শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুরুবাস পর্যটনের শিক্ষা দর্শন

গুরুগৃহ পৃথিবীর প্রাচীনতম শিক্ষাব্যবস্থা, যাতে শিক্ষার্থী ছিল কেবল শ্রোতা। অতপর কালক্রমে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী সক্রিয়তা দানের জন্য সার্বিক পাঠ, দর্শন ও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বাধিক সজীব উপাদান হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। শিক্ষার্থী শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থান করে ও এদের কেন্দ্র করে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম আবর্তিত হয়।

শিক্ষা হলো সমস্ত প্রক্রিয়ার সমন্বয় যার দ্বারা ব্যক্তি তার সক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধসহ সব রকম ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণের অধিকারী হয়ে ওঠেন। যার ফলশ্রুতিতে সর্বোত্তম আত্ম পরিস্ফূরণ সাধিত হয়। মানবাত্মার অন্তর্নিহিত শক্তির প্রগতিশীল বিকাশই শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় শিক্ষা দ্বারা অন্তরের আলোর সম্পদ অর্জিত হয়। শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন ও জীবনব্যাপী জ্ঞান অর্জিত হতে থাকে। শিক্ষা এমন একটি কর্মযজ্ঞ যা একজন শিক্ষার্থী তার জ্ঞান, দক্ষতা, আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রয়োগের মাধ্যমে অর্জন করে। হাল আমলে পর্যটন শিক্ষা ও পর্যটনের মাধ্যমে শিক্ষা সার্বিক শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে দর্শন হলো সত্যের প্রতি ভালোবাসা। সত্যের অনন্ত অনুসন্ধানে সর্বজনীন জিজ্ঞাসাই দর্শনের লক্ষ্য। প্লেটোর মতে বহুবিধ বস্তু বা ঘটনার সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কীয় জ্ঞানই দর্শন। অর্থাৎ বাস্তবতার যুক্তিসঙ্গত অনুসন্ধানই দর্শন। অনুসন্ধান, যুক্তি, নান্দনিকতা ও মূল্যবোধ দ্বারা দর্শন পরিচালিত হয়। সুতরাং উদ্দেশ্যগতভাবেই দর্শন ও শিক্ষা নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। দার্শনিকগণ তাদের নিজস্ব চিন্তা দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থার রীতিনীতি ও তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দৃষ্টিপাত করেন, যা পর্যটন শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।

দর্শনের মূল শাখাসমূহের মধ্যে নন্দনতত্ত্ব অর্থাৎ সৌন্দর্যের প্রকৃতি, শিল্প ও সত্যের ব্যক্তিগত ধরনের সৃষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা; জ্ঞানতত্ত্ব অর্থাৎ জ্ঞান ও বিশ্বাসের প্রকৃতি এবং সুযোগ সংক্রান্ত দার্শনিক গবেষণা; নীতিশাস্ত্র অর্থাৎ নীতি, মঙ্গল ও মূল্যবান দার্শনিক গবেষণা; যুক্তি অর্থাৎ যুক্তির বৈধতা পরীক্ষা সংক্রান্ত দার্শনিক গবেষণা এবং অধিবিদ্যা অর্থাৎ প্রকৃতির অস্তিত্ব, সম্ভাবনা ইত্যাদির দার্শনিক গবেষণা। এর প্রত্যেকটি বিষয় মানুষকে শিখতে ও অনুশীলন করতে হয়। পর্যটনের মাধ্যমে স্থান, ব্যক্তি ও সময়ভেদে এইসব দর্শন শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। আবার পর্যটন কর্মকাণ্ডের ভেতরেও রয়েছে দর্শনের বহু শাখা, যার ভিত্তি পর্যটন নৈতিকতা পরিচালিত হয়।

এ কথা সবারই জানা যে, শিক্ষা ও দর্শন দুটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। হাল আমলে গবেষকগণ দাবি করছেন যে, শিক্ষা ও দর্শনের সঙ্গে পর্যটন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষা ও দর্শনের লক্ষ্য হলো জ্ঞান ও অনুসন্ধান। পর্যটন ধারণার সকল বাস্তবসম্মত প্রয়োগ দ্বারা পর্যটন শিক্ষা পরিচালিত হয় এবং এর প্রয়োগকালে পর্যটনের অবয়ব অনেক বেশি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়। এই লক্ষ্য নির্মাণের কাজটি করছে দর্শন, যাকে প্রাথমিকভাবে পর্যটন দর্শন বলে অভিহিত করা যায়।

