শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

অহংকার পতনের আগে আগে চলে-এই সত্য নিয়েই জ্যাকের শিক্ষা যেন পূর্ণতা পায়। সে ভেবেছিল, পরদিন তার বন্ধুদের বাহবার জবাব হিসেবে নিজের অহংকারী আচরণ প্রদর্শন করবে। ক্লাসের শুরুতেই হাজিরার সময় মুনোজের কোনো সাড়া পাওয়া গেল না; জ্যাকের পাশের বন্ধুরা মুনোজের অনুপস্থিতির বিষয়টাকে কটাক্ষ করে বিজয়ী জ্যাকের দিকে মন্তব্য ছুড়ে দিল এবং চোখের ইশারায় বাঁকা চাহনিতে বাহবা দিল। জ্যাক তাদের প্রতি সাড়া দিতে গিয়ে যেন অহংকারের কাছেই সপে দিল নিজেকে: গাল ফুলিয়ে চোখ আধ বোঁজা অবস্থায় ওদের দিকে যখন সে তাকিয়েছে তখন বুঝতেই পারেনি, এম বার্নার্ড তাকে দেখছেন। তামাশা দেখানোর জন্য অদ্ভূত অনুকৃতির আশ্রয় নিয়েছে জ্যাক; তবে তার চোখের ওই অদ্ভূত চাহনি মিইয়ে গেল যখন সে সুনসান নীরব ক্লাসে এম বার্নার্ডের কণ্ঠ শুনতে পেলো, ‘স্যারের হতভাগা পোষা ছাত্র’, অন্যদের মতো তোমারও মিষ্টি লাঠির ওপরে সমান অধিকার আছে। উঠে দাঁড়িয়ে, শাস্তির অস্ত্রটা নিয়ে এসে এম বার্নার্ডের চারপাশে ভেসে বেড়ানো সতেজ কোলনের সুগন্ধের মধ্যে শাস্তির অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া বিজয়ীর সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না।

ফলিত দর্শনের মধ্য দিয়ে পাওয়া ওই শিক্ষার মাধ্যমে মুনোজ অধ্যায়ের শেষ হয়নি। মুনোজ আরো দুদিন অনুপস্থিত থাকল এবং জ্যাক ওপরে ওপরে যতই বাহাদুরির ভাব দেখাক না কেন, ভেতরে ভেতরে সেও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তৃতীয় দিনে ওপরের ক্লাসের এক ছাত্র এসে এম বার্নার্ডকে খবর দিল অধ্যক্ষ করমারি নামের ছেলেটিকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শুধু গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটালেই অধ্যক্ষ ডেকে পাঠাতেন। শ্রেণি শিক্ষক তার ঘন ভ্রু পল্লব তুলে শুধু বলতেন, তাড়াতাড়ি যাও। আশা করি কোনো রকম বোকামি করোনি। স্খলিত পায়ে জ্যাক ওপরের ক্লাসের ছেলেটার পিছে পিছে রওনা হলো করিডোর পেরিয়ে সিমেন্ট বাঁধানো উঠোনের দিকে। করিডোরের কাগজের গাছগুলোকে ছোপ ছোপ আলো বাইরের তাপ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। করিডোরের শেষ প্রান্তে অধ্যক্ষের অফিস। অফিস রুমে ঢুকেই জ্যাক দেখতে পেল, অধ্যক্ষের ডেস্কের সামনে দাঁড়ানো নালিশ উপস্থাপনরত দুজন নারী পুরুষ মুনোজকে আগলে রেখেছেন। যদিও ফোলা এবং পুরোপুরি বন্ধ চোখের কারণে মুনোজের মুখের চেহারা বিদঘুটে দেখাচ্ছে তবু জ্যাক স্বস্তি পেল যে, সে জীবিত আছে। তবে ওই স্বস্তি উপভোগ করার মতো সময় সে মোটেও পেল না।

টাক মাথার বেঁটে এবং লালমুখো অধ্যক্ষ তার প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে খুব জোরালো গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমিই একে চোখে আঘাত করেছ?
নিস্পৃহ কণ্ঠে জ্যাক বললো, হ্যাঁ।
মহিলা বললেন, আমি বলেছি না, জনাব, আমার আঁদ্রে গুণ্ডা নয়।
জ্যাক শুধু বলতে পারল, আমাদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল।

অধ্যক্ষ বললেন, আমি এতসব জানতে চাচ্ছি না। আমি সব ধরনের মারামারি নিষেধ করে দিয়েছি। এমনকি স্কুলের বাইরেও। তুমি তোমার সহপাঠিকে মেরে যখম করে দিয়েছ। আঘাতটা তো আরো মারাত্বক হতে পারত। প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক শাস্তি হিসেবে তোমাকে এক সপ্তাহব্যাপী ক্লাসের সব বিরতির সময় মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এধরনের কাজ আবার করলে তোমাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হবে। তোমার শাস্তির কথা তোমার বাবা মাকেও জানাব আমি। তুমি এখন তোমার ক্লাসে যেতে পারো। জ্যাক বজ্রাহতের মতো চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। অধ্যক্ষ ধমক ছাড়লেন, যাও বলছি!

জ্যাক কাঁদতে কাঁদতে ক্লাসে ফিরে আসার সময় এম বার্নার্ড বললেন, ঠিক আছে বাহাদুর? বলে যাও আমি শুনছি। জ্যাক প্রথমে তার শাস্তির কথা বলল; তারপর জানাল, মুনোজের বাবা মা তার নামে নালিশ করেছেন এবং সবশেষে জানাল, তাদের মারামারির কথা।

এম বার্নার্ড জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা মারামারি করেছ কেন?
মুনোজ আমাকে ‘স্যারের পোষা ছাত্র’ বলেছে।
আবারো বলেছে?
না, আর বলেনি। এখানে ক্লাসে বলেছিল।
আহা, সে তো আমি জানিই। তুমি মনে করেছ আমি তোমাকে ঠিকমতো সমর্থন দিইনি।
জ্যাক এম বার্নার্ডের দিকে অশ্রুভরা চোখে তাকিয়ে বলতে থাকল, না না। তা নয়। আসলে...। আর কিছু বলতে না পেরে জ্যাক ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে।
এম বার্নার্ড বললেন, যাও, বসে পড়ো।
জ্যাক অশ্রুভেজা চাহনিতে বলল, এটা ঠিক হয়নি।
এম বার্নার্ড প্রশান্ত কণ্ঠে বললেন, ঠিক হয়েছে। তুমি বুঝতে পারোনি।

পরদিন ক্লাসের বিরতির সময় জ্যাক খেলার মাঠের এক কোণায় হৈচৈরত বন্ধুদের দিকে পেছন ফিরে তার শাস্তির নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে রইল। মাঝে মাঝে শরীরের ওজন এক পা থেকে অন্য পায়ে স্থানান্তর করতে থাকল। সে সময় অন্যদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে ওঠার জন্য তার মনটা ছটফট করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর পর চোরা চোখে তাকানোর চেষ্টায় সে পেছনের দিকে দেখতে পেল, এম বার্নার্ড তার অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে মাঠের কোণায় পায়চারি করছেন। তিনি জ্যাকের দিকে তাকাচ্ছেন না। দ্বিতীয় দিনে জ্যাক খেয়াল করতে পারেনি, এম বার্নার্ড কখন তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জ্যাকের ঘাড়ের কাছে টোকা দিয়ে তিনি বললেন, মুখ এত ভারী হয়ে আছে কেন ক্ষুদে মানব? মুনোজও মাঠের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে আমি তোমাকে ওর দিকে তাকানোর অনুমতি দিলাম। আসলেই মুনোজও মাঠের আরেক কোণায় গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এম বার্নার্ড হেসে বললেন, তোমার শাস্তি ভোগের এই পুরো এক সপ্তাহ তোমার সাঙ্গপাঙ্গরা ওর সঙ্গে খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছ, তুমি একা শুধু শাস্তি পাচ্ছো না। এরকমই হওয়া উচিত। জ্যাককে আরো কিছু বলার জন্য তার দিকে আরেকটু ঝুঁকে এলেন মে বার্নার্ড। স্নেহের হাসি ছড়িয়ে বললেন, জানো তো, তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝা যায় তুমি যে এত বড় একটা ঘুষি দিতে পারো তা তুমি নিজেই জানতে না মনে হয়। শুনে জ্যাকের সমস্ত হৃদয় ভালোবাসায় প্লাবিত হয়ে গেল।

আজ যিনি ক্যানারি পাখির সঙ্গে কথা বলছেন এবং চল্লিশ বছর বয়সী জ্যাককে কিডো বলছেন তার কাছ থেকে জ্যাককে এত বছরের দীর্ঘ একটা সময়, ভৌগলিক দূরত্ব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রথমত আংশিক এবং পরে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তার ছেলেবেলায় ১৯৪৫ সালে একদিন সৈনিকের কোট পরা একজন বয়স্ক টেরিটোরিয়াল প্যারিসে তার দরজায় কড়া নেড়েছিল বলে অল্প বয়সী জ্যাক খুশি হয়েছিল। তিনি এম বার্নার্ড, নিজেই বলেছিলেন তিনি আবারো সৈনিকের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন-যুদ্ধের জন্য নয়, হিটলারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, বৎস, তুমিও যুদ্ধ করেছ; আমি জেনেছি তুমি সঠিক ধাতুইে গড়া। তুমি তোমার মাকে ভুলে যাওনি। কেননা পৃথিবীতে মা-ই সবার সেরা। আমি আলজিয়ার্সে চলে যাচ্ছি। ওখানে আসলে আমার সঙ্গে দেখা না করে এসো না। বিগত পনেরো বছর ধরে জ্যাক তার সঙ্গে দেখা করে আসছে। প্রতিবারই বিদায় নেওয়ার আগে জ্যাক দরজার কাছে এসে গভীর আবেগে থরথর এই বুড়ো মানুষটাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে। বিশ্বের বুকে চলার জন্য ইনিই জ্যাককে তৈরি করে দিয়েছেন। জ্যাক যাতে আরো আরো বেশি কিছু আবিষ্কার করতে পারে সেই উদ্দেশে তিনি জ্যাকের শিকড় কেটে দেওয়ার দায়িত্ব একাই পালন করেছেন।

(চলবে...)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট