শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

অহংকার পতনের আগে আগে চলে-এই সত্য নিয়েই জ্যাকের শিক্ষা যেন পূর্ণতা পায়। সে ভেবেছিল, পরদিন তার বন্ধুদের বাহবার জবাব হিসেবে নিজের অহংকারী আচরণ প্রদর্শন করবে। ক্লাসের শুরুতেই হাজিরার সময় মুনোজের কোনো সাড়া পাওয়া গেল না; জ্যাকের পাশের বন্ধুরা মুনোজের অনুপস্থিতির বিষয়টাকে কটাক্ষ করে বিজয়ী জ্যাকের দিকে মন্তব্য ছুড়ে দিল এবং চোখের ইশারায় বাঁকা চাহনিতে বাহবা দিল। জ্যাক তাদের প্রতি সাড়া দিতে গিয়ে যেন অহংকারের কাছেই সপে দিল নিজেকে: গাল ফুলিয়ে চোখ আধ বোঁজা অবস্থায় ওদের দিকে যখন সে তাকিয়েছে তখন বুঝতেই পারেনি, এম বার্নার্ড তাকে দেখছেন। তামাশা দেখানোর জন্য অদ্ভূত অনুকৃতির আশ্রয় নিয়েছে জ্যাক; তবে তার চোখের ওই অদ্ভূত চাহনি মিইয়ে গেল যখন সে সুনসান নীরব ক্লাসে এম বার্নার্ডের কণ্ঠ শুনতে পেলো, ‘স্যারের হতভাগা পোষা ছাত্র’, অন্যদের মতো তোমারও মিষ্টি লাঠির ওপরে সমান অধিকার আছে। উঠে দাঁড়িয়ে, শাস্তির অস্ত্রটা নিয়ে এসে এম বার্নার্ডের চারপাশে ভেসে বেড়ানো সতেজ কোলনের সুগন্ধের মধ্যে শাস্তির অবমাননাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া ছাড়া বিজয়ীর সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না।

ফলিত দর্শনের মধ্য দিয়ে পাওয়া ওই শিক্ষার মাধ্যমে মুনোজ অধ্যায়ের শেষ হয়নি। মুনোজ আরো দুদিন অনুপস্থিত থাকল এবং জ্যাক ওপরে ওপরে যতই বাহাদুরির ভাব দেখাক না কেন, ভেতরে ভেতরে সেও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তৃতীয় দিনে ওপরের ক্লাসের এক ছাত্র এসে এম বার্নার্ডকে খবর দিল অধ্যক্ষ করমারি নামের ছেলেটিকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শুধু গুরুতর কোনো ঘটনা ঘটালেই অধ্যক্ষ ডেকে পাঠাতেন। শ্রেণি শিক্ষক তার ঘন ভ্রু পল্লব তুলে শুধু বলতেন, তাড়াতাড়ি যাও। আশা করি কোনো রকম বোকামি করোনি। স্খলিত পায়ে জ্যাক ওপরের ক্লাসের ছেলেটার পিছে পিছে রওনা হলো করিডোর পেরিয়ে সিমেন্ট বাঁধানো উঠোনের দিকে। করিডোরের কাগজের গাছগুলোকে ছোপ ছোপ আলো বাইরের তাপ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। করিডোরের শেষ প্রান্তে অধ্যক্ষের অফিস। অফিস রুমে ঢুকেই জ্যাক দেখতে পেল, অধ্যক্ষের ডেস্কের সামনে দাঁড়ানো নালিশ উপস্থাপনরত দুজন নারী পুরুষ মুনোজকে আগলে রেখেছেন। যদিও ফোলা এবং পুরোপুরি বন্ধ চোখের কারণে মুনোজের মুখের চেহারা বিদঘুটে দেখাচ্ছে তবু জ্যাক স্বস্তি পেল যে, সে জীবিত আছে। তবে ওই স্বস্তি উপভোগ করার মতো সময় সে মোটেও পেল না।

টাক মাথার বেঁটে এবং লালমুখো অধ্যক্ষ তার প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে খুব জোরালো গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমিই একে চোখে আঘাত করেছ?
নিস্পৃহ কণ্ঠে জ্যাক বললো, হ্যাঁ।
মহিলা বললেন, আমি বলেছি না, জনাব, আমার আঁদ্রে গুণ্ডা নয়।
জ্যাক শুধু বলতে পারল, আমাদের মধ্যে মারামারি হয়েছিল।

অধ্যক্ষ বললেন, আমি এতসব জানতে চাচ্ছি না। আমি সব ধরনের মারামারি নিষেধ করে দিয়েছি। এমনকি স্কুলের বাইরেও। তুমি তোমার সহপাঠিকে মেরে যখম করে দিয়েছ। আঘাতটা তো আরো মারাত্বক হতে পারত। প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক শাস্তি হিসেবে তোমাকে এক সপ্তাহব্যাপী ক্লাসের সব বিরতির সময় মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। এধরনের কাজ আবার করলে তোমাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হবে। তোমার শাস্তির কথা তোমার বাবা মাকেও জানাব আমি। তুমি এখন তোমার ক্লাসে যেতে পারো। জ্যাক বজ্রাহতের মতো চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। অধ্যক্ষ ধমক ছাড়লেন, যাও বলছি!

