শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বব্যাপী ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম হুমকির মুখে

ম্যানগ্রোভ বন হলো আশ্চর্যজনক ইকোসিস্টেম (বাস্তুতন্ত্র) যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উপকূলে বেড়ে ওঠে, যেখানে ম্যানগ্রোভগুলো লবণাক্ত জল এবং জোয়ারের পরিস্থিতিতে উন্নতি লাভ করে। ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্র হল গ্রহের সবচেয়ে উৎপাদনশীল এবং জৈবিকভাবে বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র: তারা মাছ, হাঙ্গর, মানাটিস, কাঁকড়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে; সারা বিশ্বের সম্প্রদায়ের জন্য খাদ্য, চাকুরি এবং অন্যান্য সংস্থান প্রদান; এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু উপকূলীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা। যদিও ম্যানগ্রোভ বনগুলো আমাদের গ্রহের ভূমি পৃষ্ঠের মাত্র ০.১ শতাংশ জুড়ে। ম্যানগ্রোভ বন অন্য যেকোনো ধরনের বনের চেয়ে বেশি কার্বন সঞ্চয় করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ম্যানগ্রোভ বনগুলো সাধারণত সুন্দরী, গেঁওয়া, কেওড়া, গরান ও গুল্ম উদ্ভিদ দিয়ে গঠিত যা উচ্চ লবণাক্ততা, উষ্ণ বায়ু এবং জলের তাপমাত্রা, চরম জোয়ার, কর্দমাক্ত, পলি-ভরা জল এবং অক্সিজেন শূন্য মাটির কঠোর অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে থাকে। পৃথিবীর ১০০টির বেশি দেশে ম্যানগ্রোভ বনের অস্তিত্ব থাকলেও বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনের প্রায় ৭৫ শতাংশ মাত্র ১৫টি দেশে পাওয়া যায়। এর মধ্যে এশিয়ায় ৪২ শতাংশ, আফ্রিকায় ২১ শতাংশ, উত্তর-মধ্য-আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়ায় ১২ শতাংশ ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১০ শতাংশ রয়েছে। পৃথিবীর সমগ্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ৪৩ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া এবং নাইজারে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়া, ১৭০০০ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপের একটি দেশ, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনের আচ্ছাদন রয়েছে এই ইন্দোনেশিয়া। তারপরে ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়া। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। বাংলাদেশে অবস্থিত ম্যানগ্রোভ বন (সুন্দরবন) পৃথিবীর একক বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে পরিচিত। ম্যানগ্রোভ বন বিস্তৃত সুবিধা এবং গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, ম্যানগ্রোভগুলো উদ্বেগজনক হারে ধ্বংস ও অবনমিত হচ্ছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের চারপাশে, ম্যানগ্রোভ বনগুলোকে জলজ পালন: মাছ ও চিংড়ি পুকুর এবং অন্যান্য কৃষির পাশাপাশি উপকূলীয় নগর উন্নয়নের জন্য সাফ করা হচ্ছে। জলজ চাষ, কৃষি, শিল্প ও উপকূল নগর উন্নয়ন বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম হুমকির মুখে।

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এ বনের শতকরা ৬২ ভাগই বাংলাদেশে সীমান্তে। সুন্দরবন বিশ্বের অন্যান্য ম্যানগ্রোভ বনের থেকে বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ। জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্যতায় ভরা সুন্দরবন। এ বনে পৃথিবী বিখ্যাত ডোরাকাটা দাগ বিশিষ্ট রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, লোনাপানির কুমির, ভোদর, কাঁকড়া, চিংড়ি, অসংখ্য পাখিসহ কয়েকশত প্রজাতের মাছ ও অসংখ্য স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণীর আবাসস্থল। এ ছাড়াও ৩৫ প্রজাতি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদসহ ৩০০’রও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদের দেখা মেলে সুন্দরবনে। বাংলাদেশের মোট বনাঞ্চলের ৪০ শতাংশই সুন্দরবনে রয়েছে। ম্যানগ্রোভ (সুন্দরবন) বায়ুমন্ডল থেকে প্রচুর পরিমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড টেনে নেয় এবং এ কার্বন ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শরীরে জমিয়ে রাখে। জমিয়ে রাখা কার্বনকে 'ব্লু কার্বন' বলা হয়। উপকূল বনাঞ্চলের এই কার্বন গ্রহণের মাধ্যম প্রাকৃতিক উপায় আমাদের বায়ুমন্ডল থেকে দীর্ঘমেয়াদে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সরিয়ে ফেলে বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব হ্রাস করে। এক হেক্টর কেওড়া বন বছরে ১৭০ টান পর্যন্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড আটকে রাখতে সক্ষম।

নাসার স্যাটেলাইট ডাটার তথ্যমতে, ম্যানগ্রোভ বনকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কার্বন পরিশোধক। সুন্দরবনকে বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয়। সুন্দরবন বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের এক উল্লেখযোগ্য দিক হলো অনেক প্রজাতি-ই ম্যানগ্রোভ বনকে তাদের জীবনচক্রের কোন না কোন সময় ব্যবহার করে থাকে। সুন্দরবন হতে অতিরিক্ত কাঠ, মাছ আহরণের ও সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ সাইক্লোনের তান্ডবে এ বনাঞ্চল হুমকির সম্মুখীন। ২০০৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরে সুন্দরবনের প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ বন ভূমিক্ষয় ও ভাঙনের কারণে প্রতি বছর বনের আয়তন ৬ কি.মি হারাচ্ছে। এ ভাঙনের ফলে মানুষসহ উপকূলের বিভিন্ন প্রাণীও অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি বছর বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এই সুন্দরবন। ম্যানগ্রোভ বন এ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের গতিবেগ কমিয়ে মানুষের জীবন, মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের প্রতিরক্ষার দেয়াল সুন্দরবন।

আপনি এই বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন। এর অনেক উপায় আছে। আপনার এলাকায় স্থানীয় সংরক্ষণ এবং সরকারি সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করুন, যারা ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে এবং তাদের সমর্থন করুন। ম্যানগ্রোভ বন উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জন্য অপরিহার্য। ম্যানগ্রোভ বন ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষার বাস্তবতা বুঝে, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও আসন্ন পরিবেশ বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষায় সচল রাখতে ম্যানগ্রোভ বনায়নের বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ম্যানগ্রোভ বনের রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলেই দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে, ম্যানগ্রোভ বস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ শুধু নতুন গাছ লাগানোর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

লেখক: অ্যাম্বাসেডর, ইয়ুথলিড, ইউএসএইড ও প্রতিষ্ঠাতা, আর্থকেয়ার ফাউন্ডেশন

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি