১৬ বছরে ভোটার ও ২৩ বছরে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর, আর নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর রূপায়ণ সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।’
সারোয়ার তুষার বলেন, সংস্কার প্রস্তাবে বলা হয়েছে প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। আমরা মনে করছি এটা ২৩ বছর হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেপ তৈরি হলো, এরপর পরবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধুমাত্র বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। এজন্য ১৬ বছর ভোটারের বয়স করার জন্য আগামীকাল আমরা প্রস্তাব করবো।

তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে বলে এসেছি আমরা একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই। সেটা করার জন্য আমরা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি মনে করি গণপরিষদ নির্বাচন। সেক্ষেত্রে আমরা বলেছি গণপরিষদ নির্বাচন যদি না হয় তাহলে গণপরিষদ এবং আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদ হতে হবে। এমন একটা আইনসভা গণপরিষদের ভূমিকায় থাকবে। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল কথা বলবো।
এসময় প্রশ্ন রেখে সারোয়ার তুষার বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের স্প্রেডশিট আমাদের কাছে কেন পাঠানো হলো না! বাহাত্তরের সংবিধান অভ্যুত্থানের পরে আর কার্যকর নয়। যদিও প্রশ্ন আসে যে এই সরকার তো সংবিধানের মধ্য দিয়ে শপথ নিয়েছে। এটা একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার। আমরা মনে করি গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান লেখা উচিত।
আগামীকাল রোববার দুপুর ২টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয় এনসিপির প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিক মতামত জমা দেবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত এবং কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন।
