শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

ঘৃণার স্রোত নেমে যায়। জ্যাক এবং তার ভাইকে হাত খরচের কোনো টাকা দেওয়া হতো না। মাঝে মধ্যে কোনো দোকানদার মামা কিংবা ভালো পরিবারে বিয়ে হয়ে যাওয়া কোনো খালার কাছে তাদেরকে পাঠানো হতো। তখন সামান্য কিছু পাওয়া যেত। মামার কাছে যাওয়াটা সোজা ছিল। কারণ মামা তাদের দুজনকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু খালা তার তুলনামুলক সামান্য সম্পদের কথা তাদের মনে করিয়ে দিতেন। অপমানিত বোধ করার পরিবর্তে তারা দুভাই বরং পয়সা না পেলেও ওইসব ফাইফরমাস কাজে যেতে পছন্দই করত। যদিও সমুদ্র দেখার, খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর এবং পাড়ার খেলাধুলার জন্য পয়সা লাগত না তবু আলুভাজা, মিঠাই, আরব পেস্ট্রি এবং জ্যাকের ক্ষেত্রে ফুটবল ম্যাচের জন্য পয়সার দরকার হতো। একদিন সন্ধ্যায় জ্যাক পাড়ার বেকারি থেকে হাতে করে আলু আর পনিরের বাটি নিয়ে ফিরছিল। তাদের বাড়িতে, গ্যাস কিংবা চুল্লি কোনোটাই ছিল না; তারা একটা অ্যালকোহল স্টোভে রান্না করত। রুটি জাতীয় কিছু তৈরি করার ব্যবস্থা ছিল না। কোনো খাবার সেঁকার দরকার হলে সেটা তৈরি অবস্থায় পাশের কোনো বেকারিতে নিয়ে যাওয়া হতো। কয়েক সেন্টিমের বিনিময়ে সেখানকার চুল্লিতে রেখে নজর রাখা লাগত। সেদিনের সেই বাটিটার ওপরে একটা কাপড় দেওয়া ছিল যাতে রাস্তার ধূলি পড়তে না পারে এবং কাপড়টাসহ ধোঁয়া ওঠা গরম বাটিটার কানা ধরা সম্ভব হয়। তার হাতে একটা দড়ির ব্যাগে ছিল অল্প পরিমাণ করে কয়েকটা প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন: আধা পাউন্ড চিনি, একপোয়া মাখন, পঁচিশ সেনটিম দিয়ে কেনা পনির ইত্যাদি। তার কনুইয়ের ভাঁজের ওপরে ঝোলানো ব্যাগটা খুব ভারি ছিল না। আলু আর পনিরের গন্ধ শুকতে শুকতে বেশ চঞ্চল গতিতেই যাচ্ছিল জ্যাক; তখন রাস্তায় কর্মফেরত লোকজনের বেশ ভিড় ছিল পাড়ার ফুটপাতের ওপর। হঠাৎ দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা তার পকেটের ছেড়া দিয়ে গড়িয়ে পড়ল ফুটপাতের ওপর। মুদ্রাটা কুড়িয়ে তুলে জ্যাক তার কাছে থাকা খুচরা পয়সাগুলো গুণে ওই মুদ্রাটা অন্য পকেটে রেখে দিল। হঠাৎ তার মনে হলো, আমি তো মুদ্রাটা হারিয়েও ফেলতে পারতাম। পরের দিনের ফুটবল ম্যাচের সম্ভাবনাটা সে ততক্ষণও বাতিল করেই রেখেছিল। সে সম্ভাবনাটাও এখন মনের পর্দায় মাথা তুলতে থাকল।

 

