শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে চলছে গণটিকা কার্যক্রমের ২য় দিন

রাজধানীতে চলছে করোনাভাইরাসের গণটিকার কার্যক্রম। রাজধানীর প্রতিটি অস্থায়ী টিকাদান বুথ, কেন্দ্র, ক্লিনিক, হাসপাতালে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকা গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই কোভিড-১৯ এর গণটিকা পেয়ে সবাই অনেক খুশি। অনেক মানুষ এতদিন টিকা নিতে নারাজ ছিলেন কিন্তু এখন গণটিকা নিতে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা।

তবে বেশ কিছু এলাকায় ভোগান্তিও দেখা গেছে। টিকা নিতে আসা মানুষের ঢল নামায় রাজধানীর একাধিক কেন্দ্রে কমবেশি ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক স্থানে টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে মৃদু হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর, মহাখালীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীর চর বস্তি ও ভাষানটেক এলাকার বস্তিতে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, কড়াইল বস্তিতে আনসারদের সহযোগিতায় এ গণটিকার কার্যক্রম চলছে। মহাখালী টিএনটির আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

আজিমপুরে টিকা নিতে এসেছেন কামরাঙ্গীরচর থেকে রিকশা চালক জসিম মিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি টিকা নিতে। টিকা নেব না রিকশা চালাব? এ সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায় সেখানে।

সকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টাফ কোয়ার্টারে টিকা নিতে এসেছেন ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিহাব। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিয়েছি এখনো কোনো অসুবিধা হয়নি।

আজিমপুর অফিসার্স কোয়ার্টারে টিকা নিতে আসা আজম মিয়া (৭০) বলেন, ‘বয়স বাড়ায় শারীরিক জটিলতার কারণে টিকা নিতে একটু দেরি করেছি কিন্তু অবশেষে টিকা নিতে হলো। এক ঘণ্টা হয়েছে টিকা গ্রহণ করেছি কোন সমস্যা হয়নি।

সকালে মোহম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নারী ও পুরুষরা লাইন ধরে সুষ্ঠভাবে টিকা গ্রহণ করছেন। শ্যামলী থেকে টিকা নিতে আসা রাকিব হোসেন জানান, এর আগে বিভিন্ন কাজের কারণে আমি টিকা নিতে পারিনি। তাই আজকে টিকা নিতে এসেছিলাম। সুন্দর ভাবে টিকা নিতে পেরেছি। অনেকে টিকা নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

মিরপুর বিহারি ক্যাম্প থেকে টিকা নিতে আসা সালেহিন জানান, ‘আমি গ্যারেজে কাজ করি। আমার জন্মসনদ ছিল না। তাই কোথাও থেকে টিকা নিতে পারিনি। আজ এখানে টিকা নিতে পারলাম। শুধু মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকাটা নিয়ে নিলাম। খুব ভালো লাগছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার বোনও টিকা নিয়েছে। ও আলাদা লাইনে দাঁড়িয়েছিল। একটু সকাল সকাল আসছি। তাই দ্রুত পেয়েছি। তবে সকালে আমরা যখন আসছি তখন অনেক লোক লাইনে ছিল। আমাদের সঙ্গের অনেকেই এখানে টিকা নিতে আসছে।’

সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্নভাবে শেষধাপের গণটিকার কার্যক্রম চলছে। যারা এখনও টিকা নেয়নি তারাই আজকে এসে টিকা গ্রহণ করছেন।

বাড্ডা জেনারেল হসপিটালের টিকা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার বলেন, ‘আজ টিকা নিতে আসা মানুষের প্রচুর ভিড়। সকাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক মানুষকে টিকা দিয়েছি। আমরা তো মনে করেছি প্রথম ডোজ টিকা বেশিরভাগ মানুষ নিয়েছেন তবে এখনও যে অনেকেই নেননি আজ সেটার প্রমাণ পেলাম।’

এদিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেও সুন্দরভাবে চলছে টিকা দান কর্মসূচি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে টিকা নিতে আসা ভ্যানচালক মামুন বলেন, ‘আমি ভ্যান চালাই। তাই সময় মত টিকা দিতে পারিনি। আগে আমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, তাই টিকাও নিতে পারিনি। সেজন্য আজ গণটিকা নিতে এসেছি।

পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই গণটিকা দান চলছে। সকলে লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন।

হাসপাতালটির উল্টো পাশে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যক্ষা হাসপাতালে সকাল থেকে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। টিকা নিতে আসা মানুষরা উপস্থিত হয়েছেন টিকা গ্রহণ করতে। এবং তাদেরকে সুন্দরভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালটির কর্মকর্তা স্বাধীন বলেন, আমাদের প্রায় ১০০ কর্মী আজকে টিকাদান কাজ করছেন। তাদের সবাই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টিকাদান কাজ করবেন। টিকার কোনো সমস্যা নেই। যেই আসছে, তাদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা না পেয়ে কেউ ফেরত যায়নি।

আজিমপুর ক্লিনিকের কর্মকর্তা ফেরদাউস সুলতানা বলেন, সবাই জানতেন ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনার প্রথম ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শেষ হচ্ছে। তাই কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ঢল নেমেছিল।

টিকাপ্রত্যাশী অসংখ্য নারী-পুরুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছু অব্যবস্থাপনার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীর বেশির ভাগ টিকাকেন্দ্র ও হাসপাতালে।

মিরপুর লালকুটি হাসপাতলেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে টিকার জন্য অপেক্ষা করা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি ১১টার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন ১২টা বাজে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে টিকা নিতে। তবে খুব সুন্দর ভাবে টিকা নিতে পেরেছি।’

টিকার জন্য লাইনে দাঁড়ানো মোহাম্মদ সোলেমান বলেন, ‘আজকের পর প্রথম ডোজ আর দেবে না। আজকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি ভালো ভাবে টিকা নিতে পারব।’

টিকা কেন্দ্রের একাধিক স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ‘সকাল থেকে খুব সুন্দরভাবে টিকা দান চলছে। যারা এসেছেন, সবাই টিকা পাবেন।’

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গণটিকা ব্যস্তবায়নে ১৬টি বুথ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয় প্রায় চার হাজার মানুষকে।

নীলক্ষেতে টিকা নিতে আসা হ্যাপি আক্তার বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ কোনো অসুবিধা হয়নি। দেরি করে টিকা গ্রহণ করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট বাচ্চা ছিল এজন্য।’

সেগুনবাগিচা কাউন্সিলর ভবনের ছয় তলায় টিকা নিতে আসা রহিমা আক্তার বলেন, ‘সবাই থেকে নিচ্ছে এজন্য আমিও টিকা নিয়ে নিলাম। কোন ধরনের অসুবিধা হয়নি।

এদিকে গত বুধবার সাভারে করোনাভাইরাসের টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজ টিকা প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় হয়, যা সামলাতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়েছে।

গণ টিকার সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় আজিমপুর ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক এর সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় আগে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে টিকার কার্যক্রম চলছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সাধারণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। আজ বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ রতন বলেন, সেগুনবাগিচা, পল্টন, কালভার্ট রোডসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গণটিকা কার্যক্রম চলছে। সকাল থেকে গণ টিকা নিতে অনেক ভিড় ছিল। বর্তমানে স্বাভাবিক তবে সাধারণ মানুষ টিকা নিতে খুব আগ্রহী।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত