জামিন পেলেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া
ছবি: সংগৃহীত
হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন অজ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় অভিযুক্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া । বুধবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে মোট ১০টি । এরমধ্যে ৯টি মামলায় ইতিমধ্যে পাপিয়া জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এর আগে, ২০২২ সালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এছাড়াও পাপিয়ার বিরুদ্ধে অভিজাত এলাকায় দেহ ব্যবসা পরিচালনা সহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় তাকে মোট ২৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত।
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে চলতি বছরের ৩ জুলাই কারাবন্দি পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া হোটেল ওয়েস্টিনে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বিল দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকতেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
সে বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বাকিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্র মামলাতেই পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।