শীতে অতিরিক্ত চা বা কফি পান নিয়ন্ত্রণের উপায়

কফি বা চা ছাড়া সকালটা একেবারেই অসম্পূর্ণ হয়। তবে অতিরিক্ত যেকোনো কিছুই ক্ষতিকর। আমরা অন্য সময়ে যত চা বা কফি পান করি, শীতকালে তার পরিমাণটা একটু বেশিই হয় সাধারণত। কিন্তু অতিরিক্ত চা বা কফি পান আমাদের মানসিক চাপ বাড়াতে পারে বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কফি বা চায়ের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে-
বিকল্প পানীয় পান
ভেষজ চা, হলুদ বা এলাচি দুধের মতো পানীয়গুলো কফি বা চায়ের বিকল্প হতে পারে। এগুলো যেমন হজমে সহায়তা করে, তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে। বিশেষ করে কফিপ্রেমীদের জন্য, এমন ধরনের ডি-ক্যাফেইনযুক্ত বিকল্প পানীয়গুলো ক্যাফেইন আসক্তি প্রতিরোধ করার জন্য ভালো উপায় হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত
আপনার ঘুমের সময়সূচি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনি দিনের কর্ম শক্তি হারিয়ে ফেলবেন। আর ক্লান্তি আপনার কফি বা চা পানের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। সঠিক ঘুম নিশ্চিত করবে আপনার সারাদিনের কর্মশক্তি। যা আপনার চা বা কফি পানের আসক্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম করা
যখন আপনার কফি বা চা পানের আকাঙ্ক্ষা জাগে, তখন রুটিনে পরিবর্তন আনুন। এই সময়ে একটু হাঁটার জন্য বিরতি নিতে পারেন বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এভাবে রুটিনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে কফি বা চা পানের প্রবণতা দূর করা সম্ভব।
উষ্ণ লেবুপানি দিয়ে দিনের শুরু
আপনি সকালে ঘুম থেকে যখনই উঠুন না কেন দিনের শুরু করতে পারেন হালকা গরম লেবুপানি দিয়ে। এই অভ্যাস আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি খাওয়ার পাশাপাশি হজমশক্তিকেও উন্নত করবে।
সুষম খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনার খাবারে অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে যেমন সাহায্য করবে, তেমনি আপনাকে ক্যাফেইন বা চা এড়াতে সাহায্য করবে।
মূল কারণ খুঁজুন
এসব উপায় অবলম্বনের পরও যদি চা বা কফি পানের আসক্তি না কমে তাহলে মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।
এসএন
