বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুরুবাস পর্যটনের শিক্ষা দর্শন

গুরুগৃহ পৃথিবীর প্রাচীনতম শিক্ষাব্যবস্থা, যাতে শিক্ষার্থী ছিল কেবল শ্রোতা। অতপর কালক্রমে শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী সক্রিয়তা দানের জন্য সার্বিক পাঠ, দর্শন ও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বাধিক সজীব উপাদান হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। শিক্ষার্থী শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থান করে ও এদের কেন্দ্র করে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম আবর্তিত হয়।

শিক্ষা হলো সমস্ত প্রক্রিয়ার সমন্বয় যার দ্বারা ব্যক্তি তার সক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধসহ সব রকম ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণের অধিকারী হয়ে ওঠেন। যার ফলশ্রুতিতে সর্বোত্তম আত্ম পরিস্ফূরণ সাধিত হয়। মানবাত্মার অন্তর্নিহিত শক্তির প্রগতিশীল বিকাশই শিক্ষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় শিক্ষা দ্বারা অন্তরের আলোর সম্পদ অর্জিত হয়। শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন ও জীবনব্যাপী জ্ঞান অর্জিত হতে থাকে। শিক্ষা এমন একটি কর্মযজ্ঞ যা একজন শিক্ষার্থী তার জ্ঞান, দক্ষতা, আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রয়োগের মাধ্যমে অর্জন করে। হাল আমলে পর্যটন শিক্ষা ও পর্যটনের মাধ্যমে শিক্ষা সার্বিক শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে দর্শন হলো সত্যের প্রতি ভালোবাসা। সত্যের অনন্ত অনুসন্ধানে সর্বজনীন জিজ্ঞাসাই দর্শনের লক্ষ্য। প্লেটোর মতে বহুবিধ বস্তু বা ঘটনার সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কীয় জ্ঞানই দর্শন। অর্থাৎ বাস্তবতার যুক্তিসঙ্গত অনুসন্ধানই দর্শন। অনুসন্ধান, যুক্তি, নান্দনিকতা ও মূল্যবোধ দ্বারা দর্শন পরিচালিত হয়। সুতরাং উদ্দেশ্যগতভাবেই দর্শন ও শিক্ষা নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। দার্শনিকগণ তাদের নিজস্ব চিন্তা দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থার রীতিনীতি ও তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে দৃষ্টিপাত করেন, যা পর্যটন শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।

দর্শনের মূল শাখাসমূহের মধ্যে নন্দনতত্ত্ব অর্থাৎ সৌন্দর্যের প্রকৃতি, শিল্প ও সত্যের ব্যক্তিগত ধরনের সৃষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা; জ্ঞানতত্ত্ব অর্থাৎ জ্ঞান ও বিশ্বাসের প্রকৃতি এবং সুযোগ সংক্রান্ত দার্শনিক গবেষণা; নীতিশাস্ত্র অর্থাৎ নীতি, মঙ্গল ও মূল্যবান দার্শনিক গবেষণা; যুক্তি অর্থাৎ যুক্তির বৈধতা পরীক্ষা সংক্রান্ত দার্শনিক গবেষণা এবং অধিবিদ্যা অর্থাৎ প্রকৃতির অস্তিত্ব, সম্ভাবনা ইত্যাদির দার্শনিক গবেষণা। এর প্রত্যেকটি বিষয় মানুষকে শিখতে ও অনুশীলন করতে হয়। পর্যটনের মাধ্যমে স্থান, ব্যক্তি ও সময়ভেদে এইসব দর্শন শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। আবার পর্যটন কর্মকাণ্ডের ভেতরেও রয়েছে দর্শনের বহু শাখা, যার ভিত্তি পর্যটন নৈতিকতা পরিচালিত হয়।

এ কথা সবারই জানা যে, শিক্ষা ও দর্শন দুটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। হাল আমলে গবেষকগণ দাবি করছেন যে, শিক্ষা ও দর্শনের সঙ্গে পর্যটন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষা ও দর্শনের লক্ষ্য হলো জ্ঞান ও অনুসন্ধান। পর্যটন ধারণার সকল বাস্তবসম্মত প্রয়োগ দ্বারা পর্যটন শিক্ষা পরিচালিত হয় এবং এর প্রয়োগকালে পর্যটনের অবয়ব অনেক বেশি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়। এই লক্ষ্য নির্মাণের কাজটি করছে দর্শন, যাকে প্রাথমিকভাবে পর্যটন দর্শন বলে অভিহিত করা যায়।

