শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

ইংরেজি আমরা সব সময় রহিম, করিম দিয়ে বাক্য শুরু করি, শিক্ষার্থীদের শেখাই। কিন্তু একটি বাক্যের বড় একটি অংশ, একটি ফেইজ, একটি ধারণা বাক্যের অংশ হয় এবং এ ধরনের ইংরেজিই বেশি। শিক্ষার্থীরা কিন্তু তাদের শিখে যাওয়া গ্রামার ট্রান্সফার করতে পারছে না। তারা ওই ধরনের বাক্য পড়ে বুঝতে পারছে না এবং নিজেরা লিখতে পারছে না। ইংরেজি পত্রিকার কোনো সংবাদ, কিংবা কোনো আর্টিকেল কিংবা বিদেশি বইয়ের কোনো গল্প পড়ে দেখলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। মূল ইংরেজি কিন্তু সেগুলোই। আমাদের বারটি টেন্স আর ভয়েস, ন্যারেশন, সিম্পল, কমপ্লেক্স আর কম্পাউন্ড বাক্য পড়িয়েই আমরা ধরে নেই ইংরেজি যথার্থভাবে পড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে।

অনেক শিক্ষক বলে থাকেন যে, প্রতিদিন দশ বিশটা শব্দ মুখস্থ করতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের পুরো ডিকশনারি মুখস্থ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটিও বিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ ভোকাব্যুলারি বাড়াতে হবে ভাষা ব্যবহার করার জন্য। তারও কিছু গ্রামার আছে, নিয়ম-কানুন আছে, শুধু শব্দ মুখস্থ করে বসে থাকলে হবে না। কোন শব্দ কোথায় বসাতে হবে এটিই হচ্ছে প্রধান কাজ। শব্দ বাক্যে বসাতে না পারলে সেই ভোকাব্যুলারি ইনঅ্যাকটিভ। ভোকাব্যুলারি শিখতে হয় কনটেক্সট থেকে, বাক্যের অর্থ মুখস্থ করে নয়। সেটি একটি দুর্বল পদ্ধতি। মাইমিং, অ্যাক্টিং, ব্যাখ্যা, সিনোনিম, অ্যান্টোনিম, রিয়ালিয়া (বাস্তব জিনিস প্রদর্শন), ইনফারেন্স ইত্যাদি মাধ্যমে ভোকাব্যুলারি শিখতে হয়, শেখাতে হয়। সরাসরি ট্রান্সলেশন বা ইংরেজি থেকে বাংলা ব্যবহার করে ভোকাব্যুলারি শেখা বা শেখানো সর্বশেষ পদ্ধতি। ফেসবুকে দেখছি শিক্ষক নিজেই সব শব্দের অর্থ বাংলায় বলে দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের দ্বারা বলাচ্ছেন না, তাদের বলতে সময়ও দিচ্ছেন না। এটি ভোকাব্যুলারি শেখানোর সঠিক পদ্ধতি নয়। ভোকাব্যুলারি গ্রামারের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ গ্রামার জেনে একটি বাক্য তৈরি করা, ভাষা ব্যবহার করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু প্রয়োজন মেটানোর জন্য শব্দ জানা থাকলে প্রয়োজন অনেকটাই মেটানো যায়। যেমন আপনার যদি পানির পিপাসা পায় এবং পানির ইংরেজি যে, ওয়াটার এটি জানা থাকলে আপনি হাত ইশারা করে বলতে পারেন , ওয়াটার’। পুরো বাক্য আই অ্যাম থার্স্টি, আই নিড টু ড্রিংক ওয়াটার না বললেও বিদেশে গিয়ে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারসোনাল এনগেজড হতে হয় অর্থাৎ নিজেদেরকেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে হয় অথচ ফেসবুকে যেসব শিক্ষক ইংরেজি স্পোকেন শেখাচ্ছেন— দেখলাম অবিরাম তারাই কথা বলে যাচ্ছেন, কথা বলতে বলতে ঘাম ঝরাচ্ছেন। টিচার টকিং টাইম বা টিটিটি এবং স্টুডেন্ট টকিং টাইম সম্পর্কে শিক্ষকদের ধারণা থাকতে হয়। স্টুডেন্ট টকিং টাইম হতে হবে সত্তর কিংবা আশি শতাংশ, বাকিটা হবে টিচার টকিং টাইম। অর্থাৎ টিচারদের কথা কম বলতে হবে, শিক্ষার্থীরা কথা বলবে যদি তারা ভাষা শিখতে চায়। এই নিয়ম অনুসরণ করার ধারেকাছেও নেই ফেসবুকে যারা এ জাতীয় ভিডিও আপলোড করছেন প্রতিদিন।

ইংরেজি আমরা কেন শিখব? আমাদের শিক্ষার্থীরা আসলে বাস্তবে জানে না তারা ইংরেজি কেন পড়ছে? তারা জানে যে, ইংরেজিতে পাস করতে হবে, এক শ্রেণি থেকে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠতে হবে, এটিই তাদের কাছে জানা, তাদের লক্ষ্য। বাস্তব জীবনে যে ইংরেজি তাদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগবে, ভাল ইংরেজি শিখলে সেটি যে সারা জীবন তার এক বিরাট সম্পদ হয়ে থাকবে সেটি কিন্তু তারা ছাত্রজীবনে বুঝতে পারে না, বুঝার কথাও নয়। শিক্ষকদের দায়িত্ব হচ্ছে বিষয়টি তাদের ধরিয়ে দেওয়া ও উৎসাহিত করা। আমরা যারা ছাত্রজীবন পার করে এসেছি এবং বাস্তব জীবনের পদে পদে ইংরেজি ব্যবহার করতে হচ্ছে কিন্তু ব্যবহার করতে পারছি না। কারণ ছাত্রজীবনে সেভাবে আমাদের ইংরেজি শেখা হয়নি। আমরা গ্রামারের কিছু নিয়ম তাও বাংলায় শুনেছি ক্লাসে।

আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, বর্তমানযুগে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, পছন্দ করে হোক, না করে হোক ভারতীয় হিন্দি ছবি, নাটক, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রতিনিয়ত টিভির পর্দায় দেখছে আর কানে শুনছে। এই শুনে শুনে এবং দেখে দেখে তারা হিন্দি বলা শিখে ফেলেছে অর্থাৎ তারা ভাষার দুটো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা ‘শোনা ও বলা’ অর্জন করে ফেলেছে। তারা ভারতে যায়নি, স্কুলে যায়নি, হোমওয়ার্ক করেনি, কোনো কোচিং সেন্টারে যায়নি, কোনো প্রাইভেট টিচারের কাছে যায়নি হিন্দি শিখতে। জীবনে কোনো পরীক্ষা দেয়নি, পাবলিক পরীক্ষা দেয়নি। কিন্তু হিন্দি বলতে পারে, হিন্দি শুনে বুঝতে পারে অর্থাৎ তারা দুটো গুরুত্বপূর্ণ স্কিল অর্জন করে ফেলেছে। অথচ ইংরেজি আমরা ক্লাসে পড়ি, বাসায় পড়ি ও পড়াচ্ছি, কোচিংএ পড়াচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ছি, ক্লাসে পরীক্ষা দিচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পরীক্ষা দিচ্ছি, কোচিং এ পরীক্ষা দিচ্ছি, প্রাইভেট টিউটরের কাছে পরীক্ষা দিচ্ছি, পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছি সার্টিফিকেট অর্জন করছি কিন্তু হিন্দির মতো ইংরেজি বুঝি না, বলতে পারি না। কারণগুলো কি কি হতে পারে?

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছি— কারণগুলো তোমরা নিজেরাই বের করে দেখ। তোমরা কি চাও না হিন্দিতে যেভাবে কথা বলতে পার, হিন্দি শুনে যেভাবে বুঝতে পার ইংরেজিতেও তোমারা সেভাবেই পারবে? শিক্ষক এবং অভিভাবক হিসেবে আমরা যদি ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সামনে রঙিন ছবি ও আকর্ষণীয় অ্যাক্টিভিটি করাতে পারি তাহলে তারা তাদের অজান্তেই ইংরেজি ভাষা শেখা শুরু করবে যেমনটি তারা হিন্দি সিনেমা দেখে হিন্দি শিখে ফেলেছে।

ভাষা শেখাতে হবে ভাষা দিয়ে, গ্রামারের নিয়ম মুখস্থ করিয়ে নয়। দু-চার-দশ কিংবা ডজন খানেক বা ডজন দুয়েক গ্রামারের নিয়ম হয়ত মুখস্থ করানো যায়, তা দিয়ে কি একটি ভাষা ব্যবহার করানো বা শেখানো যায়? ভাষা তো সাগর। আমরা প্রতিদিন কত শত কিংবা কত হাজার বাক্য বাংলায় ব্যবহার করি, তার কোনো হিসেব আছে? এটি হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে শেখা বা শেখানো বা ব্যবহার করা। এখানে যদি কাঠের সাঁকো পাড়ানোর মতো হিসেব করে করে, সাবধানে পা ফেলি অর্থাৎ বাক্যে প্রথম কর্তা বসালাম, তারপর ক্রিয়া বসালাম, তারপর কর্ম বসালাম তাহলে কি আমরা এত সহজে বাংলা কথা বলতে পারতাম প্রতিদিন? স্বত:স্ফূর্তভাবে ভাষা ব্যবহার করতে হয়, বাংলা ভাষাকে যেভাবে ব্যবহার করি, ইংরেজিও সেভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেটি যতক্ষণ করা না যাবে ততক্ষণ বুঝতে হবে বিষয়গুলো সঠিকভাবে শেখা হয়নি, শেখানো হয়নি।

শিক্ষার্থীরা ভাষা ব্যবহার করবে, ব্যবহার করে করে যখন ভাষাটি নিজেদের আয়ত্বে চলে আসবে, তখন আলোচনা করা যেতে পারে যে, বাক্যগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা কী পাই অর্থাৎ কীভাবে বাক্যটি তৈরি হলো। শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে বলবে অর্থাৎ মুখস্থ করে নয়, তারা দেখে , লজিক বের করবে কীভাবে বাক্যটি তৈরি হলো। তারা যেভাবেই বলুক দেখতে হবে তারা সঠিক বলছে কিনা অর্থাৎ বাক্যের প্রথমে সাবজেক্ট তারপর ভার্ব বসেছে ইত্যাদি। গ্রামার তারা আবিষ্কার করবে, তারা ব্যাখ্যা করবে, শিক্ষক নয়। শিক্ষক সবার শেষে একটি ফিনিশিং দিতে পারেন যে, তোমরা বাক্যগুলোর গঠনপ্রণালী যেভাবে বলেছ ঠিক আছে। শিক্ষক আগে স্ট্রাকচার শিখিয়ে সেই অনুযায়ী বাক্য গঠন করার প্রক্রিয়া শেখানো সেকেলে প্রক্রিয়া এবংতাতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের পক্ষে ভাষা শেখার ও ব্যবহার করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সীমিত করে দেওয়া হয়।

লেখক: প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)

আগের পর্বটি পড়ুন>>>

প্রথম পর্ব/ফেসবুকে ইংরেজি শেখানোর ধুম, আসলে কতটা কার্যকরী?

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি