এলএনজিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও আমদানি নির্ভরতা কমানোর আহ্বান

ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জলবায়ুকর্মীরা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাস প্রাঙ্গণে ইয়ুথনেট ও ক্যাপস এর উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এ দাবি জানান।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটে জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান তরুণ এসব জলবায়ু কর্মী। ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতেও সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান তারা।
তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি জলবায়ু ও জ্বালানি-সুরক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চান। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিবর্তে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবি জানান বক্তারা।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রাজধানীস্থ কারওয়ান বাজার এলাকায় তরুণ জলবায়ু কর্মীরা সমাবেত হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পদযাত্রা করেন। সুইডিস জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আহবানে “ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)” যৌথভাবে এই জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে।
নানা ধরনের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে দুই শতাধিক তরুণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দেশের ২৬টি জেলার তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু ধর্মঘটের দাবিগুলোর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরইউ/এএস