বালক জ্যাককে কেউ শিখিয়ে দেয়নি কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায়। কিছু কিছু বিষয় নিষিদ্ধ ছিল এবং সেগুলোর বরখেলাপ হলেই প্রচণ্ড শাস্তি পেতে হতো। সেগুলোর বাইরে কোনো কিছুর ব্যাপারে কিছু বলা ছিল না। শুধু তার শিক্ষকেরা পাঠ্যতালিকা অনুযায়ী পড়াশোনা শেষ করে সময় পেলে মাঝে মাঝে নৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। তাদের কথাতেও মূল কারণের চেয়ে নিষেধের বিষয়টাই মুখ্য হয়ে দেখা দিত। নৈতিকতা সম্পর্কে জ্যাক যা দেখেছে এবং অভিজ্ঞতা লাভ করেছে তার সবটা জুড়ে ছিল তাদের শ্রমজীবি শ্রেণির পরিবারের দৈনন্দিন জীবন। সেখানে কেউ ভাবতেই পারেনি, টিকে থাকার জন্য যে টাকা পয়সা দরকার সেটা যোগাড় করার জন্য কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আর কোনো পথ আছে কি না। তবে সে শিক্ষার মধ্যে ছিল সাহস, নৈতিকতা নয়। তা সত্ত্বেও জ্যাক জানত, ওই দুই ফ্রাঁ লুকিয়ে ফেলাটা অন্যায়। সে এই কাজ করতে চায়নি। করবে না। তার চেয়ে বরং তার আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরেকটা কাজ করতে পারে-প্যারেড গ্রাউন্ডের পুরনো স্টেডিয়ামের দুটো তক্তা ফাঁক করে ভেতরে ঢুকে পয়সা ছাড়াই খেলা দেখে আসতে পারে। ওই একই অভিজ্ঞতার জন্যও হতে পারে, নিজে হয়তো বুঝতে পারেনি কী কারণে, বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি খুচরো পয়সাগুলো ফেরত দেয়নি। বাড়ি ফিরে একটু পরে টয়লেট থেকে ঘুরে এসে জ্যাক বলেছিল, টয়লেটে ট্রাউজার খূলে বসার সময় তার পকেট থেকে দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা টয়লেটের গর্তের মধ্যে পড়ে গেছে। জায়গাটাকে টয়লেট বললেও বেশি উঁচুমানের একটা চেহারা মনে হতে পারে। আসলে ওপরের তলার সিঁড়ির গোড়ায় সুরকি ঘষামাজা করে একটু জায়গা বের করে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দরজা আর পেছনের দেয়ালের মাঝে মাঝারি আকারের বেদীতে তুর্কি কেতায় ফুটো করে বানানো হয়েছিল টয়লেটটা। সেখানে বাতাস, বৈদ্যুতিক আলো কিংবা তরল পদার্থ বের করার কোনো নলও ছিল না। কাজেই প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর ক্যানেস্তারা ভরে পানি ঢেলে দিতে হতো। তবে গোটা সিঁড়ি বেয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকত সব সময়। গন্ধ আটকানোর কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। জ্যাকের ব্যাখ্যাটা বাস্তবসম্মত ছিল। যদি বলত রাস্তায় হারিয়ে গেছে তাহলে তাকে আবার হয়তো সেখানেই পাঠানো হতো পয়সাটা খুঁজে আনার জন্য। বাড়তি কাজের ঝামেলা এড়ানো গেছে মনে হলো। তবু এই দুঃসংবাদটা প্রচার করার পর জ্যাকের মনের ভেতর খচখচ করতে লাগল। নানি তখন রান্নাঘরে একটা পুরনো ব্যবহারজীর্ণ দাগপড়া তক্তার ওপরে রসুন আর মসলা কাটছিলেন। কাজ থামিয়ে তিনি জ্যাকের দিকে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকালেন। জ্যাকের মনে হলো, নানি এই বুঝি বিস্ফোরণে ফেটে পড়বেন। কিন্তু তিনি চুপ থেকে বরফ শীতল চোখে জ্যাককে নিরীক্ষণ করতে লাগলেন। শেষে বললেন, তুই কি নিশ্চিত, পয়সা ওখানে পড়ে গেছে।

হ্যাঁ, পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনলাম।
তারপরও তিনি জ্যাকের দিকে পরীক্ষামূলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে, দেখি কী করা যায়।
আতঙ্কের মধ্যে জ্যাক দেখল, নানি তার জামার ডান হাতা ওপরের দিকে গুটিয়ে নিয়ে সিঁড়ির মাথার দিকে হাঁটা দিলেন। জ্যাক পড়িমরি করে খাবার ঘরের দিকে দৌড়লো। নানি ডাক দিলে জ্যাক এগিয়ে নানিকে ওয়াশবেসিনের সামনে দেখতে পেল। তার হাতের গোটা অংশ সাদা ফেনায় ঢাকা; পানির প্রবাহে ধুয়ে ফেলছেন তখন। জ্যাককে উদ্দেশ করে বললেন, ওখানে কিছু নেই। তুই মিথ্যে কথা বলেছিস।

তোতলাতে তোতলাতে জ্যাক বলল, মনে হয় পানির সাথে ধুয়ে চলে গেছে।
নানি বললেন, হতে পারে। তবে তুই যদি মিথ্যে কথা বলে থাকিস তাহলে তোর কপালে খারাপি আছে আজ।
হ্যাঁ, তার কপালে খারাপিই ছিল। কারণ সেবার সে বুঝতে পেরেছিল, তার নানি মনুষ্যবিষ্ঠার মধ্যে হাতড়ে হাতড়ে পয়সা খুঁজছিলেন লোভের বশবর্তী হয়ে নয়। ভয়ঙ্কর অভাব অনটনের কারণে। মাত্র দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা অতি মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে তখনই বুঝতে পেরেছিল এবং পরবর্তীতে লজ্জার আকস্মিক বিচলনের সঙ্গে আরো পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছে, সে তার পরিবারের মানুষদের অতি কষ্টে উপার্জিত দুই ফ্রাঁ চুরি করেছিল। এমনকি আজও জানালার পাশে বসে থাকা মাকে দেখে জ্যাক ব্যাখ্যা করতে অপারগ, কী করে ওই দুই ফ্রাঁ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলেও পরের দিন ঠিকই ফুটবল ম্যাচ দেখতে যেতে পারত।

 

চলবে..

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা

ছবি: সংগৃহীত

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মুখোমুখি লড়াই মানেই ফুটবল দুনিয়ায় বাড়তি উত্তেজনা। স্প্যানিশ ফুটবলের এই দুই মহারথীর লড়াই কেবল মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে মিশে আছে স্পেন ও কাতালুনিয়ার জাতিসত্ত্বার লড়াই এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের ইতিহাসও।

এবারের কোপা দেল রে ফাইনালে (শনিবার দিবাগত রাত ২টা, বাংলাদেশ সময়) আবার মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল ও বার্সা। তবে এবারের লড়াইয়ে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রেফারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। সেভিয়ায় ফাইনালের আগে নির্ধারিত অনুশীলন করেনি রিয়াল, সংবাদ সম্মেলনেও আসেননি কোচ ও খেলোয়াড়রা। এমনকি দুই ক্লাবের কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজেও থাকছেন না রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। গুঞ্জন উঠেছিল, রিয়াল হয়তো ফাইনাল বয়কটও করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খেলবে।

এদিকে, বার্সেলোনার সামনে রয়েছে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ। লা লিগায় শীর্ষে থাকা বার্সা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে। কোপা দেল রে শিরোপা তাদের ট্রেবল যাত্রার প্রথম ধাপ হতে পারে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বার্সার জন্য দুঃসংবাদ, ইনজুরির কারণে দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি এই ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তার জায়গায় শুরুতে দেখা যেতে পারে ফেরান তোরেসকে। তবে দলের বাকিরা সুস্থ ও প্রস্তুত রয়েছেন। লিগের শেষ ম্যাচে অধিকাংশ মূল খেলোয়াড় বিশ্রামে থাকায় বার্সেলোনা কিছুটা সতেজ ভাবেই নামবে মাঠে।

রিয়াল মাদ্রিদেও রয়েছে ইনজুরি সমস্যা। দলের ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে চোটে পড়েছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে তার ফিটনেস দেখে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ডিফেন্ডার ফার্লান্দ মেন্ডি ফাইনালে থাকছেন না, এটা নিশ্চিত।

এখন পর্যন্ত সামগ্রিক এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে—১০৫ জয়। বার্সেলোনা জয় পেয়েছে ১০২ ম্যাচে। তবে কোপা দেল রে’র ইতিহাসে এগিয়ে আছে বার্সা। ৩৭ দেখায় বার্সা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, রিয়াল ১৩টি। ৮ ম্যাচ ছিল ড্র।

তবে কোপা দেল রে’র ফাইনালে ৭ বার এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে রিয়াল জিতেছে ৪ বার এবং বার্সা ৩ বার।

চলতি মৌসুমে দুই দলের দুই দেখায় দুটিতেই বার্সেলোনা জয়ী হয়েছে—লা লিগায় ৪-০ এবং সুপারকোপা দে এস্পানার ফাইনালে ৫-২ ব্যবধানে।

 

স্টেডিয়াম: দে লা কার্তুহা, সেভিল
সময়: বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ২টা

 

Header Ad
Header Ad

মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে নাঈম সরকার (১৯) নামের এক যুবককে মাদকাসক্তির কারণে ত্যাজ্য ঘোষণা করেছেন তার বাবা মফিজুল ইসলাম। ছেলের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মফিজুল ইসলাম উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের নগরপাড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কুমিল্লা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এক হলফনামার মাধ্যমে ছেলে নাঈমের সঙ্গে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

হলফনামায় মফিজুল উল্লেখ করেন, নাঈম একাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে পরিবারে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। গভীর রাতে বাড়ি ফেরা, মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা এবং নানা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল নাঈম। পরিবারের মান-মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মফিজুল ইসলাম বলেন, "সন্তানের এমন বিপথগামী আচরণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। বহু চেষ্টা করেও তাকে সঠিক পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে পরিবার ও সমাজের সম্মান রক্ষার্থে তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।"

Header Ad
Header Ad

গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে ক্রমাগত গরম বাড়ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং ও ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে আশার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, "এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আমরা সীমিত পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছি। আমাদের প্রজেকশনে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি, অনেকটাই ম্যানেজ করতে পারবো।"

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত 'জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে উপদেষ্টা আরও জানান, লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা হবে। জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারের মেয়াদ স্বল্প হওয়ায় কাজের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "জ্বালানির ক্ষেত্রে যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আমরা এমন কিছু হাতে নিচ্ছি না, যা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বকেয়া পরিশোধে। বিল পরিশোধ না করলে কোনো দেশ ব্যবসা করবে না।"

তিনি আরও জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইন লিকেজ ও গ্যাস চুরির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আগামী বছর আর কোনো বকেয়া থাকবে না, শুধুমাত্র কারেন্ট পেমেন্ট দিতে হবে। ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা যে সংকটের গহ্বরে পড়েছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি।"

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, বিট নিলামে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে পুনরায় রি-টেন্ডার করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক
সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো
অন্য নারীতে মজেছেন সৃজিত! মিথিলা কোথায়?
৪ মাসে কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ
রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন বেহাত না হয়: আলী রীয়াজ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, যা বললেন বিসিবি সভাপতি
কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি, মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান সেনা
বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা গোসল? সাবধান! এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিপদ
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান-ভারত পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
রাঙামাটিতে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৫
রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে রিয়াল, ফাইনাল ম্যাচ বয়কটের হুমকি
আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন, মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
নিজ দেশেই বিমান হামলা চালালো ভারত, ‘অসাবধানতা’ বলছে বিমান বাহিনী
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. তাসনিম জারা