শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান

লাঠিটা ছিল মোটা বেঁটে একটা কাঠের রুলার। কালি আর দাগদাগালি ভরা। এম বার্নার্ড কোনো এক ছাত্রের কাছ থেকে শাস্তিস্বরূপ কেড়ে নিয়েছিলেন। নিজের জায়গা থেকে উঠে বালক লাঠিটা তুলে দিত এম বার্নার্ডের হাতে। তিনি একটুখানি বিদ্রুপের হাসি ছড়িয়ে লাঠিটা হাতে নিতেন এবং দুপা ছড়িয়ে দাঁড়াতেন। বালকটা শিক্ষকের হাঁটুর মাঝখানে মাথা রাখত। আর তিনি তাকে আটকে রেখে পাছায় কষে বাড়ি মারতেন। আপরাধের মাত্রা বুঝে বাড়ির সংখ্যা নির্ধারিত হতো, দুপাশে সমান সমান। এই শাস্তির প্রতিক্রিয়া ছাত্রের স্বভাবের ওপর নির্ভর করত: কেউ কেউ গায়ে বাড়ি লাগার আগেই কেঁদে ফেলত। এম বার্নার্ড দেখতেন, ছাত্র শাস্তির স্বাদ আগেই পাওয়া শুরু করেছে।

কেউ কেউ হাত দিয়ে পাছা আড়াল করার চেষ্টা করত। তখন তিনি হালকা দুচারটে বাড়ি দিয়ে আগে হাত এক পাশে সরিয়ে দিতেন। কেউ কেউ তীব্র ব্যথায় বেপরোয়াভাবে পিঠ বাঁকিয়ে তুলত। আরেক রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যেত অন্যদের বেলায়। এদের মধ্যে ছিল জ্যাক: শুধু ব্যথায় কাঁপতে থাকত, তবে মুখে কোনো রকম ব্যথার উচ্চারণ করত না। অশ্রুর বন্যা ঠেকানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যেত। এই শাস্তির সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় ছিল এর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ না ঘটা। প্রথমত এই শিশুরা প্রায় সবাই বাড়িতে আচ্ছামতো পিটুনি খেতে খেতে বড় হতো এবং তাদের সবার ধারণাই ছিল ছোটদের বড় করার জন্য মারের দরকার আছে। তাদের বড় করার এটাও একটা পদ্ধতি। আরেকটা কারণ হলো, শিক্ষক সবার প্রতি সমান নজর দিতেন। কাউকে আপন কাউকে পর মনে করতেন না। সবাই আগেই জানত, কোন আইনের বরখেলাপ হলে এরকম শাস্তি পেতে হবে। সাধারণত একই রকম অপরাধের জন্যই এরকম শাস্তি দেওয়া হতো। অর্জিত নম্বর থেকে বাদ দেওয়ার শাস্তি পাওয়ার মতো অপরাধের চেয়ে গুরুতর অপরাধ করলে এই শাস্তি পেতে হবে সেটাও সবাই জানত। সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই এমন শাস্তি দেওয়া হতো।

ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র থেকে শুরু করে সবচেয়ে খারাপ ছাত্র পর্যন্ত একই রকম শাস্তির বিধান করা হতো। জ্যাককে এম বার্নার্ড খুব ভালোবাসতেন। তবু গুরুতর কোনো অপরাধ করে থাকলে সেও এই শাস্তির শিকার হতো। দেখা যেত, আগের দিন এম বার্নার্ড তার খুব প্রশংসা করেছেন, আবার পরের দিনই তাকে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। একদিন জ্যাক ব্ল্যাকবোর্ডে সঠিক উত্তর লিখলে এম বার্নার্ড জ্যাকের গণ্ডদেশে আদর করে দিলেন। তখনই ক্লাসের ভেতর থেকে কে যেন ফিসফিস করে বলে উঠল, ‘স্যারের পোষা ছাত্র’। তিনি জ্যাককে আরো কাছে টেনে নিয়ে বললেন, হ্যাঁ, আমি করমারির প্রতি পক্ষপাতি। তোমাদের মধ্যে যারা যুদ্ধে বাবাকে হারিয়েছ তাদের সবার প্রতিই আমি সম মাত্রায় পক্ষপাতি। আমি তাদের বাবাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি, আমি বেঁচে এসেছি। কাজেই এখানে আমি আমার প্রয়াত বন্ধুদের জায়গায় নিজেকে দেখতে চেষ্টা করি। এরপর যদি কেউ বলতে চাও আমার ‘পোষা’ ছাত্র আছে তাহলে উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলো। তার এই কথার উত্তরে শুধু নীরবতা ছাড়া আর কিছু শোনা গেল না। দিনের শেষে জ্যাক জিজ্ঞেস করেছিল, কে তাকে স্যারের পোষা বলে আখ্যা দিয়েছিল। এরকম অপমান নীরবে মেনে নেওয়া মানে সম্মানের হানি করা।

আমি বলেছিলাম, মুনোজ নামের একটা শ্বেতাঙ্গ থলথলে চেহারার বিরস মুখের ছেলে উত্তর দিল। সে অবশ্য সব সময় সবার সামনে নিজেকে জাহির করার মতো ছেলে নয়। তবু সব সময় জ্যাকের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করত।

জ্যাক বলল, ঠিক আছে। তাহলে তোর মা একজন বেশ্যা। কাউকে অপমান করার মতো বহুল প্রচলিত মন্তব্যের অন্যতম ছিল তার মা সম্পর্কে কিংবা মৃত কোনো আত্মীয় সম্পর্কে এরকম মন্তব্য। স্মরণাতীত কাল থেকে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এলাকায় প্রচলিত এরকম কটু মন্তব্য বিবাদী দুপক্ষের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে সংঘর্ষের সূচনা করে দিতে পারে। তবু মুনোজ যেন কিছুটা দ্বিধায় পড়ে রইল। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম তো অন্য কিছুর সঙ্গে আপোষ করবে না। অন্যরা তার হয়ে কথা বলতে লাগল, ঠিক আছে, দেখা হবে সবুজ মাঠে। সবুজ মাঠ মানে একটা পড়ো জায়গা। তাদের স্কুল থেকে খুব দূরে নয়। ফেলে দেওয়া লোহার বলয়, টিনের কেনেস্তারা, মরচেপড়া পিপা বোঝাই এবং মামড়ি-পড়া রুগ্ন ঘাস গজানো একটা জায়গা। এখানেই ডোনাদগুলো সংঘটিত হতো। ডোনাদ মানে দ্বন্দ্বযুদ্ধ। এখানে তরবারির জায়গায় থাকে শুধু যোদ্ধার মুষ্টি। তবে তরবারি যুদ্ধের সঙ্গে অন্য সব দিক থেকে মিল আছে এই যুদ্ধের, বিশেষ করে যোদ্ধাদের আত্মিক অবস্থার দিকে থেকে। দুজনের একজনের হয়তো সম্মানে আঘাত লেগেছে। আর সেই আঘাতের ফলে সৃষ্ট ঝগড়ার মীমাংসা করার এটা একটা পদ্ধতি।

এরকম ঝগড়ার অবশ্য অনেক কারণ থাকতে পারে: হয়তো কেউ বাবা মা কিংবা মৃত কোনো আত্মীয়কে তুলে গালি দিয়েছে, জাতি তুলে কথা বলেছে, সরাসরি না হলেও অন্যের মাধ্যমে কারো দ্বারা এরকম কোনো কটুক্তির কথা শুনেছে, কোনো জিনিস চুরি গেছে, কিংবা চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে, কিংবা আরও কত কী হতে পারে, বিশেষ করে অল্প বয়সীদের সমাজে যেসব হয়ে থাকে আর কী। যখন কারো দ্বারা সরাসরি কেউ অপমানিত হয় কিংবা অন্যের মুখে শুনে থাকে তৃতীয় কোনোজন তাকে এরকম অপমানের কথা বলেছে তখন সেটার একটা হেস্তনেস্ত হতেই হবে। আর মীমাংসার প্রচলিত চ্যালেঞ্জটা হলো, বিকেল চারটেয় সবুজ মাঠে। চ্যালেঞ্জ একবার ঘোষণা হয়ে গেলে মুখে মুখে ছড়ানো উসকানিমূলক কথাবার্তা আপাতত বন্ধ থাকে এবং সব ধরণের চাপা কানাঘুষাও থেমে যায়। প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন একজন আরেকজনের থেকে দূরে দূরে থাকে এবং তাদের চারপাশে নিজ নিজ বন্ধু-সহচররা ঘুর ঘুর করতে থাকে।

পরবর্তীতে যেসব ক্লাস হয় সেখানে এক বেঞ্চ থেকে আরেক বেঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনের নাম দ্রুত ছড়াতে থাকে। অন্যরা তাদের দিকে আড় চোখে তাকাতে থাকে। তাদের কারণে পৌরুষ জাহির করার জন্য যে চাপা দৃঢ়তা প্রদর্শনের দরকার সেটা নষ্ট হয়ে যায়। তাদের এরকম মুখোমুখি হওয়ার মধ্যে আরেকটা লক্ষণীয় বিষয় হলো প্রতিপক্ষকে মোকাবেলার সময় যতই এগিয়ে আসে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ব্যক্তিও নিজের কাজকর্মে মাঝে মাঝে বেখেয়াল হয়ে যায়। কারণ তখন তো তাকে সংঘর্ষের মুখোমুখি হতে হবে। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরের কাউকে এমন সুযোগ দেওয়া যাবে না যাতে তারা তাচ্ছিল্যের ভাব দেখাতে পারে, কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তি ঘোষিত সময়কে অসম্মান করেছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে পারে। নইলে তারা ওকে ‘শালা কাপুরুষ’ বলে গালি দিতেও ছাড়বে না।

মুনোজকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জ্যাক তার পৌরুষ জাহির করেছে ঠিকই, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে-ও শঙ্কিত বোধ করেছে। আগেও যখন এরকম সংঘর্ষপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তখনও শঙ্কিত বোধ করেছে। তবে সময় মতো আবার একাই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার সে নিয়ে ফেলেছে, এখন আর ফেরার প্রশ্নই ওঠে না। সে জানে, এরকম পরিস্থিতির বাস্তবতা; সত্যি সত্যি যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তখন আগেকার সব আশঙ্কা তার নিজের হিংস্রতার বাতাসেই উড়ে যাবে। আগেও সে দেখেছে, এই হিংস্রতাই তাকে জিতিয়ে দিয়েছে। তবে নিজের এরকম হিংস্রতার কারণেই মনের ভেতর খচখচ করেছে।

সেদিন বিকেলে মুনোজের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সবকিছু প্রথা অনুযায়ীই ঘটল। যোদ্ধারা দুজনই তাদের সহযোগীদের সঙ্গে করে মাঠে হাজির হলো। তাদের দুজনের ব্যাগও তাদের সহযোগীরা নিয়ে এল। তাদের পিছে পিছে এসে হাজির হলো উৎসাহী দর্শকদের দল। যুদ্ধক্ষেত্রে যোদ্ধাদের ঘিরে তারা সবাই গোল হয়ে দাঁড়াল। যোদ্ধারা তাদের হাফ প্যান্ট এবং প্রাবার খুলে তাদের সহযোগীদের হাতে দিল। জ্যাকের উত্তুঙ্গ ভাব তার অনুকূলে কাজে দিল: প্রথমেই সে আঘাত হানল এবং আঘাতে মুনোজ পিছু হটতে বাধ্য হলো।

মুনোজ কিছুটা দ্বিধান্বিত হয়ে জ্যাকের আঘাতটা ঠেকিয়ে দিয়ে তার চোয়াল বরাবর একটা ঘুষি মারল। তাতে জ্যাকের ভেতরের অন্ধ ক্রোধ আরো বেড়ে গেল এবং চারপাশের চিৎকার, হাসি আর দর্শকদের ভীড়ের ভেতর থেকে আসা অনুপ্রেরণায় তার ভেতরের শক্তি যেন ফুঁসে উঠল। সর্বশক্তি দিয়ে মুনোজের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুষির বৃষ্টি নামাতে লাগল সে। বিমূঢ় মুনোজের ওপরে জ্যাক কনুইয়ের একটা ভয়ঙ্কর রকমের আঘাত হানল। তারপর একটা দশাসই ঘুষি বসিয়ে দিল তার হতভাগা প্রতিপক্ষের ডান চোখের ওপরে। পুরোপুরি ভারসাম্যহীন অবস্থায় মুনোজ মাটির ওপরে পাছা ঠেকিয়ে পড়ে গেল। তার এক চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াতে শুরু করল। আরেক চোখ সঙ্গে সঙ্গে ফুলে উঠল। জ্যাক এরকম একটা ঘুষি চালাতেই চেয়েছিল। কেননা মুনোজের ফোলা চোখ সামনের বেশ কয়েক দিন জ্যাকের বিজয়ের প্রমাণ বয়ে বেড়াবে। তার চোখের হাল দেখে দর্শকেরা গলা ফাটিয়ে একটা উল্লাসের চিৎকার ছুড়ে দিল। মুনোজ সহজে আর উঠে দাঁড়াতে পরল না। এই ফাঁকে জ্যাকের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু পিয়েরে মুষ্টিযুদ্ধের বৃত্তের ভেতর ঢুকে পড়ে কর্তৃত্বপূর্ণ কণ্ঠে জ্যাককে বিজয়ী ঘোষণা করে দিল। তারপর জ্যাককে জ্যাকেট পরতে এবং প্রাবার কাঁধে রাখতে হাত লাগাল। দেরি না করে পিয়েরে মাঠ ছেড়ে যেতে থাকলে একদল সমর্থক তাদের পিছে পিছে যেতে থাকল। ততক্ষণে মুনোজ উঠে দাঁড়াচ্ছে। তার চারপাশে অল্প কয়েকজন সমর্থক মাত্র; সবার মুখ বিষ্ন্ন। এত বড় বিজয় এত তাড়াতাড়ি আসবে জ্যাক কল্পনাও করতে পারেনি।

বিজয়ের দ্রুততায় তার মাথা যেন এলোমেলো হয়ে গেছে। চারপাশে বন্ধুদের অভিনন্দন এবং যুদ্ধের আলঙ্কারিক বর্ণনা তার কানে খুব একটা ঢোকে না। সে আনন্দিত হতে চেয়েছিল এবং হয়েছে। মনের কোন কোণায় যেন অহংকারের আকাক্সক্ষা যেন পূর্ণ হয়ে গেছে। তবু মাঠ ছাড়ার সময় পিছে ফিরে তাকিয়ে তার নিজের হাতে পরাজিত মুনোজের অন্ধকার মুখটা তার মনটাকে কেমন যেন মিইয়ে দেয়। তখন তার মনে হয়, যুদ্ধ জিনিসটা আসলে ভালো কিছু নয়: কাউকে পরাস্ত করার মধ্যে নিজে পরাস্ত হওয়ার কষ্টটাই থাকে।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা