শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন বছর নতুন উদ্দীপনা নতুন কিছু প্রত্যাশা

নতুন বছর নতুন উদ্দীপনা নতুন কিছু প্রত্যাশা। যদিও আমরা এখনও কোভিড থেকে বেরুতে পারিনি। এখন নতুন এসেছে অমিক্রন । এটা যদিও খুব বিপজ্জনক নয়, তবুও ছড়াচ্ছে খুবই দ্রুতবেগে এবং ছড়ানো মানেই হচ্ছে অসুস্থতা বাড়া, মানুষের উপর চাপ বাড়া। সেজন্য কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের রয়ে গেছে। তারপরও আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিও চলছে। সেভাবে যদি চলতে পারে তাহলে বলতে পারি আগামী বছর আমাদের জন্য সহনীয় হবে এবং বছর শেষে অতীতকে পেছনে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশের হার ৯৩.৫৮%। আমি মনে করি এটি একটি সুসংবাদ। কোভিডের সময় আমরা এত চুলচেড়া বিচার বিশ্লেষণ করতে পারিনি। শিক্ষার্থীরা যে পরীক্ষা দিয়েছে এবং তার যে ফল প্রকাশ হয়েছে,এটিই বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বড় একটি প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি। অনেকে হয়তো এর সংখ্যা নিয়ে কথা বলবেন। অনেকগুলি স্কুলে শতভাগ পাশ করেছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে গ্রাম পর্যায়ে যত শিক্ষার্থী সফল হবেন, তাদেরও সংকল্প দাঁড়াবে ভবিষ্যতে ভাল করার। আমি মনে করি প্রতিক্রিয়াটি এমন হওয়া উচিত যে, আমি খুবই আনন্দিত। বিশেষ করে এসএসসি’র ফলটা বেরিয়েছে এবং তাদের সাফল্য দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে।

যদি স্বাভাবিক সময় থাকতো তাহলে হয়তো পাশের হার আরেকটু কম হতো বলেই মনে হয়। পাশ করে গেছে বলেই যে, তাদের অবহেলা করতে হবে তা নয়, বরং যত্ন করে তাদের এইচএসসি’র পড়াশোনার কাজটি শেষ করতে হবে যাতে এইচএসসি’তে আরও ভাল করতে পারে। আমাদের এই সন্তানেরা, তাদের যদি সামস্টিকভাবে যত্ন নেয়া হয়, তারা ভাল করবে। গ্রাম থেকে যেসব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আসে, তাদের প্রথম বছরেই বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়। কারণ তাদের ইংরেজির জ্ঞ্যন খুব একটা থাকে না। কিন্তু দেখা যায়, দুই তিন বছরের মধ্যে তারা নিজেদের মানিয়ে নেয়। কলেজগুলি যেন সত্যিকার অর্থেই সচল হয় এবং যখন কলেজে যাবে শিক্ষার্থীরা, তারা যেন ভালভাবে শিক্ষটুকু পায়। আর এখন যেহেতু সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়ে গেছে সেই শিক্ষা যেন যত্ন করে দেয়া হয়। যারা ভাল করতে পারেনি বিশেষ করে মেয়েরা, তারা এমনিতেই সুযোগ সুবিধা কম পায় এবং পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করলেই বাবা মায়েরা বিয়ে দিয়ে দিতে চায়। তাদের পড়াশনার দিকেও বিশেষ নজর দেয়া উচিত সরকারের।

যে কথাটি না বললেই নয়, যতদিন পর্যন্ত আমাদের মুখস্ত বিদ্যার দিন শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষা নিয়ে আশা ভরসা আলোর মুখ দেখবে না। অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোচিং এ শিক্ষাদান করে থাকেন। যে শিক্ষার্থী পঞ্চম শেণিতে পরীক্ষা দিবে তাদের কোচিংএ ক্লাস করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবেই। তারপর নোটবই গাইড বই কোচিং সিন্ডিকেট ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছিল না। এ থেকে যদি মুক্তি না পায় শিক্ষার্থীরা, তাহলে নোটবই গাইড বইতো লাগবেই এবং যখন এই শিক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যখন তারা যাবে এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তাদের জ্ঞ্যনের কোন পরিপূর্ণতা থাকবে না বলাই বাহুল্য।

শিক্ষাক্ষেত্রে তিনটি পরিবর্তন খুবই জরুরি। প্রথমত, পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন । দ্বিতীয়ত, শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন। বিদেশে আমি দেখেছি এমনকি এ বিষয়ে আমি প্রচুর লিখেছি। নাহিদ সাহেব যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন বাইশ পৃষ্ঠার একটি লেখা জমা দিয়েছিলাম । বিষয়গুলি আমাদের ভাবতে হবে।

আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নরকম ক্লাবের সদস্য হবে । তিন থেকে চারটা ক্লাবের মেম্বার হবে তারা। লাইব্রেরি অর্থাৎ বই পাঠ ক্লাব, প্রকৃতি দর্শন ক্লাব, এডভেঞ্চার ক্লাব, খেলাধুলা বিষয়ক ক্লাব ইত্যাদি। তাদেরকে সেভাবে যদি প্রেজেন্টেশন দেয়া হয় ক্লাসে, সেক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের মেধাবিকাশের সুযোগ সঠিকভাবে পাবে। কুইজের মাধ্যমে যদি তাদের পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়, তাহলে কোচিং এর কোন প্রয়োজন পড়বে না। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি, শিক্ষক যদি প্রজাপতি নিয়ে লিখতে বা ছবি আঁকতে বলেন, সে গুগল দেখে জেনে নিয়ে তারপর নিজেই সেটি করে ফেলতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদানের ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সমাজকে বেঁধে রাখে যেমন প্রতিবন্ধকতা, যেমন দুর্নীতি ,অপশাসন ,সুশাসনের অভাব পিতাহীনতার সংস্কৃতি, এটা চালু হয়ে গেছে। একেবারে ঘুণ ধরে গেছে। তারপর বৈষম্য বাড়ছেই। আমাদের কোটিপতির সংখ্যা এক লাখ কিন্তু হতদরিদ্রর সংখ্যা কয়েক কোটি। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষা আমাদের স্কুলের শিশুদের শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। সেইগুলি যেন দূর হয় এই বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশ একটি বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।

আমি ঢাকাপ্রকাশ পরিবারের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভকামনা জানাই। প্রত্যেকের জন্য নতুন বছর সুন্দর হোক শুভ হোক। নতুন বছরের একটি স্লোগান হওয়া উচিত আমরা সবাই সবার জন্য। কেউ একা নই । বিপদে আমাদের প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে থাকা উচিত। সেরকম আনন্দটিও ভাগ করে নেয়া উচিত। এভাবে সবাই যদি আমরা আমাদের আনন্দ এবং প্রাপ্তিটুকু ভাগ করে নিতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই সকল প্রতিকূলতা, সকল বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাবে।

ঢাকাপ্রকাশ পত্রিকাটি সফল হোক এবং এক্ সময় একটি বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে যেন দাঁড়ায় এবং পাঠকদের স্বস্তিদান করে একইসাথে দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের জন্য যেন স্বস্তিহীন হয়ে দাঁড়ায়। আর এটা যদি হতে পারে তাহলে সবচেয়ে বড় অর্জন ঢাকাপ্রকাশ করায়ত্ত্ব করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

লেখক: শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত