শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজধানীতে চলছে গণটিকা কার্যক্রমের ২য় দিন

রাজধানীতে চলছে করোনাভাইরাসের গণটিকার কার্যক্রম। রাজধানীর প্রতিটি অস্থায়ী টিকাদান বুথ, কেন্দ্র, ক্লিনিক, হাসপাতালে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকা গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই কোভিড-১৯ এর গণটিকা পেয়ে সবাই অনেক খুশি। অনেক মানুষ এতদিন টিকা নিতে নারাজ ছিলেন কিন্তু এখন গণটিকা নিতে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা।

তবে বেশ কিছু এলাকায় ভোগান্তিও দেখা গেছে। টিকা নিতে আসা মানুষের ঢল নামায় রাজধানীর একাধিক কেন্দ্রে কমবেশি ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক স্থানে টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে মৃদু হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর, মহাখালীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীর চর বস্তি ও ভাষানটেক এলাকার বস্তিতে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, কড়াইল বস্তিতে আনসারদের সহযোগিতায় এ গণটিকার কার্যক্রম চলছে। মহাখালী টিএনটির আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রগুলোতে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

আজিমপুরে টিকা নিতে এসেছেন কামরাঙ্গীরচর থেকে রিকশা চালক জসিম মিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি টিকা নিতে। টিকা নেব না রিকশা চালাব? এ সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যায় সেখানে।

সকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টাফ কোয়ার্টারে টিকা নিতে এসেছেন ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিহাব। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিয়েছি এখনো কোনো অসুবিধা হয়নি।

আজিমপুর অফিসার্স কোয়ার্টারে টিকা নিতে আসা আজম মিয়া (৭০) বলেন, ‘বয়স বাড়ায় শারীরিক জটিলতার কারণে টিকা নিতে একটু দেরি করেছি কিন্তু অবশেষে টিকা নিতে হলো। এক ঘণ্টা হয়েছে টিকা গ্রহণ করেছি কোন সমস্যা হয়নি।

সকালে মোহম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নারী ও পুরুষরা লাইন ধরে সুষ্ঠভাবে টিকা গ্রহণ করছেন। শ্যামলী থেকে টিকা নিতে আসা রাকিব হোসেন জানান, এর আগে বিভিন্ন কাজের কারণে আমি টিকা নিতে পারিনি। তাই আজকে টিকা নিতে এসেছিলাম। সুন্দর ভাবে টিকা নিতে পেরেছি। অনেকে টিকা নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

মিরপুর বিহারি ক্যাম্প থেকে টিকা নিতে আসা সালেহিন জানান, ‘আমি গ্যারেজে কাজ করি। আমার জন্মসনদ ছিল না। তাই কোথাও থেকে টিকা নিতে পারিনি। আজ এখানে টিকা নিতে পারলাম। শুধু মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকাটা নিয়ে নিলাম। খুব ভালো লাগছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার বোনও টিকা নিয়েছে। ও আলাদা লাইনে দাঁড়িয়েছিল। একটু সকাল সকাল আসছি। তাই দ্রুত পেয়েছি। তবে সকালে আমরা যখন আসছি তখন অনেক লোক লাইনে ছিল। আমাদের সঙ্গের অনেকেই এখানে টিকা নিতে আসছে।’

সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্নভাবে শেষধাপের গণটিকার কার্যক্রম চলছে। যারা এখনও টিকা নেয়নি তারাই আজকে এসে টিকা গ্রহণ করছেন।

বাড্ডা জেনারেল হসপিটালের টিকা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার বলেন, ‘আজ টিকা নিতে আসা মানুষের প্রচুর ভিড়। সকাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক মানুষকে টিকা দিয়েছি। আমরা তো মনে করেছি প্রথম ডোজ টিকা বেশিরভাগ মানুষ নিয়েছেন তবে এখনও যে অনেকেই নেননি আজ সেটার প্রমাণ পেলাম।’

এদিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেও সুন্দরভাবে চলছে টিকা দান কর্মসূচি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে টিকা নিতে আসা ভ্যানচালক মামুন বলেন, ‘আমি ভ্যান চালাই। তাই সময় মত টিকা দিতে পারিনি। আগে আমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, তাই টিকাও নিতে পারিনি। সেজন্য আজ গণটিকা নিতে এসেছি।

পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই গণটিকা দান চলছে। সকলে লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন।

হাসপাতালটির উল্টো পাশে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যক্ষা হাসপাতালে সকাল থেকে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। টিকা নিতে আসা মানুষরা উপস্থিত হয়েছেন টিকা গ্রহণ করতে। এবং তাদেরকে সুন্দরভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালটির কর্মকর্তা স্বাধীন বলেন, আমাদের প্রায় ১০০ কর্মী আজকে টিকাদান কাজ করছেন। তাদের সবাই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টিকাদান কাজ করবেন। টিকার কোনো সমস্যা নেই। যেই আসছে, তাদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা না পেয়ে কেউ ফেরত যায়নি।

আজিমপুর ক্লিনিকের কর্মকর্তা ফেরদাউস সুলতানা বলেন, সবাই জানতেন ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনার প্রথম ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শেষ হচ্ছে। তাই কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ঢল নেমেছিল।

টিকাপ্রত্যাশী অসংখ্য নারী-পুরুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছু অব্যবস্থাপনার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীর বেশির ভাগ টিকাকেন্দ্র ও হাসপাতালে।

মিরপুর লালকুটি হাসপাতলেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এখানে টিকার জন্য অপেক্ষা করা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি ১১টার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন ১২টা বাজে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে টিকা নিতে। তবে খুব সুন্দর ভাবে টিকা নিতে পেরেছি।’

টিকার জন্য লাইনে দাঁড়ানো মোহাম্মদ সোলেমান বলেন, ‘আজকের পর প্রথম ডোজ আর দেবে না। আজকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি ভালো ভাবে টিকা নিতে পারব।’

টিকা কেন্দ্রের একাধিক স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ‘সকাল থেকে খুব সুন্দরভাবে টিকা দান চলছে। যারা এসেছেন, সবাই টিকা পাবেন।’

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গণটিকা ব্যস্তবায়নে ১৬টি বুথ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয় প্রায় চার হাজার মানুষকে।

নীলক্ষেতে টিকা নিতে আসা হ্যাপি আক্তার বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দ্যে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ কোনো অসুবিধা হয়নি। দেরি করে টিকা গ্রহণ করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট বাচ্চা ছিল এজন্য।’

সেগুনবাগিচা কাউন্সিলর ভবনের ছয় তলায় টিকা নিতে আসা রহিমা আক্তার বলেন, ‘সবাই থেকে নিচ্ছে এজন্য আমিও টিকা নিয়ে নিলাম। কোন ধরনের অসুবিধা হয়নি।

এদিকে গত বুধবার সাভারে করোনাভাইরাসের টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজ টিকা প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় হয়, যা সামলাতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়েছে।

গণ টিকার সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় আজিমপুর ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিক এর সঙ্গে।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় আগে থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে টিকার কার্যক্রম চলছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সাধারণ মানুষ টিকা নিচ্ছেন। আজ বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ রতন বলেন, সেগুনবাগিচা, পল্টন, কালভার্ট রোডসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গণটিকা কার্যক্রম চলছে। সকাল থেকে গণ টিকা নিতে অনেক ভিড় ছিল। বর্তমানে স্বাভাবিক তবে সাধারণ মানুষ টিকা নিতে খুব আগ্রহী।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, দর্শক ভোটে সর্বাধিক পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন নারী সাফ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাতীয় নারী ফুটবল দলের মিডফিল্ডার ঋতুপর্ণা চাকমা।

এ বছর ‘স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে মিরাজ পেছনে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা এবং ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা আর্চার সাগর ইসলামকে। অপরদিকে, ‘পপুলার চয়েজ’ বিভাগে ঋতুপর্ণা এগিয়ে যান মিরাজ ও উদীয়মান পেসার নাহিদ রানাকে ছাড়িয়ে।

 

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৪ সাল থেকে ক্রীড়াবিদদের স্বীকৃতি জানিয়ে আসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এবছর ১৫টি বিভাগে মোট ১৩ ব্যক্তি, দল ও সংস্থাকে সম্মাননা দেয়। সংগঠনের সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার গ্রহণ করে মিরাজ বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ প্রতি বছর এমন আয়োজনের জন্য। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।” ভুটানে লিগ খেলায় ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও বার্তায় ঋতুপর্ণা জানান, “এই সম্মান আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে।”

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি

রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মগবাজার ও মধুবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও ময়লার উপস্থিতি নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ট্যাপের পানি দুর্গন্ধযুক্ত ও অস্বচ্ছ হওয়ায় তা রান্না, গোসল ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাসার পানির ট্যাঙ্ক একাধিকবার পরিষ্কার করেও মিলছে না সমাধান। ওয়াসার সাপ্লাই পাইপ থেকেই এই সমস্যার উৎপত্তি বলে মনে করছেন তারা।

মধুবাগ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এই পানি দিয়ে রান্না ও গোসল সম্ভব না। আমাদের বাসার শিশুরা পানি খেতেই চায় না। বাধ্য হয়ে পাম্প থেকে পানি এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে।” আরেকজন জানান, “ট্যাঙ্ক পরিস্কার করলে প্রথমে কিছুদিন ভালো থাকে, তারপর আবার পোকা দেখা দেয়।”

বিকল্প না থাকায়, অনেকেই ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে পানি ব্যবহার করছেন। কিন্তু তারপরও পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার তিনজন কর্মকর্তা মধুবাগ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং কয়েকটি বাসা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পোকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে দায় চাপান ট্যাঙ্ক ঠিকমতো পরিষ্কার না করাকে। ওয়াসার উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “লাইনের পানি পরিষ্কার। ট্যাঙ্ক যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, তাহলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের পরও পানি দূষিত হচ্ছে, যা পাইপলাইনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় ওয়াসার কর্মকর্তারা পাইপের মান যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে হবে বিদেশি আইনের মাধ্যমে এবং এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ নতুন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি দেশের নয়, বরং বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ রেখে করতে হবে। এর জন্য আগে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং এস্টেট (সম্পদ) ফ্রিজ করে আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া চালাতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথমে এস্টেটগুলো ফ্রিজ করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আইন পরামর্শক নিয়োগে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা গেলে এটিই হবে প্রথম সাফল্য।”

এক প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, “আমার ধারণা, প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপেরই প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থ পাচার হয়েছে। এগুলো বড় গ্রুপের হিসাব, ছোট গ্রুপগুলো এখনো বিবেচনায় আনা হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এমন না ঘটে, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “সব সময় আদালতের মাধ্যমে সমাধান না করে, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতেও (আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট) টাকা ফেরত আনার চিন্তা করছি। তবে সেটার আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা জরুরি, না হলে আমরা ঠকে যাব।”

মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে গভর্নর বলেন, “অতীতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে তা ছিল ১৩-১৪ শতাংশ। তবে এখন সেটি ৮-৯ শতাংশে নেমেছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমতির দিকেই। আগামী বছরে তা ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উপপরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু