শবে কদর,ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ৮দিন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকছে।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক আদেশে ঈদের দিন বাদে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল শুল্কভবনের কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, “এবার ৩১মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের তারিখ ধরে এর আগে-পরে (২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) চার দিন ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২৮ মার্চ পড়েছে শুক্রবার। শবে কদরেরও ছুটিও সেদিন।
ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। সেদিনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিনের ছুটিতে থাকবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।ছুটি শেষে অফিস খুলবে আগামী ৬ এপ্রিল (রোববার)।তবে আমদানি রপ্তানি ৫এপ্রিল থেকে চলবে।এতে সব মিলিয়ে টানা ৮ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বন্দর।”
অবশ্য বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেছেন ঈদের পরের শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি দিন হলেও ওদিন থেকে আমদানি রপ্তানি চলবে।
এদিকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য কাস্টমস নীতি সংক্রান্ত দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে,
দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার অভিপ্রায়ে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ২৮ মার্চ থেকে ০৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বেনাপোল বন্দর ও শুল্কভবন কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন এসময় কেউ চাইলে অবশ্যই পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হবে।
এদিকে সীমান্তের দুই পাশে টানা ছুটির কারণে ট্রাকের জট বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতের পেট্রাপোলে পণ্যবাহী ট্রাকের জট রয়েছে বলে জানান এ বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্ত্তিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে।এসব পণ্য পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে। এতে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুজ্জামান সজীব বলেন, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে তিন থেকে চার'শ’ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে আর বেনাপোল দিয়ে দেড়শ’ থেকে দুই'শ’ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে।দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
ছুটির এ কয়দিন কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ আহসান ভূঁইয়া।