শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এক নজরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী

জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন ভাস্কুলার সার্জন। তিনি মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ওই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহির্বিশ্বে তাঁর পরিচয় বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার দশ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।

ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল ২০২৩) রাতে তিনি না ফেরার দেশে পারি জমান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে ৮১ বছর। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন।

এমএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

সেবার বিনিময়ে ‘উপহার’ নিতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা

ফাইল ছবি

সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আচরণ সংহিতা (কোড অব কনডাক্ট) তৈরি করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোনো সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের জন্য সরাসরি বা পরোক্ষভাবে লাভজনক হতে পারে, এমন কোনো কর্মকাণ্ডে তারা যুক্ত হতে পারবেন না। সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক কোনো সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবেন না তাঁরা। এ ছাড়া সংস্থার অনুমোদন ছাড়া সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে কেউ কোনো উপহার বা মূল্যবান বস্তু গ্রহণ করতে পারবেন না। কোন পরিস্থিতিতে কী উপহার ও সুবিধা গ্রহণ করা যাবে, তার তালিকা করাসহ রেকর্ড সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলা হয়েছে।

অ-আর্থিক সংস্থা বলতে বোঝানো হয়েছে, দেশের কোনো আইনের মাধ্যমে তৈরি বা পরিচালিত অথবা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোনো স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, কমিশন, কাউন্সিল, বোর্ড ইত্যাদি।

অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ভ্রমণসহ প্রাতিষ্ঠানিক ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কর্মচারীদের শেয়ার, সিকিউরিটিজ বা অন্যান্য আর্থিক সম্পদ কেনাবেচা, লেনদেন ও ধারণ করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিজ সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ আছে, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন না কেউ, ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য কিছু করা যাবে না। অন্য কোথাও বৈতনিক বা অবৈতনিক অথবা খণ্ডকালীন চাকরিও করা যাবে না।

এতে বলা হয়েছে, নিজের ধর্মের প্রতি সম্মান বজায় রাখার পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও সমানুভূতি প্রকাশ করতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সবার প্রতি সমান সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে। হেনস্তা, বৈষম্য বা অন্য কোনো অস্বস্তিকর আচরণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে নিজের অফিসে। সেবাগ্রহীতাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তি, সন্তুষ্টি বা অসন্তোষ ইত্যাদি প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সরকারি কেনাকাটায় কোনোভাবেই আইন বা বিধির ফাঁকে প্রতিযোগিতার ব্যত্যয় ঘটিয়ে দরপত্র ডাকা যাবে না। ক্রয়প্রক্রিয়া এমনভাবে সম্পাদন করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্বের সূত্রপাত না ঘটে। আর অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রকার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো দায় সৃষ্টির অঙ্গীকারও করা যাবে না।

আরও বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না, চাকরিস্থল ত্যাগও করতে পারবেন না। কাজ করতে পারবেন না কেউ কোনো বিমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবেও।

আচরণ সংহিতা লঙ্ঘন করলে কী হবে—এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অর্থ বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, সরকার চায় সব সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীই এ আচরণ সংহিতা মেনে চলবেন। এটা লঙ্ঘনের দায়ে কী করা হবে বলা না থাকলেও সরকার চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

Header Ad
Header Ad

নাইজারে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর জঙ্গি হামলা, নিহত ৪৪

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক মসজিদে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। শনিবার নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে, যা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশ করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজারের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামে শুক্রবার নামাজের সময় এই হামলা চালানো হয়। হামলার জন্য দায়ী হিসাবে ইসলামিক স্টেট ইন গ্রেটার সাহারা (ইআইজিএস) গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র ইসলামপন্থী সংগঠন হিসেবে পরিচিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলাকারী জঙ্গিরা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদ ঘিরে ফেলে এবং পবিত্র রমজান মাসে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর 'নিষ্ঠুর গণহত্যা' চালায়। পরে তারা স্থানীয় বাজার এবং কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে চলে যায়।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নাইজারে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

এটি নিছক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; ২০১২ সালে মালিতে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা তুয়ারেগদের মাধ্যমে উত্তরের একটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে। এরপর বুরকিনা ফাসো, নাইজারসহ সাহেল অঞ্চলে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

এখন, পশ্চিমা দেশগুলোও এই অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েন করেছে, এবং নাইজার এই লড়াইয়ে তাদের অন্যতম প্রধান মিত্র হয়ে উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, এবার প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে সাকিব

বেটিং সাইটের প্রচারে সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসানের জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। এই চুক্তি শেষ হওয়ার পরই সাকিব এখন প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে নামলেন।

এর আগে ২০২২ সালে একটি ক্রীড়া বিষয়ক নিউজ সাইটের মাধ্যমে তিনি জুয়ার বিজ্ঞাপন করেছিলেন, কিন্তু সে সময় বিসিবির চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তখন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। পরে সাকিব সেই ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।

এখন, জাতীয় দলের সাথে তার সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে গেছেন এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রীয় চুক্তিও তার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে, সাকিব এখন প্রকাশ্যভাবে বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে অংশ নিচ্ছেন, এবং এই বিজ্ঞাপনটি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেয়ার করেছেন।

এর আগে বাংলাদেশের কোনো পাবলিক ফিগারকে এমনভাবে প্রকাশ্যে বেটিং সাইটের প্রচারে দেখা যায়নি।

এদিকে, বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেবার বিনিময়ে ‘উপহার’ নিতে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
নাইজারে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর জঙ্গি হামলা, নিহত ৪৪
জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, এবার প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে সাকিব
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: তারেক রহমান
দানব আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা কঠোর হাতে দমন করা হবে: নাহিদ ইসলাম
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জুলাইয়ে আহতদের
নওগাঁয় ১১৯ কেজি গাঁজাসহ ছয় মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
আইপিএল খেলতে ৩ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সাকিবের যোগাযোগ
২৫৫ পদে নিয়োগ দেবে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা
বক্সিং কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যানের মৃত্যু
ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার, যানজটের শঙ্কা
১৬ বছরে ভোটার ও ২৩ বছরে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি
কাজী ডাকতে গেল প্রেমিক, প্রেমিকাকে নিয়ে পালাল বন্ধু
মধ্যরাতে ন্যান্সির বাড়ি ঘেরাও
ঈদ বাজারে জাল নোটের ছড়াছড়ি, জেনে নিন চেনার উপায়
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক আহত
অনলাইন পোর্টালের জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ৭ সুপারিশ
জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব: মির্জা ফখরুল
ফিল্মফেয়ারে ‘ভুল’ ইংরেজি বলে তোপের মুখে শ্রাবন্তী