রবিবার সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল হাট
আগামীকাল রবিবার (৩ জুলাই) সারাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে উদ্বোধন হবে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট। শনিবার (২ জুলাই) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির পশু কেনাবেচায় জনসমাগম ও ভোগান্তি কমাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবারও অনলাইনে বসতে যাচ্ছে 'ডিজিটাল পশুর হাট'। ইতোমধ্যে কোরবানির পশু ডিজিটাল হাটে বেচাকেনা শুরু হয়েছে এবং সকল জেলা ও উপজেলা হতে হাটগুলো প্লাটফর্মের (digitalhaat.gov.bd) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আইসিটি বিভাগ, একশপ-এটুআই, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব আয়োজন করতে যাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় অনলাইন কোরবানি পশুর হাটের। সহযোগিতায় রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)।
যৌথভাবে দেশব্যাপী একযোগে আগামী ৩ জুলাই বিকাল ৪টায় সকল জেলা উপজেলায় ডিজিটাল কোরবানির হাট উদ্বোধন করা হবে।
এতে উপস্থিত থাকবেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিজিটাল হাটে পশু বেচাকেনা প্রতিবছরই বাড়ছে। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো পরিচালিত ডিজিটাল হাটে ২৭ হাজার পশু বিক্রি হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি হয় ডিজিটাল হাটে।
ডিজিটাল হাটের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক পশু খামারি যুক্ত হয়েছেন। গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট ও মহিষকে প্রাণীর ক্যাটাগরি হিসেবে ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে গ্রহাকের অভিযোগ জানানোরও ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া আছে অনলাইন পেমেন্টে সিস্টেমের সুবিধা।
অনলাইন হাট থেকে পশু কিনে নিয়ে যাওয়া একটি বিরাট সমস্যা। কিন্তু ডিজিটাল হাটের উদ্যোগে পশু শিপমেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া মাংস প্রসেসিং করার জন্য রয়েছে কসাইয়ের ব্যবস্থাও।
আরইউ/এমএমএ/