শিক্ষা ও দর্শনকে মুদ্রার দুই পিঠ বলা হয়। দর্শন হলো চিন্তাশীল ও শিক্ষা হলো সক্রিয় পিঠ। নিজ বাসস্থানের বাইরে গিয়ে সম্পাদিত ইতিবাচক মানব কর্মকাণ্ডের যোগফলই পর্যটন। তাই এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে উৎপাদন, সুষম বণ্টন, দর্শন, সমাজকর্ম ও প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রতিটি পদক্ষেপ।

শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ হলো শিক্ষক। শিক্ষক একাধারে প্রশিক্ষক, নির্দেশক, বন্ধু, দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক। শিক্ষাব্যবস্থায় তিনিই নেতা, তার নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী উপযুক্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। শিক্ষার লক্ষ্য, শিখন পরামর্শ এবং শিখন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি শিক্ষক দ্বারাই পরিচালিত হয়।

আমরা সকলেই জানি যে, সমসাময়িক কালে মানুষের উপর সাম্যহীন কৃত্রিম ও করপোরেট ধারা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ ও সমাজ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সমাজের মূল বুনটে ফাঁটল ধরেছে। তাই সময় এসেছে মানুষের জীবনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত জ্ঞান ও বৈচিত্র্যকে অনুসন্ধান করে তা দিয়ে সুখের নিবাস তৈরি করার। এই কাজের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসবে চিরন্তন গুণী মানুষেরা, যাদের গুরু বলে আখ্যায়িত করা যায়। গুরু দুইটি সংস্কৃত শব্দ থেকে জন্মলাভ করেছে। গু অর্থ অন্ধকার এবং রু অর্থ আলো। অন্ধকার থেকে আলোতে নিতে সক্ষম কোনো ব্যক্তি বা স্বত্ত্বাই গুরু। গুরুবাসের মাধ্যমে জীবন, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির কাছ থেকে নতুন আঙ্গিকে শিক্ষা শুরু করা উচিত। এই শিক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রগতিশীলতার মোড়কে উপস্থাপিত হবেন শস্যগুরু, মৎস্যগুরু, খাদ্যগুরু, ধর্মগুরু, শিল্পগুরু, গল্পগুগুরু, পর্যটনগুরু প্রমুখ।

গুরুবাস ধারণাটি স্থানীয় মানুষের জীবনধারা থেকে উৎসারিত। হাজার বছরের জীবনধারা, যাপনরীতি ও উদযাপনের আনন্দ নিশ্চিত করেছে যে, মানুষের এই সকল অনুশীলন টেকসই। গুরুবাস বঙ্গীয় জীবনধারার অভিজ্ঞতার নতুন দর্শনতত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী সম্পদ, জ্ঞান ও মর্যাদা একীভূত হয়ে সমাজ জীবনে সমস্বত্ব প্রভাব তৈরি করতে পারে। সাধারণ মানুষের সকল অভিজ্ঞতাকে অন্যের চৈতন্য বিকাশে প্রয়োগের এক দর্শনতাত্ত্বিক চিন্তার আয়োজন এই গুরুবাস। এর মৌলিক চেতনা দায়িত্বশীল পর্যটনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ও সমাজে বিশুদ্ধতা, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রেরণা যোগাবে।

গুরু শিক্ষক থেকে আলাদা। গুরু নিজেকে সর্বজ্ঞ ভাবেন না। বরং তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেখার লক্ষ্যে ব্রতী হন এবং পরিস্থিতি ও সময়েরর সঙ্গে শিক্ষাগুরু প্রয়োজনীয় অবদান রাখেন। শিক্ষার দর্শনের ভিত্তিতে পর্যটনগুরু নিচের বৈশিষ্টগুলির মাধ্যমে জীবনমুখী পর্যটন শিক্ষা প্রদান করবেন:

ক) পর্যটনগুরু কখনোই শিক্ষার্থীকে চাপ প্রদান করবেন না।
খ) গুরুর নিজের গুণেই জ্ঞান-বুদ্ধি বিকশিত হবে ।
গ) শিক্ষার্থীকে তিনি সুস্থির পরিকল্পনা মোতাবেক শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহযোগিতা করেন।

পল্লি এলাকায় বসবাস করেন এমন অনেক গুণী মানুষ আছেন যারা জ্ঞান ও বোধ দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে জীবনের অর্জনগুলি নিশ্চিত করছেন। এরা উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, হস্তশিল্প, গান, নাচ, গল্পবলা ইত্যাদি নানাবিধ জীবনমুখী কর্মকাণ্ডের প্রয়োগ ও দক্ষতার উৎকর্ষ সাধনের সক্ষমতা দিয়ে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করতে পেরেছেন। গণ মানুষের ভেতর থেকে উঠে আসা এই সকল ব্যক্তিবর্গ হবেন গুরু এবং অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে জীবনের নির্যাস থেকে তরুণদের উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করবেন - এর নাম গুরুবাস পর্যটন। গুরুবাসের মাধ্যমে প্রকৃতির মাঝে থেকে প্রকৃতিভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম যা পর্যটনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এই শিক্ষার প্রতিটি পর্বে শিক্ষার্থীর মনে ও চিন্তায় সুস্থির শিক্ষা দর্শনের ছাপ সৃষ্টি করা হবে, যা শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় থেকে বিরত রাখবে। একজন শিক্ষার্থী ভ্রমণকালে জীবনের প্রকৃত শিক্ষায় গুরুর সংস্পর্শে এসে ভবিষ্যৎ জীবনে তার পছন্দের কর্মের অনুসন্ধান করা এবং জীবন ও পৃথিবী সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবে। মূল্যবোধ, নীতিশিক্ষা, জীবনবোধ ও কর্মক্ষমতার বাস্তবতার নিরীখে শিক্ষার্থী নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীরা ১৫-৩০ দিন পর্যন্ত গুরুদের বাসস্থানে বাস করবে।

গুরুবাসকালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাচুর্য বহির্ভূতভাবে সময় অতিবাহিত করবে এবং গুরুর নিকট থেকে তাত্ত্বিক নয়, বরং জীবনের বাস্তব বিষয়গুলি নিয়ে পাঠ গ্রহণ করবে। গুরুবাস যেহেতু এক ধরনের জীবনমুখী শিক্ষা পর্যটন। তাই তরুণ শিক্ষার্থীরা একে প্রচলিত শিক্ষার বাধাঁধরা চাপ থেকে মুক্ত হয়ে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে। বিশেষত উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, সংযুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রবৃত্তি, প্রাকৃতিক মূলধনের গুরুত্ব, সম্পদ ব্যবহার ও সংরক্ষণ রীতি, সামাজিক আচরণ, সাংস্কৃতিক চেতনাবোধ, ঐতিহ্য ইত্যাদি বিষয়ে গুরুমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

উপসংহারে এইটুকু বলা যায় যে, গুরুবাস পর্যটন কর্পোরেট শিক্ষা বাণিজ্যের এই দেশে পর্যটনের নতুন ধারা আমাদের, শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করবে। তবে সমাজের সকল মানুষকে এর মর্মার্থ ও দর্শনতত্ত্বে অনুধাবন করতে হবে। শিক্ষা ও পর্যটন বিষয়ক নীতি নির্ধারকগণ নিশ্চয়ই এসব নিয়ে ভাববেন।

সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারী ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যাদের ঘাড়ে, তাদেরও ভাবতে হবে বৈকি! আগামী দিনে যারা এই জাতিকে নেতৃত্ব দিবে, পথ দেখাবে তাদেরকে সৃজনশীল, উৎপাদনশীল ও গণমুখী না করতে পারলে হোয়াইট কলার জব দিয়ে রাষ্ট্রটাকে ধরে রাখা যাবে না। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে ইতোমধ্যে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, বোধ করি একদিন তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

এই গুরুবাসকে কেন্দ্র করে গড়ে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠবে পর্যটনের অভিনব দর্শনতাত্ত্বিক প্রকাশ গুরুবাস পর্যটন। সকল পর্যটকরা গুরুদর্শনকালে জেনে নিবেন জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোতে নেওয়ার সেতু নির্মাণের কৌশল।

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