জ্যাক কাঁদতে কাঁদতে ক্লাসে ফিরে আসার সময় এম বার্নার্ড বললেন, ঠিক আছে বাহাদুর? বলে যাও আমি শুনছি। জ্যাক প্রথমে তার শাস্তির কথা বলল; তারপর জানাল, মুনোজের বাবা মা তার নামে নালিশ করেছেন এবং সবশেষে জানাল, তাদের মারামারির কথা।

এম বার্নার্ড জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা মারামারি করেছ কেন?
মুনোজ আমাকে ‘স্যারের পোষা ছাত্র’ বলেছে।
আবারো বলেছে?
না, আর বলেনি। এখানে ক্লাসে বলেছিল।
আহা, সে তো আমি জানিই। তুমি মনে করেছ আমি তোমাকে ঠিকমতো সমর্থন দিইনি।
জ্যাক এম বার্নার্ডের দিকে অশ্রুভরা চোখে তাকিয়ে বলতে থাকল, না না। তা নয়। আসলে...। আর কিছু বলতে না পেরে জ্যাক ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে।
এম বার্নার্ড বললেন, যাও, বসে পড়ো।
জ্যাক অশ্রুভেজা চাহনিতে বলল, এটা ঠিক হয়নি।
এম বার্নার্ড প্রশান্ত কণ্ঠে বললেন, ঠিক হয়েছে। তুমি বুঝতে পারোনি।

পরদিন ক্লাসের বিরতির সময় জ্যাক খেলার মাঠের এক কোণায় হৈচৈরত বন্ধুদের দিকে পেছন ফিরে তার শাস্তির নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে রইল। মাঝে মাঝে শরীরের ওজন এক পা থেকে অন্য পায়ে স্থানান্তর করতে থাকল। সে সময় অন্যদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে ওঠার জন্য তার মনটা ছটফট করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর পর চোরা চোখে তাকানোর চেষ্টায় সে পেছনের দিকে দেখতে পেল, এম বার্নার্ড তার অন্যান্য সহকর্মীর সঙ্গে মাঠের কোণায় পায়চারি করছেন। তিনি জ্যাকের দিকে তাকাচ্ছেন না। দ্বিতীয় দিনে জ্যাক খেয়াল করতে পারেনি, এম বার্নার্ড কখন তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জ্যাকের ঘাড়ের কাছে টোকা দিয়ে তিনি বললেন, মুখ এত ভারী হয়ে আছে কেন ক্ষুদে মানব? মুনোজও মাঠের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহূর্তে আমি তোমাকে ওর দিকে তাকানোর অনুমতি দিলাম। আসলেই মুনোজও মাঠের আরেক কোণায় গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এম বার্নার্ড হেসে বললেন, তোমার শাস্তি ভোগের এই পুরো এক সপ্তাহ তোমার সাঙ্গপাঙ্গরা ওর সঙ্গে খেলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছ, তুমি একা শুধু শাস্তি পাচ্ছো না। এরকমই হওয়া উচিত। জ্যাককে আরো কিছু বলার জন্য তার দিকে আরেকটু ঝুঁকে এলেন মে বার্নার্ড। স্নেহের হাসি ছড়িয়ে বললেন, জানো তো, তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝা যায় তুমি যে এত বড় একটা ঘুষি দিতে পারো তা তুমি নিজেই জানতে না মনে হয়। শুনে জ্যাকের সমস্ত হৃদয় ভালোবাসায় প্লাবিত হয়ে গেল।

আজ যিনি ক্যানারি পাখির সঙ্গে কথা বলছেন এবং চল্লিশ বছর বয়সী জ্যাককে কিডো বলছেন তার কাছ থেকে জ্যাককে এত বছরের দীর্ঘ একটা সময়, ভৌগলিক দূরত্ব এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রথমত আংশিক এবং পরে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। তার ছেলেবেলায় ১৯৪৫ সালে একদিন সৈনিকের কোট পরা একজন বয়স্ক টেরিটোরিয়াল প্যারিসে তার দরজায় কড়া নেড়েছিল বলে অল্প বয়সী জ্যাক খুশি হয়েছিল। তিনি এম বার্নার্ড, নিজেই বলেছিলেন তিনি আবারো সৈনিকের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন-যুদ্ধের জন্য নয়, হিটলারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, বৎস, তুমিও যুদ্ধ করেছ; আমি জেনেছি তুমি সঠিক ধাতুইে গড়া। তুমি তোমার মাকে ভুলে যাওনি। কেননা পৃথিবীতে মা-ই সবার সেরা। আমি আলজিয়ার্সে চলে যাচ্ছি। ওখানে আসলে আমার সঙ্গে দেখা না করে এসো না। বিগত পনেরো বছর ধরে জ্যাক তার সঙ্গে দেখা করে আসছে। প্রতিবারই বিদায় নেওয়ার আগে জ্যাক দরজার কাছে এসে গভীর আবেগে থরথর এই বুড়ো মানুষটাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে। বিশ্বের বুকে চলার জন্য ইনিই জ্যাককে তৈরি করে দিয়েছেন। জ্যাক যাতে আরো আরো বেশি কিছু আবিষ্কার করতে পারে সেই উদ্দেশে তিনি জ্যাকের শিকড় কেটে দেওয়ার দায়িত্ব একাই পালন করেছেন।

(চলবে...)

 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত