রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ লাখ ডলারের খাদ্য সহায়তা জাপানের

জাপান সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি) ১০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) ঢাকার জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি মারাত্মক অর্থায়নের ঘাটতির কারণে ডব্লিউএফপি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য তার জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ৪৩ লাখ মার্কিন ডলারের খাদ্য সহায়তার পর, জাপান রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপির খাদ্যের জরুরি আবেদনে সাড়া দেওয়ার জন্য প্রথম দাতাদের মধ্যে একজন হিসেবে অতিরিক্ত ১০ লাখ মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই সময় পরিমাণটি সামান্য, আমি আশা করি এই দ্রুত সহায়তা খাদ্য সংকটের জরুরিতা প্রশমিত করতে এবং ক্যাম্পের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক কক্সবাজার ক্যাম্প সফরের সময়, আমি ডব্লিএফপি ও এর অংশীদারদের নিবেদিত এবং পেশাদার কাজ দেখেছি। যেহেতু রোহিঙ্গা সংকট ষষ্ঠ বছরে পরিণত হয়েছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে শরণার্থীদের উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য অর্থায়ন অব্যাহত রাখা অপরিহার্য। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জাপান বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পাশে থাকবে।
২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থার শুরু থেকে জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রতি অবিচল সমর্থন, এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে ডব্লিউএফপি, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং বাংলাদেশে এনজিওগুলোকে জাপান ২০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
আরইউ/এসজি