শিক্ষা ও দর্শনকে মুদ্রার দুই পিঠ বলা হয়। দর্শন হলো চিন্তাশীল ও শিক্ষা হলো সক্রিয় পিঠ। নিজ বাসস্থানের বাইরে গিয়ে সম্পাদিত ইতিবাচক মানব কর্মকাণ্ডের যোগফলই পর্যটন। তাই এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে উৎপাদন, সুষম বণ্টন, দর্শন, সমাজকর্ম ও প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রতিটি পদক্ষেপ।

শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ হলো শিক্ষক। শিক্ষক একাধারে প্রশিক্ষক, নির্দেশক, বন্ধু, দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক। শিক্ষাব্যবস্থায় তিনিই নেতা, তার নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী উপযুক্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। শিক্ষার লক্ষ্য, শিখন পরামর্শ এবং শিখন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি শিক্ষক দ্বারাই পরিচালিত হয়।

আমরা সকলেই জানি যে, সমসাময়িক কালে মানুষের উপর সাম্যহীন কৃত্রিম ও করপোরেট ধারা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ ও সমাজ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সমাজের মূল বুনটে ফাঁটল ধরেছে। তাই সময় এসেছে মানুষের জীবনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত জ্ঞান ও বৈচিত্র্যকে অনুসন্ধান করে তা দিয়ে সুখের নিবাস তৈরি করার। এই কাজের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে চিরন্তন গুণী মানুষেরা, যাদের গুরু বলে আখ্যায়িত করা যায়। গুরু দুইটি সংস্কৃত শব্দ থেকে জন্মলাভ করেছে। গু অর্থ অন্ধকার এবং রু অর্থ আলো। অন্ধকার থেকে আলোতে নিতে সক্ষম কোনো ব্যক্তি বা স্বত্ত্বাই গুরু। গুরুবাসের মাধ্যমে জীবন, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির কাছ থেকে নতুন আঙ্গিকে শিক্ষা শুরু করা উচিত। এই শিক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রগতিশীলতার মোড়কে উপস্থাপিত হবেন শস্যগুরু, মৎস্যগুরু, খাদ্যগুরু, ধর্মগুরু, শিল্পগুরু, গল্পগুগুরু, পর্যটনগুরু প্রমুখ।

গুরুবাস ধারণাটি স্থানীয় মানুষের জীবনধারা থেকে উৎসারিত। হাজার বছরের জীবনধারা, যাপনরীতি ও উদযাপনের আনন্দ নিশ্চিত করেছে যে, মানুষের এই সকল অনুশীলন টেকসই। গুরুবাস বঙ্গীয় জীবনধারার অভিজ্ঞতার নতুন দর্শনতত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী সম্পদ, জ্ঞান ও মর্যাদা একীভূত হয়ে সমাজ জীবনে সমস্বত্ব প্রভাব তৈরি করতে পারে। সাধারণ মানুষের সকল অভিজ্ঞতাকে অন্যের চৈতন্য বিকাশে প্রয়োগের এক দর্শনতাত্ত্বিক চিন্তার আয়োজন এই গুরুবাস। এর মৌলিক চেতনা দায়িত্বশীল পর্যটনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ও সমাজে বিশুদ্ধতা, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রেরণা যোগাবে।

গুরু শিক্ষক থেকে আলাদা। গুরু নিজেকে সর্বজ্ঞ ভাবেন না। বরং তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেখার লক্ষ্যে ব্রতী হন এবং পরিস্থিতি ও সময়েরর সঙ্গে শিক্ষাগুরু প্রয়োজনীয় অবদান রাখেন। শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে পর্যটনগুরু নিচের বৈশিষ্টগুলির মাধ্যমে জীবনমুখী পর্যটন শিক্ষা প্রদান করবেন:

ক) পর্যটনগুরু কখনোই শিক্ষার্থীকে চাপ প্রদান করবেন না।
খ) গুরুর নিজের গুণেই জ্ঞান-বুদ্ধি বিকশিত হবে ।
গ) শিক্ষার্থীকে তিনি সুস্থির পরিকল্পনা মোতাবেক শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহযোগিতা করেন।

পল্লি এলাকায় বসবাস করেন এমন অনেক গুণী মানুষ আছেন যারা জ্ঞান ও বোধ দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে জীবনের অর্জনগুলি নিশ্চিত করছেন। এরা উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, হস্তশিল্প, গান, নাচ, গল্পবলা ইত্যাদি নানাবিধ জীবনমুখী কর্মকাণ্ডের প্রয়োগ ও দক্ষতার উৎকর্ষ সাধনের সক্ষমতা দিয়ে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করতে পেরেছেন। গণ মানুষের ভেতর থেকে উঠে আসা এই সকল ব্যক্তিবর্গ হবেন গুরু এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে জীবনের নির্যাস থেকে তরুণদের উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করবেন - এর নাম গুরুবাস পর্যটন। গুরুবাসের মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে থেকে প্রকৃতিভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম যা পর্যটনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এই শিক্ষার প্রতিটি পর্বে শিক্ষার্থীর মনে ও চিন্তায় সুস্থির শিক্ষা দর্শনের ছাপ সৃষ্টি করা হবে, যা শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় থেকে বিরত রাখবে। একজন শিক্ষার্থী ভ্রমণকালে জীবনের প্রকৃত শিক্ষায় গুরুর সংস্পর্শে এসে ভবিষ্যৎ জীবনে তার পছন্দের কর্মের অনুসন্ধান করা এবং জীবন ও পৃথিবী সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবে। মূল্যবোধ, নীতিশিক্ষা, জীবনবোধ ও কর্মক্ষমতার বাস্তবতার নিরীখে শিক্ষার্থী নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীরা ১৫-৩০ দিন পর্যন্ত গুরুদের বাসস্থানে বাস করবে।

গুরুবাসকালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাচুর্য বহির্ভূতভাবে সময় অতিবাহিত করবে এবং গুরুর নিকট থেকে তাত্ত্বিক নয়, বরং জীবনের বাস্তব বিষয়গুলি নিয়ে পাঠ গ্রহণ করবে। গুরুবাস যেহেতু এক ধরনের জীবনমুখী শিক্ষা পর্যটন। তাই তরুণ শিক্ষার্থীরা একে প্রচলিত শিক্ষার বাধাঁধরা চাপ থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে। বিশেষত উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, সংযুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রবৃত্তি, প্রাকৃতিক মূলধনের গুরুত্ব, সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণ রীতি, সামাজিক আচরণ, সাংস্কৃতিক চেতনাবোধ, ঐতিহ্য ইত্যাদি বিষয়ে গুরুমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

উপসংহারে এইটুকু বলা যায় যে, গুরুবাস পর্যটন কর্পোরেট শিক্ষা বাণিজ্যের এই দেশে পর্যটনের নতুন ধারা আমাদের, শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করবে। তবে সমাজের সকল মানুষকে এর মর্মার্থ ও দর্শনতত্ত্বে অনুধাবন করতে হবে। শিক্ষা ও পর্যটন বিষয়ক নীতি নির্ধারকগণ নিশ্চয়ই এসব নিয়ে ভাববেন।

সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারী ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যাদের ঘাড়ে, তাদেরও ভাবতে হবে বৈকি! আগামী দিনে যারা এই জাতিকে নেতৃত্ব দিবে, পথ দেখাবে তাদেরকে সৃজনশীল, উৎপাদনশীল ও গণমুখী না করতে পারলে হোয়াইট কলার জব দিয়ে রাষ্ট্রটাকে ধরে রাখা যাবে না। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে ইতোমধ্যে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, বোধ করি একদিন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

এই গুরুবাসকে কেন্দ্র করে গড়ে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠবে পর্যটনের অভিনব দর্শনতাত্ত্বিক প্রকাশ গুরুবাস পর্যটন। সকল পর্যটকরা গুরুদর্শনকালে জেনে নিবেন জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোতে নেওয়ার সেতু নির্মাণের কৌশল।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক