বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বিকট কাঁপুনির শব্দে বোঝা যেত প্রক্ষেপণ যন্ত্র চালু হচ্ছে। ঠিক তখনই জ্যাকের কঠিন পরীক্ষা শুরু হয়ে যেত।

দর্শকরা তখন চুপ করে গেলে কাহিনীর রূপরেখা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথমত খানিকটা লিখিত টেক্সট দেখানো হতো। নানি নিরক্ষর হওয়ার কারণে জ্যাককে ওই টেক্সট পড়ে শোনাতে হতো। বয়স অনেক হলেও নানি কানে ঠিকই শুনতে পেতেন। প্রথমত জ্যাক পিয়ানোর উচ্চ শব্দ এবং দর্শকদের হৈচৈ ভেদ করে নিজে আগে শুনে নিত। টেক্সটের ভাষা সহজ সরল হলেও সেখানকার কিছু শব্দ খুব একটা পরিচিত ছিল না নানির, আর অন্য শব্দগুলো পুরোপুরিই অজানা থাকত। জ্যাক অন্য দর্শকদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চাইত না এবং অন্যরা যাতে মনে না করতে পারে, তার নানি পড়াশোনা জানে না সেজন্য সে খুব আস্তে পড়ে শোনাত নানিকে। কখনও কখনও টেক্সটের কিছু কিছু অংশ বাদ দিয়ে যেত। নিজের পড়াশোনা না জানার কথা যাতে অন্য কেউ বুঝতে না পরে সেজন্য নানিও শুরুতে জোরে জোরে বলে নিতেন, তুই আমাকে পড়ে শোনাস? আমার চশমা আনতে ভুলে গেছি। সুতরাং জ্যাক নিচু স্বরে পড়ত। ফলে নানি অর্ধেকটা বুঝতে পারতেন এবং জ্যাককে পুনরায় জোরে পড়তে বলতেন। জ্যাক আরেকটু জোরে বলতে চেষ্টা করত এবং পাশের লোকদের নীরবতা তাকে লজ্জায় ফেলে দিত। জ্যাক তখন তোতলাতে থাকত এবং নানি কড়া গলায় বকুনি দিতেন। ততক্ষণে আরেক টেক্সট এসে গেছে এবং পুরো ব্যাপরটা নানির কাছে আরো ধাঁধালো হয়ে উঠেছে। কারণ তিনি আগের টেক্সটটা ভালো করে বুঝতেই পারেননি। গোলমেলে অবস্থা বাড়তেই থাকত এবং শেষে জ্যাক আরো গভীর মনোযোগের সঙ্গে কিছুটা টেক্সটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সংক্ষেপে একবারে বলে দিত: যেমন দ্য মার্ক অব জেরো’র ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস সিনিয়রের অংশ থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জ্যাক বলত, খলনায়ক ওর কাছ থেকে মেয়েটাকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে। জ্যাক এই কাজটা করত পিয়ানোর এবং দর্শকদের সাময়িক বিরতির সুযোগ নিয়ে। এভাবেই লেখাগুলো পড়া শেষ হলে যখন ছবি চলা শুরু হতো তখন কেবল জ্যাক হাঁফ ছেড়ে বাঁচত। তবে লেস ডিউক্স অরফেলিনেস-এর মতো জটিল কিছু চলচ্চিত্রও ছিল। তখন নানির কৌতুহল মেটানোর চাহিদা আর আশপাশের দর্শকদের বকুনির মাঝে জ্যাক পুরোপুরি চুপ হয়ে বসে থাকত। জ্যাকের এখনও মনে আছে, একবার নানি রণে ভঙ্গ দিয়ে সিনেমা হল থেকে বের হয়ে একা একাই হাঁটা দিলেন। পেছনে জ্যাকও হাঁটা শুরু করল। তার মনে তখন বেজায় আফসোস- নানির বিরল আনন্দের একটাকে সে নষ্ট করে ফেলেছে। আফসোসের অরেকটা কারণও ছিল: তখন তার মনে হতো, ওই আনন্দের পেছনে তাদের পরিবারের অল্প আয় থেকে কিছুটা হলেও ইতোমধ্যে ব্যয় করা হয়ে গেছে।

জ্যাকের মা অবশ্য কখনওই ওই রকম কোনো প্রদর্শনী দেখতে যেতেন না। তিনি পড়তে পারতেন না এবং কানেও খুব কম শুনতে পেতেন। তাছাড়া তার শব্দভাণ্ডরের মজুদ তার মায়ের চেয়েও কম ছিল। এখনও তার জীবনে কোনো ব্যতিক্রমী কিছু নেই। চল্লিশ বছরে তিনি দুই থেকে তিনবার সিনেমা হলে গিয়েছেন। কিছুই বুঝতে পারেননি এবং নিজের ইচ্ছেয় কখনওই যাননি। যারা তাকে সিনেমায় নিয়ে যেতে চেয়েছে শুধু তাদের মন রক্ষার্থে গিয়েছেন: যাতে তিনি বলেন অমুক তমুক পোশাক খুব সুন্দর হয়েছে। কিংবা গোঁফঅলা দেখতে কী বিচ্ছিরি ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি রেডিও শোনেননি কোনো দিন। খবরের কাগজ পড়ার বিষয়টা ছিল এরকম: পাতা উল্টিয়ে তিনি শুধু ব্যাখ্যামূলক সচিত্রীকরণ দেখেন; সেখানকার ছবিগুলোর অর্থ বোঝার জন্য ছেলেদের কাউকে কিংবা নাতনিদের ডাকেন। ছবি দেখে হয়তো বুঝতে পারেন ইংল্যান্ডের রাণীর মন খারাপ। এরপর কাগজ গুটিয়ে রেখে ওই জানালা দিয়ে বাইরে রাস্তায় চলমান কর্মকাণ্ড দেখেন যেমন করে চল্লিশ বছর ধরে দেখে আসছেন।

এক অর্থে জীবনের সঙ্গে জ্যাকের মামা অর্নেস্টের যতখানি সংশ্লিষ্টতা ছিল তার চেয়েও কম ছিল তার মায়ের। এই মামা তাদের সঙ্গেই থাকত। কানে কিছুই শুনতে পেত না এবং নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যতটা তার নিয়ন্ত্রণাধীন শ খানেক শব্দ দিয়ে বুঝাতেন ঠিক ততটাই বুঝাতেন ধনাত্বক শব্দ আর ইঙ্গিতে। তবে আর্নেস্টকে ছোটবেলায় কাজে পাঠানো যায়নি বলে মাঝে মধ্যে তার স্কুলে যাওয়া হয়েছে এবং এই কারণে সে বর্ণমালার অক্ষরগুলো চিনেছিল। মাঝে মধ্যে আর্নেস্ট মামাও সিনেমায় যেত এবং ফিরে এসে যে বর্ণনা দিত তাতে অন্য সবাই স্তম্ভিত না হয়ে পারত না। কারণ আগেই তারা সিনেমাটা দেখে এসেছে এবং মামা যে অংশগুলো ধরতে পারেনি সেগুলো ভরিয়ে দিয়েছে তার কল্পনার জোরে। তাছাড়া সে তীক্ষ্ম বুদ্ধি সম্পন্ন এবং কুশলীও ছিল। সহজোৎপন্ন বুদ্ধি তাকে এই জগৎ এবং মানুষদের মাঝে নিজের পথ করে নিতে সহায়তা করেছে। নইলে জগৎ সংসারের সবাই তার সামনে অনমনীয়ভাবে নীরব থাকত হয়তো। ভাগ্যিস, ওই বুদ্ধিটা ছিল বলে সে প্রতিদিন খবরের কাগজে ডুবে থাকতে পারত এবং খবরের শিরোনামগুলো বুঝতে পারত। পৃথিবীর চলমান বিষয় বুঝে ফেলার প্রমাণস্বরূপ মাথা দোলাত। যেমন জ্যাকের বোঝার বয়স হওয়ার পরে মামা খবরের কাগজ পড়ার সময় তাকে শুনিয়ে বলত, হিটলার, ভালো না, তাই না?
না, ভালো না।
হুনরা সব সময় একই রকম, মামা বলত।
না, সেরকম নয়।
হ্যাঁ, অবশ্য কেউ কেউ ভালো। আবার মাথা ঝাঁকিয়ে বলত, হিটলার, ভালো না। তারপর একটু তামাশা করে কথায় ওপরে থাকার জন্য রাস্তার ওপারে কাপড়ের ব্যসায়ীর কথা উল্লেখ করে বলত, লেভি, ভয় পায়। বলেই একটা অট্টহাসি দিত। জ্যাক ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করত। মামা হাসি থামিয়ে আবার গম্ভীর হয়ে যেত এবং বলত, হ্যাঁ, এই জন্য সে ইহুদিদের মারতে চায়? ওরাও তো অন্যদের মতোই।
জ্যাককে মামা খুব ভালোবাসত, তবে নিজের মতো করে। স্কুলে ভালো ফলাফল করলে প্রশংসা করত। মামা জ্যাকের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করত। জ্যাক টের পেত অস্ত্রপাতির ব্যবহার আর কায়িক শ্রমের ফলে মামার হাতের তালুতে কড়া পড়া। খুব ভালো মাথা, এই মাথা, বলে মামা নিজের মাথায় মুষ্টি দিয়ে হালকা আঘাত করত। কখনও কখনও জ্যাকের বাবার বুদ্ধির দৃষ্টান্তও টানত, ভালো মাথা, বাবার মতো।

একদিন জ্যাক সেই সুযোগে মামাকে জিজ্ঞেস করে বসল তার বাবা খুব বুদ্ধিমান ছিলেন কি না।
মামা বলল, তোর বাবা, ভালো মাথা, যা চাইতেন করতে পারতেন। আর তোর মা, হ্যাঁ, সব সময়, খুব খুব।
মামার কাছ থেকে এর চেয়ে আর বেশি কিছু বের করতে পারেনি জ্যাক।
যে কোনো কাজেই পারলে আর্নেস্ট জ্যাককে সঙ্গে নিতে চেষ্টা করত। তার শক্তি এবং উদ্যম কথায় এবং সামাজিক জটিল সম্পর্কের ভেতর দিয়ে প্রকাশ পেত না ঠিকই; তবে শারীরিক মাধ্যমে

এবং সংবেদনশীলতার মাধ্যমে বিস্ফোরণের মতো প্রকাশ পেত। এমনকি ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময়েও যদি কেউ তাকে জাগিয়ে দিত তাহলে বুনো দৃষ্টিতে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে জোরে শব্দ করে উঠত, হুমম, হুমম, যেন প্রাগৈতিহাসিক কোনো পশুকে বৈরী এবং অচেনা কোনো পরিবেশে জাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একবার ভালো করে জেগে উঠলে তার শরীর এবং শরীরের কার্যকলাপ তাকে নিজের পায়ের ওপর ঠিক মতো দাঁড়িয়ে যেতে সহায়ক হতো। টব, পিপে ইত্যাদি নির্মাণের কঠিন পরিশ্রমের পরও সে সাঁতারে এবং শিকারে যেতে পছন্দ করত। বালক জ্যাককে নিয়ে সে সাবলেত্তেস সৈকতে যেত: জ্যাককে পিঠে চড়িয়ে অপটু তবে শক্তিশালী বাহু সঞ্চালনে পানির ভেতর নেমে পড়ত আর দুর্বোধ্য শব্দ করত। পানির ঠাণ্ডা স্পর্শে বিস্ময়বোধ, সৈকতে নেমে পড়ার আনন্দ এবং পথভোলা কোনো ঢেউয়ের প্রতি তার রাগ প্রকাশ করত। জ্যাককে উদ্দেশ করে বার বার বলত, ভয় পাসনে। জ্যাক অবশ্যই ভয় পেত, তবে বলত না। বিশাল আকাশ আর বিশাল সমুদ্রের মাঝখানের ওই জনমানবহীন পরিবেশ জ্যাককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখত। পেছনের দিকে দেখতে পেত, সৈকতটা আবছা আবছা একটা রেখার মতো দেখাচ্ছে; একটা চিনচিনে ভয় তার পাকস্থলী পর্যন্ত ছেয়ে ফেলত। আতঙ্কের শুরুতেই মনে হতো, মামা যদি ছেড়ে দেয় তাহলে অন্ধকার গভীরতার তলে এক টুকরো নুড়ির মতো সে পড়ে থাকবে। তখন বালক জ্যাক মামার গলা আরেকটু বেশি শক্ত করে ধরত। মামা বলত, তুই ভয় পাচ্ছিস।
জ্যাক বলত, ভয় পাচ্ছি না। তবে ফিরে চলো।

চলবে..

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮ 

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত