বঙ্গবন্ধু মেডেল পেলেন সুলতানা লায়লা ও ইতো নাওকি
এ বছর ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পেলেন পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। কূটনীতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তারা এ পুরষ্কার পেলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন সংকটের সময় দেশটি থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধার তৎপরতায় অবদান রেখেছেন সুলতানা লায়লা। এর আগে ২০১১ সালে লিবিয়া সংকটের সময়ও প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে কনস্যুলার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে অবদান রেখেছিলেন।
১১তম ব্যাচের বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা এর আগে দিল্লি ও ইয়াঙ্গুনে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি লস এঞ্জেলসে কনস্যুলেট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পদক পাওয়া পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুলতানা লায়লা বলেন, ইউক্রেন বাংলাদেশিদের উদ্ধার সহজ ছিল না। দূতাবাসের কর্মীরা তখন প্রায় ২৪ ঘণ্টাই কাজ করেছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স’ পেলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন ইতো নাওকি।
পদক পাওয়ার পর ইতো নাওকি বলেন, দূতাবাসের কর্মী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। বিশেষ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের (ইস্ট এশিয়া) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গত বছর থেকে এই পদক দেওয়া শুরু হয়। প্রথম পদক পেয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি।
আরইউ/আরএ/