নির্বাচন এলে জোট হয়, জটও হয়: দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের সংগঠকদের বোঝা বড় দায়। নির্বাচন সামনে এলেই কিছু লোকজন আসে। তাদের জোট হয়, তার মধ্য থেকে আবার জটও হয়। তারপর তারা আবার নির্বাচনে যায় না। নানা রকম কিছু হয়। এরকম খেলা আমরা বহু বছর ধরে দেখছি, এটা নতুন কিছু না। গত নির্বাচনে তারা আরেক জোট নিয়ে হাজির হয়েছিল।
রবিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে 'অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, এখন কী একটা মঞ্চ হয়েছে, নাম গণতন্ত্র মঞ্চ। সেখানে যে নামগুলো দেখছি তারা আর গণতন্ত্র মঞ্চ এই দুটোকে মেলানো বড় কঠিন। যাই হোক আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, যেকোনো দল জোট সবকিছু হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। তাকে হত্যা করা হবে তিনি জানতেন, তবে বিশ্বাস করতেন না। তিনি মনে করতেন, বাঙালিরা তাকে কখনো হত্যা করতে পারে না। তারপরও তার গড়া স্বাধীন দেশে তাকে হত্যা করা হলো।
বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, তখন বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে না চিনলেও বঙ্গবন্ধুকে চিনত। বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষের বিশ্ব মোড়লরা তাকে থ্রেড হিসেবে মনে করত।
দীপু মনি বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পেত। তারা মনে করত বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ বেঁচে থাকলে তারা ফের দেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিয়ে যাবে। দেশে না থাকার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন বাবার আদর্শকে বহন করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তিনি তার বাবার মতো যা বলেন তা করেন। তাই তাকেও ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র।
প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুর রশীদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট বিভু রঞ্জন সরকার।
এনএইচবি/এসজি/
