মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সময় ও পর্যটনের খেলা

পর্যটনকে তিনটি সময়ে ভাগ করা যায়। বর্তমান সময়ের পর্যটন, অতীতের পর্যটন ও ভবিষ্যতের পর্যটন। পর্যটনের উপাদানগুলো একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক কিংবা ত্রিমাত্রিক যা-ই হোক না কেন, সময় আরেকটি মাত্রা হিসেবে যোগ হয়েছে পর্যটনের সঙ্গে।

পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেছেন, সময় সরলরৈখিক নয়, বরং সময় স্থান দখল করে থাকে। পর্যটনের সঙ্গে সময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলেই সময়ের সঙ্গে পর্যটন উপাদানের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

পর্যটনের উপর সময়ের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। তাই পর্যটনে পিক সিজন ও অফ পিক সিজন কথাগুলি প্রযোজ্য। সময়ের জন্য পর্যটন পণ্য সংরক্ষণ করা যায় না। পর্যটকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে অবিলম্বে তা হস্তান্তর করতে হয়। পর্যটকরাও একে সংরক্ষণ করতে পারেন না। এদের চাহিদা সৃষ্টির অব্যবহৃত পরেই উপভোগও করতে চান। তা না হলে এইসব পণ্য ও সেবা নষ্ট হয়ে যায়। এ থেকে পরিষ্কার যে, পর্যটনের উপদান ও উৎপাদিত পণ্য ও সেবার সঙ্গে সময় নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।

আবার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পর্যটনের সঙ্গে সময় একইভাবে সম্পৃক্ত থাকে না। তবে সময়যন্ত্রে চেপে এই তিন সময়ের পর্যটনের অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়। বর্তমানের পর্যটন দেখতে হলে প্রচলিত যানবাহনের ব্যবহারই যথেষ্ট। তবে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে যেতে হলে পর্যটনের সময়যন্ত্র লাগবে। অতীতে যাওয়ার সময়যন্ত্র এবং ভবিষ্যতে যাওয়ার সময়যন্ত্র এক নয়, ভিন্ন। কারণ, এই দুই সময়যন্ত্রের চালক ও আরোহী আলাদা। অতীতে গমনকারী পর্যটনের সময়যন্ত্রের চালক হলো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং আরোহী হলো পর্যটক। অন্যদিকে ভবিষ্যতে গমনকারী পর্যটনের সময়যন্ত্রের চালক পর্যটন গবেষক এবং আরোহী হলো নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী। আবার তাদের গতি, অনুসন্ধানরীতি ও পর্যবেক্ষণের কৌশলও এক নয়। উভয় ধরনের সময়যন্ত্রের নির্মাণ, পরিচালনা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য আলাদা হয়ে থাকে।

পর্যটনের সময়যন্ত্রে চেপে অতীতকালের পর্যটনকে অবলোকন করতে না পারলে বর্তমান সময়ের পর্যটকরা পর্যটনের রসাস্বাদন করে তা থেকে বহুমাত্রিক উপকার লাভ করতে পারবেন না। একইভাবে ভবিষ্যৎ সময়ে যেতে না পারলে পর্যটনের ভবিষ্যতের গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করাও কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে পর্যটনের গতিময়তা কমে যাবে এবং স্থবিরতা চলে আসবে।

দুই
এবার পর্যটনের সঙ্গে বর্তমান সময়ের অন্তঃপ্রবেশ রীতি ও ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা যাক। একথা সত্য যে, সময় পর্যটনের ভেতর দিয়ে চলে এবং একইভাবে পর্যটনও সময়ের ভেতর দিয়ে চলে। বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক।

সময় পর্যটনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হলে সে পর্যটনকে তীরবেগে ভেঙে দিয়ে যায়। সময়ের তোড়ে পর্যটনের আকৃতি, অবয়ব ও উপযোগিতার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ফলে তা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কিংবা চাহিদা মোতাবেক সেবাদানে ব্যর্থ হতে পারে। তবে রিয়েলিটি পর্যটনের বিষয় বিবেচনা করলে তা ভিন্ন কোনো ধনাত্মক ঘটনাও সৃষ্টি করতে পারে। পর্যটনের ভেতর দিয়ে সময়ের এই প্রবাহকাল, গতি ও বেগ বিবেচনা করতে হবে। সময়ের প্রবাহকাল দীর্ঘ এবং গতি ও বেগ উচ্চ হলে পর্যটনের আকৃতি, অবয়ব ও উপযোগিতার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। সেই ক্ষেত্রে সময়ের ঘাত মোকাবিলা ও নিয়মিতভাবে পর্যটনের উপাদানগুলির ব্যবহারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে সময়ের ভেতর দিয়ে পর্যটন গমন করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন তার নিজস্ব অবয়ব পরিবর্তন করতে পারবে। সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটনের অবয়ব ও উপযোগিতা সক্ষম হবে। পর্যটন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করবে। ক্ষেত্রমতে পর্যটনে নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখতে পাওয়া যাবে। গবেষক ও পর্যটন স্টেকহোল্ডারগণ যৌথভাবে চাহিদা নিরূপণ ও বহুমুখী উপায়ে তা পূরণের নতুন পথ খুঁজে বের করবেন। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য বাস্তবে পর্যটনের মাত্রাগত ও গুণগত উন্নয়ন সাধিত হয়।

পর্যটন ও সময়ের অনুপ্রবেশ অনিবার্য। এ থেকে পর্যটনের মুক্তি নেই। ফলে একটি সমস্বত্ত্ব বিন্দু (Equilibrium Point) নির্ণয় করা দরকার। অর্থাৎ পর্যটনের ভেতর দিয়ে সময়ের প্রবাহ ও সময়ের ভেতর দিয়ে পর্যটনের প্রবাহ এমন একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হবে, যা হবে এই ২ প্রবাহরেখার মিলিত বিন্দু। এই সমস্বত্ত্ব বিন্দুতে পর্যটনের সবচেয়ে কম পরিবর্তনকে চিহ্নিত করা যাবে একইভাবে সংঘটিত ঋণাত্মক বিষয়গুলিকে মোকাবিলা করা সহজ হবে। এই বিন্দু বিশ্লেষণ করে পর্যটন গবেষকরা পর্যটন পরিবর্তনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারেন। একইভাবে উদ্ভুত সংকট মোকাবিলায় তারা সঠিক পথকে আগাম ধরিয়ে দিতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নীতি-নির্ধারকমহল ও পর্যটন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের করণীয়গুলি জেনে যাবেন। পর্যটনের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ সৃজন পরিকল্পনা, বিনিয়োগ ক্ষেত্র ইত্যাদি সমস্বত্ত্ব বিন্দু থেকে নির্ণয় করা সম্ভব।

সময় ও পর্যটনের এই নিরন্তর খেলা আমাদের জীবনের সব উপাদান নিয়ে প্রস্তুতির জন্য বড় ইঙ্গিত দেয়। পর্যটনের মাধ্যমে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সম্পদের সর্বোচ্চ ও টেকসই ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং সম্পদ ব্যবহারের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়- তার সব বিষয় এখান থেকে অনুসন্ধান করা যায়।

লেখক: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল