রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান

জ্যাক এবং পিয়েরেকে শুধু স্কুলই ওইসব আনন্দ দিতে পারত। তাদের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টা ছিল তারা বাড়ি থেকে দূরে আছে এই বোধটা। বাড়িতে অভাব আর অজ্ঞতা জীবন আরো বেশি কঠিন এবং বিষণ্ন করে তুলত। জীবন চারপাশ থেকে আটকাবস্থায় পতিত মনে হতো। দারিদ্র একপাশ থেকে টেনে তোলা যায় এমন একটা সেতুহীন আবদ্ধ দুর্গ।

তবে সবটাই এরকম ছিল তা নয়; জ্যাক নিজেকে সবচেয়ে দুর্ভাগাদের অন্যতম মনে করত, বিশেষ করে অবকাশের সময় তার নানি যখন জ্যাক ছোকরার অক্লান্ত জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাকে জাক্কার পার্বত্যাঞ্চলের মিলিয়ানার একটা হলিডে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিতেন। সেখানে থাকত আরো পঞ্চাশ জনের মতো বাচ্চার এক বিশাল সমাগম। বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা থাকতেন। সেখানে তারা ডরমিটরিঅলা একটা স্কুলে থাকত। ভালো খাওয়া দাওয়া, আরামের ঘুম, খেলাধুলা কিংবা ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা ছিল। তাদের দেখাশোনার জন্য সুন্দর সেবিকারা ছিলেন। তবু এত কিছু সত্ত্বেও যখন সন্ধ্যা নেমে আসত, পর্বতের ঢালে ছায়াগুলো দ্রুত লম্বা হয়ে পড়ত, পর্বতে ঘেরা ছোট শহরটার বিশাল নৈঃশব্দের ভেতর পাশের কোনো এক সেনা ছাউনি থেকে ঘরে ফেরার তাগিদ জানিয়ে বিউগলের করুণ সুর বেজে উঠত, তখন ভ্রমণ করার মতো কোনো এলাকা থেকে শত কিলোমিটার দূরে বালক জ্যাক টের পেত তার ভেতরে পাখা বিস্তার করছে হতাশা। নীরবতার ভেতরেই মন হাহাকার করে উঠত তার সমস্ত ছেলেবেলার নিঃস্ব বাড়িটার জন্য।

না, স্কুল তাদের জন্য পারিবারিক জীবনের কষ্ট থেকে শুধু মুক্তির স্বাদই দিত না, বিশেষ করে এম বার্নার্ডের ক্লাস তাদের একটা মৌলিক ক্ষুধা মিটিয়েও থাকত। শিক্ষকের জন্য ক্ষুধাটা যতটা মৌলিক ছিল, ছাত্রদের জন্য ছিল তার চেয়ে আরো বেশি এবং সেটাই হলো কোনো কিছু আবিষ্কারের ক্ষুধা। তাদের অন্যান্য ক্লাসেও তারা অনেক কিছু শিখেছে। কিন্তু সেসব ক্লাসে তাদের অবস্থা ছিল যেন খাবার তৈরি করা হয়েছে, এবার গিলে রক্ষে করো। আর এম জারমেইনের ক্লাসে তারা প্রথম বুঝতে পারে, তাদের অস্তিত্ব আছে এবং তারাও উচ্চ তাৎপর্যের অধিকারী হতে পারে, জগৎ আবিষ্কারের যোগ্য হতে পারে। এমনকি তাদের শিক্ষক তাদেরকে যা পড়ানোর জন্য বেতন পেতেন শুধু সেগুলোর মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি সরলতার সঙ্গে তাদেরকে তার ব্যক্তিগত জীবনেও স্বাগত জানাতেন। তাদের সঙ্গেই তার ওই জীবনটা যাপন করতেন। তাদেরকে তার নিজের এবং তার দেখা শিশুদের বাল্যকাল সম্পর্কে বলতেন। তাদের সঙ্গে তার দর্শন ভাগাভাগি করে নিতেন।

তবে কখনওই নিজের মতামত তাদের ওপর চাপাতেন না। তার আরো অনেক সহকর্মীর মতো তিনিও যাজকীয় ব্যাপার স্যাপার পছন্দ করতেন না। তবে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে কিছু বলতেন না। কারো বিশ্বাস কিংবা পছন্দের বিরুদ্ধেও কিছু বলতেন না। চৌর্যবৃত্তি, বিশ্বাসঘাতকতা, উগ্রতা এবং নোংরামির মতো যে সব বিষয়ে মোটেও কোনো যুক্তিতর্কের আবকাশ নেই সেসব অশুভ কাজ তিনি সর্বশক্তি দিয়ে ঘৃণা করতেন।

তবে যে যুদ্ধ তখনও সাম্প্রতিক ঘটনা সেই যুদ্ধ সম্পর্কে তাদেরকে বেশি বলতেন। দীর্ঘ চার বছর তিনি যুদ্ধ করেছেন। সৈনিকদের দুর্ভোগ, সাহস, ধৈর্য এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনন্দের কথা বলতেন। প্রতি পর্বের শেষে তাদের ছুটিতে পাঠানোর আগে এবং মাঝে মধ্যে পাঠ্যপরিকল্পনার ভেতর থেকে সময় বের করতে পারলে তিনি দরগেলির লেস ক্রয়েক্স দে বয়েস থেকে অংশ বিশেষ তাদের পড়ে শোনাতেন। তার ওই পড়ার মাধ্যমে জ্যাকের কল্পনার সামনে চমৎকারিত্বের দরজা খুলে যেত।

তবে মনে আছে, সেবার চমৎকারিত্বের জগতে যেন ভয় এবং দুর্ভাগ্য মিশে গিয়েছিল। অবশ্য তার অদেখা বাবাকে সে শুধু একটা তাত্ত্বিক সম্পর্কের মধ্যে এনেছে। তার শিক্ষক সমস্ত হৃদয় দিয়ে যে গল্পটা বলেছেন সেটা জ্যাক সমস্ত হৃদয় দিয়ে শুনেছে। সে গল্পের মধ্যেও এসেছে তুষার, তার কল্পনায় লালিত শীতকালের ছবি। তবে সেখানে সে দেখতে পেয়েছে কাদা জড়ানো ভারী পোশাক পরিহিত বিশেষ ধরনের মানুষদের। তারা অচেনা ভাষায় কথা বলে। তাদের মাথার ওপরে ছাদ হিসেবে পায় গোলা, আগুনের হলকা, গুলির বৃষ্টি। পিয়েরে এবং জ্যাক ক্রমবর্ধমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত প্রত্যেকবার পড়ার জন্য। সে যুদ্ধ নিয়ে প্রায় সবাই কথা বলত।

এমনকি ডানিয়েল যখন মার্নের যুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলত তখনও জ্যাক খুব মনোযোগ দিয়ে শুনত: ডানিয়েল বলেছে তাদের, মানে জুয়াভদের প্রথমে সম্মুখ সমরে নেওয়া হয়েছিল, তারপর একটা গিরিখাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারাই ছিল সবার সামনে। তারা এগিয়ে যাচ্ছিল এবং হঠাৎ দেখতে পেল, তাদের সহযোদ্ধারা একজনের ওপর আরেকজন করে পড়ে যাচ্ছে। আর গিরিখাতের সমস্ত পাদদেশ রক্তে ভরে যাচ্ছে। অনেকের মুখ থেকে মা মা চিৎকার আর আর্তনাদ ভেসে আসছে। খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা। ডানিয়েল কিভাবে বেঁচে এসেছিল সেটাই তার কাছে এক বড় বিস্ময়। সবাই বলত ওই যুদ্ধের স্মৃতি কখনও মুছে যাওয়ার নয়। যুদ্ধের স্মৃতি বালকদের জগতের সবকিছুর ওপর ছায়াপাত করত। অন্যান্য ক্লাসে যে সকল রূপকথার গল্প বলা হতো সেগুলোর চেয়ে বেশি টানত যুদ্ধের গল্পগুলো। তাদের মনের ভেতর যে সকল ধারণা থাকত সেগুলোর অবয়ব দান করত ওই গল্পগুলো। আর এম বার্নার্ড যদি পাঠ্যসূচির পরিবর্তন ঘটানোর জন্য ওই গল্পগুলো নিজের মাথার মধ্যে তুলে রাখতেন তাহলে তারা হতাশ হতো, ক্লান্ত বোধ করত।

তবে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহ বর্ণনার কোনোটা আংশিক বদলে দিতেন মজার কিছুর মিশেল দিয়ে। তখন আফ্রিকার ওই শিশুরা অমুক তমুকের সঙ্গে এমনভাবে পরিচিত হয়ে যেত যেন তারাও শিশুদের নিজেদের জগতেরই বাসিন্দা। নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় তাদেরকে এমনভাবে উল্লেখ করত যেন যুদ্ধের মানুষেরা তাদেরই পুরনো দিনের বন্ধু এবং তাদের সামনেই রয়েছে। জ্যাকের এক মুহূর্তের জন্যও মনে হতো না যে, তারা সবাই যুদ্ধের সময়ে বেঁচে ছিল, এখন নেই। তার বরং মনে হতো, তারা এখনও বেঁচে আছে; তারা যুদ্ধের শিকার হয়েছে সেটা তার কল্পনায় আসতে চাইত না। বছরের শেষ দিনে যখন তারা বইটার শেষে পৌঁছে যেত সেদিন এম বার্নার্ড খুব নিচু স্বরে দয়ের মৃত্যুর কথা পড়ে শোনাতেন। নিজের স্মৃতি আর আবেগের মুখোমুখি হয়ে তিনি চোখ তুলে নীরব এবং বিহ্বল ক্লাসের দিকে তাকিয়ে প্রথম সারিতে বসা জ্যাককে দেখতেন: তার সারা মুখমণ্ডল অশ্রুতে প্লাবিত। দমকে দমকে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। তার ফোঁপানি যেন আর কখনও থামবে না। কোনো রকমে শোনা যায় এমন নিচু স্বরে তিনি বলতেন, শান্ত হও, বাছা। তারপর ক্লাসের দিকে পেছন ফিরে তিনি বইটা বাক্সে রেখে দিতেন।

এম বার্নার্ড বললেন, এক মিনিট, বৎস। এবার তিনি কষ্ট করে উঠে দাঁড়ালেন। খাঁচার শিকগুলোর ওপরে আঙুল ছোঁয়ালেন এবং ক্যানারি পাখিটা আরো জোরে ডেকে উঠল। তিনি বলে উঠলেন, আহ কাসিমির, আমরা ক্ষুধার্ত। এরপর তিনি রুমের অন্য পাশে অগ্নিকুণ্ডের কাছে রাখা স্কুল বালকের ডেস্কের কাছে গেলেন। একটা ড্রয়ার খুলে হাতড়াতে লাগলেন। তারপর আরেকটা খুলে কিছু একটা বের করলেন। জ্যাককে উদ্দেশ করে বললেন, এই যে, এটা তোমার জন্য। জ্যাক দেখল একটা বই, মুদি দোকানের কাগজে বাঁধাই করা, ওপরে কিছু লেখা নেই। বইটা খোলার আগেই জ্যাক বুঝতে পারল বইটা হল লেস ক্রয়েক্স দে বয়েস; এই কপিটাই তিনি সেদিন ক্লাসে পড়েছিলেন।

জ্যাক বলতে চাইল, না, না। এটা....। কথাগুলো আর শেষ পর্যন্ত বলা হলো না।

এম বার্নার্ড তার প্রবীণ মাথাটা ঝাঁকিয়ে বললেন, শেষের দিন তুমি কেঁদেছিলে। সেদিন থেকে বইটা তোমার হয়ে গেছে। তারপর তার হঠাৎ লাল হয়ে ওঠা চোখ আড়াল করার জন্য অন্যদিকে তাকালেন। ডেস্কের কাছে আবার এগিয়ে গিয়ে পেছন দিকে হাত আড়াল করে রেখে জ্যাকের দিকে ফিরলেন। একটা খাটো মোটা লাল রুলার ঝাঁকিয়ে হাসতে হাসতে জ্যাককে জিজ্ঞেস করলেন, এই ‘মিষ্টি লাঠি’টার কথা তোমার মনে আছে?

ও, হ্যাঁ, হ্যাঁ। আপনি এতদিনও এটা রেখে দিয়েছেন! জানেন তো, এখন এসব নিষিদ্ধ?

আরে রাখো তো। তখনও নিষিদ্ধ ছিল। তুমি নিজেই তো দেখেছ, আমি এই লাঠির ব্যবহার করেছি।

আসলেই জ্যাকের মনে আছে। এম বার্নার্ড শারীরিক শাস্তির পক্ষে ছিলেন। অবশ্য সচরাচর যে শাস্তি বেশি প্রচলিত ছিল সেটা হলো পরীক্ষায় অর্জিত নম্বর থেকে কিছুটা বাদ দিয়ে দেওয়া। তাতে ভুক্তভোগীর অবস্থান নিচে নেমে আসত। অপরাধের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে তিনি অপরাধীকে অধ্যক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।

এই কাজটা তার আরও অনেক সহকর্মীই করতেন। এছাড়াও তিনি আরেকটা প্রথা মেনে চলতেন; খুব শান্ত এবং হাসিখুশি স্বরেই বলতেন, আমার হতভাগা রবার্ট, আমাদের এখন ‘মিষ্টি লাঠি’র আশ্রয় নিতেই হচ্ছে। কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাত না। শুধু গোপনে কেউ কেউ মুখ টিপে হাসতে চেষ্টা করত হয়তো। মানব স্বাভাবের ধরনই এরকম: একজনের শাস্তিতে অন্যরা আনন্দ পায়। যাকে ডাকা হতো সে ফ্যাকাশে মুখে উঠে দাঁড়াত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে চেষ্টা করত ভয়ের ভাবটা লুকিয়ে রাখতে। ব্ল্যাক বোর্ডের কাছে যে টেবিলের পাশে এম বার্নার্ড দাঁড়িয়ে থাকতেন নিজের আসন ছেড়ে সেটার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে কেউ কেউ অশ্রু আড়াল করার চেষ্টা করত। নিছক একটা প্রথা পালনের মতো মনে হলেও এর মধ্যে যেন কষ্ট দিয়ে আনন্দ লাভের একটা ছোঁয়া থাকত। রবার্ট কিংবা যোসেফ যার যখন ডাক পড়ত সে নিজেই এগিয়ে গিয়ে মিষ্টি লাঠির স্বাদ নিত।

চলবে...

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক