বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

ইংরেজি আমরা সব সময় রহিম, করিম দিয়ে বাক্য শুরু করি, শিক্ষার্থীদের শেখাই। কিন্তু একটি বাক্যের বড় একটি অংশ, একটি ফেইজ, একটি ধারণা বাক্যের অংশ হয় এবং এ ধরনের ইংরেজিই বেশি। শিক্ষার্থীরা কিন্তু তাদের শিখে যাওয়া গ্রামার ট্রান্সফার করতে পারছে না। তারা ওই ধরনের বাক্য পড়ে বুঝতে পারছে না এবং নিজেরা লিখতে পারছে না। ইংরেজি পত্রিকার কোনো সংবাদ, কিংবা কোনো আর্টিকেল কিংবা বিদেশি বইয়ের কোনো গল্প পড়ে দেখলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। মূল ইংরেজি কিন্তু সেগুলোই। আমাদের বারটি টেন্স আর ভয়েস, ন্যারেশন, সিম্পল, কমপ্লেক্স আর কম্পাউন্ড বাক্য পড়িয়েই আমরা ধরে নেই ইংরেজি যথার্থভাবে পড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে।

অনেক শিক্ষক বলে থাকেন যে, প্রতিদিন দশ বিশটা শব্দ মুখস্থ করতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের পুরো ডিকশনারি মুখস্থ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটিও বিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ ভোকাব্যুলারি বাড়াতে হবে ভাষা ব্যবহার করার জন্য। তারও কিছু গ্রামার আছে, নিয়ম-কানুন আছে, শুধু শব্দ মুখস্থ করে বসে থাকলে হবে না। কোন শব্দ কোথায় বসাতে হবে এটিই হচ্ছে প্রধান কাজ। শব্দ বাক্যে বসাতে না পারলে সেই ভোকাব্যুলারি ইনঅ্যাকটিভ। ভোকাব্যুলারি শিখতে হয় কনটেক্সট থেকে, বাক্যের অর্থ মুখস্থ করে নয়। সেটি একটি দুর্বল পদ্ধতি। মাইমিং, অ্যাক্টিং, ব্যাখ্যা, সিনোনিম, অ্যান্টোনিম, রিয়ালিয়া (বাস্তব জিনিস প্রদর্শন), ইনফারেন্স ইত্যাদি মাধ্যমে ভোকাব্যুলারি শিখতে হয়, শেখাতে হয়। সরাসরি ট্রান্সলেশন বা ইংরেজি থেকে বাংলা ব্যবহার করে ভোকাব্যুলারি শেখা বা শেখানো সর্বশেষ পদ্ধতি। ফেসবুকে দেখছি শিক্ষক নিজেই সব শব্দের অর্থ বাংলায় বলে দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের দ্বারা বলাচ্ছেন না, তাদের বলতে সময়ও দিচ্ছেন না। এটি ভোকাব্যুলারি শেখানোর সঠিক পদ্ধতি নয়। ভোকাব্যুলারি গ্রামারের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ গ্রামার জেনে একটি বাক্য তৈরি করা, ভাষা ব্যবহার করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু প্রয়োজন মেটানোর জন্য শব্দ জানা থাকলে প্রয়োজন অনেকটাই মেটানো যায়। যেমন আপনার যদি পানির পিপাসা পায় এবং পানির ইংরেজি যে, ওয়াটার এটি জানা থাকলে আপনি হাত ইশারা করে বলতে পারেন , ওয়াটার’। পুরো বাক্য আই অ্যাম থার্স্টি, আই নিড টু ড্রিংক ওয়াটার না বললেও বিদেশে গিয়ে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারসোনাল এনগেজড হতে হয় অর্থাৎ নিজেদেরকেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে হয় অথচ ফেসবুকে যেসব শিক্ষক ইংরেজি স্পোকেন শেখাচ্ছেন— দেখলাম অবিরাম তারাই কথা বলে যাচ্ছেন, কথা বলতে বলতে ঘাম ঝরাচ্ছেন। টিচার টকিং টাইম বা টিটিটি এবং স্টুডেন্ট টকিং টাইম সম্পর্কে শিক্ষকদের ধারণা থাকতে হয়। স্টুডেন্ট টকিং টাইম হতে হবে সত্তর কিংবা আশি শতাংশ, বাকিটা হবে টিচার টকিং টাইম। অর্থাৎ টিচারদের কথা কম বলতে হবে, শিক্ষার্থীরা কথা বলবে যদি তারা ভাষা শিখতে চায়। এই নিয়ম অনুসরণ করার ধারেকাছেও নেই ফেসবুকে যারা এ জাতীয় ভিডিও আপলোড করছেন প্রতিদিন।

ইংরেজি আমরা কেন শিখব? আমাদের শিক্ষার্থীরা আসলে বাস্তবে জানে না তারা ইংরেজি কেন পড়ছে? তারা জানে যে, ইংরেজিতে পাস করতে হবে, এক শ্রেণি থেকে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠতে হবে, এটিই তাদের কাছে জানা, তাদের লক্ষ্য। বাস্তব জীবনে যে ইংরেজি তাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগবে, ভাল ইংরেজি শিখলে সেটি যে সারা জীবন তার এক বিরাট সম্পদ হয়ে থাকবে সেটি কিন্তু তারা ছাত্রজীবনে বুঝতে পারে না, বুঝার কথাও নয়। শিক্ষকদের দায়িত্ব হচ্ছে বিষয়টি তাদের ধরিয়ে দেওয়া ও উৎসাহিত করা। আমরা যারা ছাত্রজীবন পার করে এসেছি এবং বাস্তব জীবনের পদে পদে ইংরেজি ব্যবহার করতে হচ্ছে কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। কারণ ছাত্রজীবনে সেভাবে আমাদের ইংরেজি শেখা হয়নি। আমরা গ্রামারের কিছু নিয়ম তাও বাংলায় শুনেছি ক্লাসে।

আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, বর্তমানযুগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, পছন্দ করে হোক, না করে হোক ভারতীয় হিন্দি ছবি, নাটক, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রতিনিয়ত টিভির পর্দায় দেখছে আর কানে শুনছে। এই শুনে শুনে এবং দেখে দেখে তারা হিন্দি বলা শিখে ফেলেছে অর্থাৎ তারা ভাষার দুটো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা ‘শোনা ও বলা’ অর্জন করে ফেলেছে। তারা ভারতে যায়নি, স্কুলে যায়নি, হোমওয়ার্ক করেনি, কোনো কোচিং সেন্টারে যায়নি, কোনো প্রাইভেট টিচারের কাছে যায়নি হিন্দি শিখতে। জীবনে কোনো পরীক্ষা দেয়নি, পাবলিক পরীক্ষা দেয়নি। কিন্তু হিন্দি বলতে পারে, হিন্দি শুনে বুঝতে পারে অর্থাৎ তারা দুটো গুরুত্বপূর্ণ স্কিল অর্জন করে ফেলেছে। অথচ ইংরেজি আমরা ক্লাসে পড়ি, বাসায় পড়ি ও পড়াচ্ছি, কোচিংএ পড়াচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ছি, ক্লাসে পরীক্ষা দিচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পরীক্ষা দিচ্ছি, কোচিং এ পরীক্ষা দিচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পরীক্ষা দিচ্ছি, পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছি সার্টিফিকেট অর্জন করছি কিন্তু হিন্দির মতো ইংরেজি বুঝি না, বলতে পারি না। কারণগুলো কি কি হতে পারে?

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছি— কারণগুলো তোমরা নিজেরাই বের করে দেখ। তোমরা কি চাও না হিন্দিতে যেভাবে কথা বলতে পার, হিন্দি শুনে যেভাবে বুঝতে পার ইংরেজিতেও তোমারা সেভাবেই পারবে? শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসেবে আমরা যদি ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সামনে রঙিন ছবি ও আকর্ষণীয় অ্যাক্টিভিটি করাতে পারি তাহলে তারা তাদের অজান্তেই ইংরেজি ভাষা শেখা শুরু করবে যেমনটি তারা হিন্দি সিনেমা দেখে হিন্দি শিখে ফেলেছে।

ভাষা শেখাতে হবে ভাষা দিয়ে, গ্রামারের নিয়ম মুখস্থ করিয়ে নয়। দু-চার-দশ কিংবা ডজন খানেক বা ডজন দুয়েক গ্রামারের নিয়ম হয়ত মুখস্থ করানো যায়, তা দিয়ে কি একটি ভাষা ব্যবহার করানো বা শেখানো যায়? ভাষা তো সাগর। আমরা প্রতিদিন কত শত কিংবা কত হাজার বাক্য বাংলায় ব্যবহার করি, তার কোনো হিসেব আছে? এটি হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে শেখা বা শেখানো বা ব্যবহার করা। এখানে যদি কাঠের সাঁকো পাড়ানোর মতো হিসেব করে করে, সাবধানে পা ফেলি অর্থাৎ বাক্যে প্রথম কর্তা বসালাম, তারপর ক্রিয়া বসালাম, তারপর কর্ম বসালাম তাহলে কি আমরা এত সহজে বাংলা কথা বলতে পারতাম প্রতিদিন? স্বত:স্ফূর্তভাবে ভাষা ব্যবহার করতে হয়, বাংলা ভাষাকে যেভাবে ব্যবহার করি, ইংরেজিও সেভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেটি যতক্ষণ করা না যাবে ততক্ষণ বুঝতে হবে বিষয়গুলো সঠিকভাবে শেখা হয়নি, শেখানো হয়নি।

শিক্ষার্থীরা ভাষা ব্যবহার করবে, ব্যবহার করে করে যখন ভাষাটি নিজেদের আয়ত্বে চলে আসবে, তখন আলোচনা করা যেতে পারে যে, বাক্যগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা কী পাই অর্থাৎ কীভাবে বাক্যটি তৈরি হলো। শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে বলবে অর্থাৎ মুখস্থ করে নয়, তারা দেখে , লজিক বের করবে কীভাবে বাক্যটি তৈরি হলো। তারা যেভাবেই বলুক দেখতে হবে তারা সঠিক বলছে কিনা অর্থাৎ বাক্যের প্রথমে সাবজেক্ট তারপর ভার্ব বসেছে ইত্যাদি। গ্রামার তারা আবিষ্কার করবে, তারা ব্যাখ্যা করবে, শিক্ষক নয়। শিক্ষক সবার শেষে একটি ফিনিশিং দিতে পারেন যে, তোমরা বাক্যগুলোর গঠনপ্রণালী যেভাবে বলেছ ঠিক আছে। শিক্ষক আগে স্ট্রাকচার শিখিয়ে সেই অনুযায়ী বাক্য গঠন করার প্রক্রিয়া শেখানো সেকেলে প্রক্রিয়া এবংতাতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের পক্ষে ভাষা শেখার ও ব্যবহার করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সীমিত করে দেওয়া হয়।

লেখক: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

প্রথম পর্ব/ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

আরএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