ফাল্গুনে চুলের সাজ
কোনো নির্দিষ্ট ঋতুকে কেন্দ্র করে যে বাঙালির এত উন্মাদনা হতে পারে সেটি বসন্ত এলেই বোঝা যায়। তবে শুধু বসন্তই নয় প্রত্যেক ঋতু বরণেই বাঙালির উৎসবের কমতি থাকে না। পহেলা বৈশাখে দেশজুড়ে উৎসব চলে। এ ছাড়া বর্ষা, শরৎ, হেমন্তকে বরণ করতেও থাকে নানা আয়োজন। আর শীতকালজুড়েই থাকে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে পিঠা-পায়েস খাওয়ার আয়োজন। তবে বসন্ত যেন একেবারেই অন্যরকম। শুধু মানবকুল নয়, উৎসবে মেতে উঠে পুরো প্রকৃতিই। যেহেতু ঋতুরাজ বসন্ত তাই আমেজটা বেশিই।
বসন্তের প্রথমদিনের বসন-ভূষণ ও সাজগোছ কেমন হবে তাই নিয়ে পরিকল্পনার শেষ নেই। বসন্ত মানেই রঙের সামাহার। নারী-পুরুষ উভয়েই রঙিন পোশাক পরতে পছন্দ করে। আর নারীদের ফুলেল সাজতো থাকবেই। সাজগোছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় বাহারী চুল বাঁধা। কীভাবে চুল বাঁধবে, কী ফুল দেবে এসব নিয়ে ভাবনার শেষ নেই যেন। এবার ফাল্গুনের প্রথম দিন যেহেতু কর্মদিবস, তাই সাজগোছ বেশি জাঁকালো না হয়ে স্নিগ্ধ হওয়ায় ভালো।
* বসন্তের আমেজ অনেকেই চুলের সাজে নিয়ে আসেন। চিরাচরিত ধারায় চুল ফুলিয়ে, খোঁপা করে বা নানাভাবে বেণি করে ফুল দিতে পারেন। খোঁপার বেলায় চুল সামনে থেকে ফুলিয়ে হালকা করে হাতখোঁপা করে ফেলতে পারেন। এবার তাতে জড়িয়ে নিন নানা রঙিন ফুলের মালা। আবার মধ্যে সিঁথি করে দুই পাশ থেকে টুইস্ট করে কানের পেছনে আটকেও খোঁপা করে নিতে পারেন। সামনে টিজিং করে ফুলিয়ে বেণিও করতে পারেন।
* ফ্যাশন বিষয়টা কেমন যেন চক্রাকারে ঘুরে ফিরে আসে। মাঝে মাঝেই দেখা যায়, পুরোনো স্টাইল নতুন করে চালু হয় গেছে। ষাট দশকের স্টাইলে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করছেন অনেক তরুণী। এই সাজে চুলগুলো হালকা কোঁকড়া করে চিকন কোনো ফুলের রিং মাথায় মুকুটের মতো পরে নেওয়া যায়। চাইলে কানের দুই পাশ থেকে চুল নিয়ে টুইস্ট করে পেছনে আটকে নিতে পারেন। পেছনে লাগিয়ে নিতে পারেন জংলি ছোট ছোট ফুল।
* তবে কর্মজীবীদের সাজগোছের ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রের বিষয় মাথায় রাখতেই হয়। দীর্ঘ সময় অফিসে থাকা সেই সঙ্গে আরাম বা সাচ্ছন্দ্যবোধের বিষয়ে নজর রাখতে হয়। তাই চুলের সাজে থাকতে হবে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। হাতখোঁপা করে বড় একটি ফুল গুঁজে নিতে পারেন কানের পেছনে বা খোঁপায়। যারা বেণি করতে পছন্দ করেন, রাতে চুল কোঁকড়া করে পেঁচিয়ে সকালে চুল খুলে হালকা বেণির মতো করে ফেলতে পারেন। ছোট ফুল বেণির মধ্যে দিয়ে দিন। অল্পতেই আনতে পারেন বসন্তের আমেজ।
এসএন