বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান

ঘৃণার স্রোত নেমে যায়। জ্যাক এবং তার ভাইকে হাত খরচের কোনো টাকা দেওয়া হতো না। মাঝে মধ্যে কোনো দোকানদার মামা কিংবা ভালো পরিবারে বিয়ে হয়ে যাওয়া কোনো খালার কাছে তাদেরকে পাঠানো হতো। তখন সামান্য কিছু পাওয়া যেত। মামার কাছে যাওয়াটা সোজা ছিল। কারণ মামা তাদের দুজনকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু খালা তার তুলনামুলক সামান্য সম্পদের কথা তাদের মনে করিয়ে দিতেন। অপমানিত বোধ করার পরিবর্তে তারা দুভাই বরং পয়সা না পেলেও ওইসব ফাইফরমাস কাজে যেতে পছন্দই করত। যদিও সমুদ্র দেখার, খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ানোর এবং পাড়ার খেলাধুলার জন্য পয়সা লাগত না তবু আলুভাজা, মিঠাই, আরব পেস্ট্রি এবং জ্যাকের ক্ষেত্রে ফুটবল ম্যাচের জন্য পয়সার দরকার হতো। একদিন সন্ধ্যায় জ্যাক পাড়ার বেকারি থেকে হাতে করে আলু আর পনিরের বাটি নিয়ে ফিরছিল। তাদের বাড়িতে, গ্যাস কিংবা চুল্লি কোনোটাই ছিল না; তারা একটা অ্যালকোহল স্টোভে রান্না করত। রুটি জাতীয় কিছু তৈরি করার ব্যবস্থা ছিল না। কোনো খাবার সেঁকার দরকার হলে সেটা তৈরি অবস্থায় পাশের কোনো বেকারিতে নিয়ে যাওয়া হতো। কয়েক সেন্টিমের বিনিময়ে সেখানকার চুল্লিতে রেখে নজর রাখা লাগত। সেদিনের সেই বাটিটার ওপরে একটা কাপড় দেওয়া ছিল যাতে রাস্তার ধূলি পড়তে না পারে এবং কাপড়টাসহ ধোঁয়া ওঠা গরম বাটিটার কানা ধরা সম্ভব হয়। তার হাতে একটা দড়ির ব্যাগে ছিল অল্প পরিমাণ করে কয়েকটা প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন: আধা পাউন্ড চিনি, একপোয়া মাখন, পঁচিশ সেনটিম দিয়ে কেনা পনির ইত্যাদি। তার কনুইয়ের ভাঁজের ওপরে ঝোলানো ব্যাগটা খুব ভারি ছিল না। আলু আর পনিরের গন্ধ শুকতে শুকতে বেশ চঞ্চল গতিতেই যাচ্ছিল জ্যাক; তখন রাস্তায় কর্মফেরত লোকজনের বেশ ভিড় ছিল পাড়ার ফুটপাতের ওপর। হঠাৎ দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা তার পকেটের ছেড়া দিয়ে গড়িয়ে পড়ল ফুটপাতের ওপর। মুদ্রাটা কুড়িয়ে তুলে জ্যাক তার কাছে থাকা খুচরা পয়সাগুলো গুণে ওই মুদ্রাটা অন্য পকেটে রেখে দিল। হঠাৎ তার মনে হলো, আমি তো মুদ্রাটা হারিয়েও ফেলতে পারতাম। পরের দিনের ফুটবল ম্যাচের সম্ভাবনাটা সে ততক্ষণও বাতিল করেই রেখেছিল। সে সম্ভাবনাটাও এখন মনের পর্দায় মাথা তুলতে থাকল।

 

বালক জ্যাককে কেউ শিখিয়ে দেয়নি কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায়। কিছু কিছু বিষয় নিষিদ্ধ ছিল এবং সেগুলোর বরখেলাপ হলেই প্রচণ্ড শাস্তি পেতে হতো। সেগুলোর বাইরে কোনো কিছুর ব্যাপারে কিছু বলা ছিল না। শুধু তার শিক্ষকেরা পাঠ্যতালিকা অনুযায়ী পড়াশোনা শেষ করে সময় পেলে মাঝে মাঝে নৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। তাদের কথাতেও মূল কারণের চেয়ে নিষেধের বিষয়টাই মুখ্য হয়ে দেখা দিত। নৈতিকতা সম্পর্কে জ্যাক যা দেখেছে এবং অভিজ্ঞতা লাভ করেছে তার সবটা জুড়ে ছিল তাদের শ্রমজীবি শ্রেণির পরিবারের দৈনন্দিন জীবন। সেখানে কেউ ভাবতেই পারেনি, টিকে থাকার জন্য যে টাকা পয়সা দরকার সেটা যোগাড় করার জন্য কঠিন পরিশ্রম ছাড়া আর কোনো পথ আছে কি না। তবে সে শিক্ষার মধ্যে ছিল সাহস, নৈতিকতা নয়। তা সত্ত্বেও জ্যাক জানত, ওই দুই ফ্রাঁ লুকিয়ে ফেলাটা অন্যায়। সে এই কাজ করতে চায়নি। করবে না। তার চেয়ে বরং তার আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আরেকটা কাজ করতে পারে-প্যারেড গ্রাউন্ডের পুরনো স্টেডিয়ামের দুটো তক্তা ফাঁক করে ভেতরে ঢুকে পয়সা ছাড়াই খেলা দেখে আসতে পারে। ওই একই অভিজ্ঞতার জন্যও হতে পারে, নিজে হয়তো বুঝতে পারেনি কী কারণে, বাড়ি ফিরে তাড়াতাড়ি খুচরো পয়সাগুলো ফেরত দেয়নি। বাড়ি ফিরে একটু পরে টয়লেট থেকে ঘুরে এসে জ্যাক বলেছিল, টয়লেটে ট্রাউজার খূলে বসার সময় তার পকেট থেকে দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা টয়লেটের গর্তের মধ্যে পড়ে গেছে। জায়গাটাকে টয়লেট বললেও বেশি উঁচুমানের একটা চেহারা মনে হতে পারে। আসলে ওপরের তলার সিঁড়ির গোড়ায় সুরকি ঘষামাজা করে একটু জায়গা বের করে ওই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দরজা আর পেছনের দেয়ালের মাঝে মাঝারি আকারের বেদীতে তুর্কি কেতায় ফুটো করে বানানো হয়েছিল টয়লেটটা। সেখানে বাতাস, বৈদ্যুতিক আলো কিংবা তরল পদার্থ বের করার কোনো নলও ছিল না। কাজেই প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর ক্যানেস্তারা ভরে পানি ঢেলে দিতে হতো। তবে গোটা সিঁড়ি বেয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকত সব সময়। গন্ধ আটকানোর কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। জ্যাকের ব্যাখ্যাটা বাস্তবসম্মত ছিল। যদি বলত রাস্তায় হারিয়ে গেছে তাহলে তাকে আবার হয়তো সেখানেই পাঠানো হতো পয়সাটা খুঁজে আনার জন্য। বাড়তি কাজের ঝামেলা এড়ানো গেছে মনে হলো। তবু এই দুঃসংবাদটা প্রচার করার পর জ্যাকের মনের ভেতর খচখচ করতে লাগল। নানি তখন রান্নাঘরে একটা পুরনো ব্যবহারজীর্ণ দাগপড়া তক্তার ওপরে রসুন আর মসলা কাটছিলেন। কাজ থামিয়ে তিনি জ্যাকের দিকে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকালেন। জ্যাকের মনে হলো, নানি এই বুঝি বিস্ফোরণে ফেটে পড়বেন। কিন্তু তিনি চুপ থেকে বরফ শীতল চোখে জ্যাককে নিরীক্ষণ করতে লাগলেন। শেষে বললেন, তুই কি নিশ্চিত, পয়সা ওখানে পড়ে গেছে।

হ্যাঁ, পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনলাম।
তারপরও তিনি জ্যাকের দিকে পরীক্ষামূলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন। তারপর বললেন, ঠিক আছে, দেখি কী করা যায়।
আতঙ্কের মধ্যে জ্যাক দেখল, নানি তার জামার ডান হাতা ওপরের দিকে গুটিয়ে নিয়ে সিঁড়ির মাথার দিকে হাঁটা দিলেন। জ্যাক পড়িমরি করে খাবার ঘরের দিকে দৌড়লো। নানি ডাক দিলে জ্যাক এগিয়ে নানিকে ওয়াশবেসিনের সামনে দেখতে পেল। তার হাতের গোটা অংশ সাদা ফেনায় ঢাকা; পানির প্রবাহে ধুয়ে ফেলছেন তখন। জ্যাককে উদ্দেশ করে বললেন, ওখানে কিছু নেই। তুই মিথ্যে কথা বলেছিস।

তোতলাতে তোতলাতে জ্যাক বলল, মনে হয় পানির সাথে ধুয়ে চলে গেছে।
নানি বললেন, হতে পারে। তবে তুই যদি মিথ্যে কথা বলে থাকিস তাহলে তোর কপালে খারাপি আছে আজ।
হ্যাঁ, তার কপালে খারাপিই ছিল। কারণ সেবার সে বুঝতে পেরেছিল, তার নানি মনুষ্যবিষ্ঠার মধ্যে হাতড়ে হাতড়ে পয়সা খুঁজছিলেন লোভের বশবর্তী হয়ে নয়। ভয়ঙ্কর অভাব অনটনের কারণে। মাত্র দুই ফ্রাঁর একটা মুদ্রা অতি মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে তখনই বুঝতে পেরেছিল এবং পরবর্তীতে লজ্জার আকস্মিক বিচলনের সঙ্গে আরো পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছে, সে তার পরিবারের মানুষদের অতি কষ্টে উপার্জিত দুই ফ্রাঁ চুরি করেছিল। এমনকি আজও জানালার পাশে বসে থাকা মাকে দেখে জ্যাক ব্যাখ্যা করতে অপারগ, কী করে ওই দুই ফ্রাঁ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলেও পরের দিন ঠিকই ফুটবল ম্যাচ দেখতে যেতে পারত।

 

চলবে..

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত