না নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সফট লোন বা স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়াটা অধিক গ্রহণযোগ্য।

আমার মতে, সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামো খাতে মনোযোগ দেওয়া। বাজেটে অবকাঠামো খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে। অথচ আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যয় করা হয়, যেটি মোটেও কাম্য নয়। এখন তো আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। সেখানে মাত্র পাঁচ শতাংশ তো একেবারেই কম। এটি বাড়াতে হবে। শুধু বাড়ানো নয়, সঠিক ব্যবহার করতে হবে–অপচয় যেন না হয়। দুর্নীতি যেন না হয়।

শিক্ষার ক্ষেত্রে ১২ শতাংশের মতো বরাদ্দ থাকে। আসল যে শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, ক্লাসরুমের উন্নতি, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নসহ শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে অবহেলা দেখা যায়। আগে কিন্তু এ রকম ছিল না। আগে শিক্ষকদের ট্রেনিং ছিল আবশ্যক।

সবচেয়ে বড় একটা বিষয় হলো–সামাজিক সুরক্ষাবোধ। সামাজিক নিরাপত্তা। যেমন–বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, অবসরে পেনশন প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হলেও এটি আসলে এই খাতে ব্যবহার করা হয় না। যা বরাদ্দ থাকে, সেটিও সঠিক ব্যবহার হয় না।

কৃষি খাতেও কিন্তু প্রণোদনা অপেক্ষাকৃত কম। কৃষকদের মানোন্নয়নে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। পেট্রল, ডিজেল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির দাম বেড়েছে। অথচ তা কমানো দরকার ছিল।

রপ্তানি খাতেও দেখা যায় তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে প্রণোদনা বেশি থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্র যেমন–পাট, চামড়া, সিরামিক ক্ষেত্রে আরও প্রণোদনা দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় এখানে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।

বাজেটের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের কীভাবে আরেকটু উন্নত জীবনযাত্রার অংশীদার করা যায়, সেটি খেয়াল রাখা খুব দরকার। আমাদের দেশে আয় এবং বণ্টনের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। বেশিরভাগ কর্মকাণ্ডের সুফল ভোগ করে ধনী বা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এগুলোতে কাউন্টার করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এসব ক্ষেত্রগুলোতে ব্যালেন্স করতে হবে।

বাজেটকে উন্নয়নের জায়গা থেকে করতে হবে। এ উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যেন উন্নত হয়। সাধারণ মানুষকে উপকৃত করতে হলে আয় বৈষম্য কমাতে হবে। সুষম উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। বাংলাদেশ গঠনের একটা মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্য কতটুকু ফলপ্রসূ করতে পারছি? বাজেট তো এ লক্ষ্য অর্জনের একটি হাতিয়ার।

আমাদের বাজেট ইমপ্লিমেন্টেশন বা বাস্তবায়বন ঠিকভাবে হয়না বলেই বাজেট অনেক দুর্বল। বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়; কিন্তু আমরা দেখি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ। দুই বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরে যায়, পাঁচ বছরেরটি আরও দীর্ঘমেয়াদি। ফলে এটার খরচ বেড়ে যায়। আমাদের বাস্তবায়নটা সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে। আমার মনে হয় প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা না হলে সেটি ফলপ্রসু হবে না।
সরকার যে আলোচনা করে তা শুধু শিল্প বা বনিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই।

স্থানীয় পর্যায়ে যেসকল প্রতিনিধি আছে ,তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে, তাদের মতামত নিতে হবে। এমপিরা বলে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এই লাগবে সেই লাগবে। তাতে কিন্তু মানুষের চাহিদার প্রতিফলন ঘটে না। সবচেয়ে দুর্বলতা হলো সংসদে যেটি আলোচনা হয়, সেটি মোটেও অর্থবহ না। কন্সট্রাক্টিভ আলোচনা সেখানে হয় না।

বাজেটের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনার জায়গাটি তো আর নেই বললেই চলে। সংসদ সদস্যদেরও দোষ আছে। বাইরে থেকে যেটুকু সমালোচনা হয়, সেটি আমলে নেওয়া হয় না। কাজেই বাজেট প্রণয়নের দিকটিও আমাদের আরও বেশি চিন্তাভাবনা করে করতে হবে। বাজেট বরাদ্দ এবং সমন্বয়ের বিষয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে। একটি গাণিতিক সমাধান দরকার। এত টাকা আয় করব, এত টাকা খরচ করব। তা না হলে বাজেট আসলে কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না।

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত