শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষার্থীদের জীবন-দর্শনের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে

মানুষ মাত্রই বিপদ, অনৈতিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। জাতি হিসেবে অগ্রসর হতে এবং বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই সমন্বিত অর্থনৈতিক ও নৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মূল্যবোধের সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে, জীবন-দর্শনের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে এবং ঐতিহ্যগত ও আধুনিক জীবনধারার মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে হবে। জ্ঞান ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর জীবনের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী জীবনধারার মিলন ঘটাতে না পারলে মানব জীবনের গুরুত্বের সংকট দূর করা যাবে না। আর এতে করে সমাজে ফিরে আসবে না নিরাপত্তা ও শান্তি।

দৈনন্দিন জীবনে সৎ, বিশ্বাসযোগ্য ও ন্যায্য বিচার এবং সম্পর্ক তৈরি করতে, মানুষের নৈতিকতার সচেতনতা, আত্ম-সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নৈতিক মূল্যবোধ একজন ব্যক্তিকে তার আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জাতিকে নৈতিক মূল্যবোধের সংকট থেকে মুক্ত করতে শিক্ষার বিকল্প নেই।

প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সমাজে কিছু নৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে। এই মূল্যবোধ বাঙালিরা তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে গ্রহণ করেছে। যেমন— সত্যবাদিতা, অহিংসা, শান্তি, ক্ষমা, অধ্যবসায়, সরলতা, জ্ঞানের তৃষ্ণা, সহনশীলতা, সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধা। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সমাজ শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ধর্ম নৈতিক মূল্যবোধ শেখায়।

মানুষের নৈতিক জীবন ও নৈতিকতার মূল ভিত্তি হলো পরিবার থেকে গড়ে উঠা মূল্যবোধ। নৈতিক মূল্যবোধের উৎস পরিবার। যা মানুষ লালন করে এবং তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় অনুসরণ করে। বাংলাদেশ হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সভ্যতা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান। এই সমাজে, পারিবারিক ঐতিহ্য দীর্ঘকাল ধরে টিকে আছে যা বৃহত্তম জনসংখ্যার জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ করে।

কিন্তু সাম্প্রতিক নগরায়ণ, বিশ্বায়ন, অর্থনৈতিক জীবনের দ্রুত সম্প্রসারণ ও বিকাশ, প্রযুক্তির বিস্তার, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, মিডিয়ার প্রসার, টেলিভিশন ও অনলাইন বিনোদন বাণিজ্যের বিকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের দ্রুত বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত স্থানান্তর, বৈশ্বিক ও দেশীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ প্রথাগত মূল্যবোধকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে এবং দ্রুত পরিবর্তন করছে।

বিশ্বায়নের সাম্প্রতিক যুগে পারিবারিক মূল্যবোধ, নীতি ও নৈতিকতার ব্যাপক অবক্ষয় ঘটেছে। এর ফলে আমাদের শিশুরা কোনো নৈতিক মূল্যবোধ ছাড়াই বেড়ে উঠছে। পরিবার যখন তার নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশের দায়িত্ব নিতে পারে না, তখন তার দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়। দেখা যায় নানা প্রতিকূলতা, অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ দায়িত্ব পালন করছে না। ফলে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশে আজকের সমাজ ব্যবস্থায় নৈতিক মূল্যবোধের সংকট চরমে। আধুনিক জীবনের চাহিদার সঙ্গে বর্তমান মূল্যবোধের সংঘাতের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংকট সৃষ্টি হয়। মূল্যবোধের সংকট বর্তমান সমাজে সুনির্দিষ্ট রূপ নিয়েছে এবং নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় সর্বব্যাপী। ব্যাপক দুর্নীতি, সন্ত্রাসের আক্রমণ, যুবকদের হতাশা এবং লক্ষ্যহীনতার করুণ চিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।

ব্যক্তিজীবনে এসব মূল্যবোধের সংকট বিভিন্নভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। আধুনিক বাংলাদেশের সমাজের প্রকৃতি বিচার করলে আমরা দেখতে পাই সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়। দেশটি ঘুষ, দুর্নীতি, সামাজিক কলহ, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং নৈতিক অবক্ষয় দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির পরিবর্তে তা রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নকলের প্রবণতা, প্রশ্নপত্র ফাঁস, অস্বাস্থ্যকর রাজনীতিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, মারামারি, দলাদলি ও ক্ষমতার চর্চা, শিক্ষার্থীদের অসহিষ্ণুতা, অসামাজিক আচরণ, মাদক সেবন সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। আর এসবের মূলে রয়েছে আমাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুপস্থিতি।

সমাজে নীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশে রাজনৈতিক আধিপত্য ও সামাজিক অবক্ষয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায়ই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো জঘন্য কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। আমরা এখন ছাত্রদের শিক্ষকদের অপমান, দুর্ব্যবহার, হয়রানি এবং এমনকি হত্যার ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে হবে।

অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষের একদিকে যেমন উদ্ভাবনমূলক কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে অন্যদিকে, স্বাধীন কর্মপন্থা বেছে নেওয়া, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্ম-সচেতনতাও তৈরি করতে হবে। মানুষের অভ্যন্তরীণ জগতের উন্নতি হচ্ছে তার নৈতিক গুণের উন্নতি। শিক্ষা, ধর্ম এবং নীতির অনুভূতি এসবই নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে অবদান রাখে। ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে মানবিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ তৈরিতে শিক্ষার্থীদের মনন, কর্ম ও ব্যবহারিক জীবন প্রতিষ্ঠায় নৈতিকতার মানদণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তাছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নৈতিক শিক্ষা দরকার। ব্যক্তিজীবনের আদর্শ গড়ে তুলতে হলে মানুষের মধ্যে সর্বজনীন আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। আধ্যাত্মিক বিষয় মানুষকে সৎ করে তুলবে। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে হবে এবং পরিবারে নৈতিক শিক্ষাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে হবে। শিশুদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার প্রসারে পরিবারের ভূমিকার দিকে মনোযোগ দিতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে।

পরিবারের পরে, যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড মানুষের নৈতিক জীবনে সবচেয়ে বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে তাহলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশে শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি অপরিহার্য দায়িত্ব রয়েছে। শুধু পাঠ্যপুস্তক বা তথ্যে নয়, বক্তব্যের মাধ্যমে নয়, অনুশীলনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ব্যক্তিগত আচরণে নৈতিকতার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আর এজন্য সমাজ থেকে অসমতা ও দারিদ্র দূরীকরণে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার আন্দোলন শুরু করতে হবে। আর এজন্য রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উদার হতে হবে। এ ছাড়া সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি