হাল্ট প্রাইজের জন্য বিইউটিতেও আবেদন করুন, ২ হাজার মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিন
লেখা ও ছবি : নুরুল ইসলাম রুদ্র
https://oncampus.hultprize.org/bubt নামে হাল্ট প্রাইজের ক্যাম্পাসে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ আছে। এটি আমাদের দেশের প্রখ্যাত অধ্যক্ষ, কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী ফারুকীর নিজের হাতে গড়া স্বঅর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকলোলজি (বিইউবিটি)। সেখানে সবাসরি আবেদন করা যাবে ও ভালোভাবে হাল্ট প্রাইজ সম্পকে জানা যাবে। আছে ঢাকার মিরপুরে, মূল রাস্তার পাশে।
অনক্যাম্পাস হাল্ট প্রাইজ.অগ নামে সার্চ দিলে মূল পেইজটি আসবে। সেখানে লেখা আছে-‘এবারের হাল্ট প্রাইজ বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র, ছাত্রীদের কাজে নামার জন্য আহবান করছে। তাদেরকে দলের মাধ্যমে অর্থবহ কাজের সুযোগগুলো তৈরি করে দিতে আবেদন জানাচ্ছে। আমরা আপনার ও আপনাদের কাছে এমন একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া বা পূর্ণ ধারণা লাভ করতে চাই, যেটি কমপক্ষে ২ হাজার মানুষের ২০২৪ সালের মধ্যে কাজের সুযোগ করে দেবে এবং বিশ্বে একটি ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে।’ এই ব্যবসায়িক ধারণাগুলো উদ্দীপনামূলক হতে হবে। মানুষ আগ্রহের সঙ্গে ভালোর জন্য অংশগ্রহণ করবেন।
এবারের হাল্ট প্রাইজের শ্লোগান হলো-বিশ্বটিকে কাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেজন্য কাজের অহবান করা হচ্ছে সারা বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীকে।
হাল্ট প্রাইজ নামের শুরুর ব্যবসা কৌশলগুলোর কোনোটিই ফেলনা নয়, প্রত্যেকের আইডিয়া কাজে লাগানো সম্ভব। তবে যেটি বিশ্ব আসরে সেরা হবে বিল ক্লিনটনের কাছে, সেটি মার্কিন ১০ লাখ ডলার বা ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুদান লাভ করবে। অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ, খুব সম্মানজনক প্রতিযোগিতাটির বাংলাদেশেরও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র, ছাত্রীদের নব, সমাজ উন্নয়ন, জনগোষ্ঠীর জীবনমান বদলানোর মতো সৃজনশীল, নতুন কার্যকর আইডিয়া ও সেগুলোর পরে অনুদানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার সামাজিক উন্নয়ন কম ‘হাল্ট প্রাইজ’র রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয়বারের মতো এই প্রতিযোগিতার স্বাগতিক হয়েছে।
আগামীকাল ৫ মার্চ, রবিবার হাল্ট প্রাইজের রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে। চলবে টানা চারদিন ৯ মাচ, বুধবার পর্যন্ত।
‘হাল্ট প্রাইজ’ নামের বৈশ্বিক এই জীবনমান বদলানোর ধারণা ও কার্যক্রমের তরুণ-তরুণীদের প্রতিযোগিতাটির বাংলাদেশে তাদের ক্যাম্পাসের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী আমিনুল হক লস্কর নিশ্চিত তথ্য জানিয়েছেন।
হাল্ট প্রাইজের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, ‘আমাদের হাল্ট প্রাইজের লক্ষ্য হলো, সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে তৈরি বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য তরুণ-তরুণী ছাত্র, ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে আসা। এবার করোনাভাইরাসের আক্রমণে কোভিড-১৯ রোগের আক্রমণে মহামারিতে বেকারত্বও প্রবলভাবে বেড়েছে। ফলে বিপুল বেকার জনগোষ্ঠীগুলোকে কমসংস্থান গড়ে দেওয়া ও নানা দেশে কমসংস্থান তৈরির কাজটি আমাদের বিষয় হয়েছে।’
আমিনুল হক লস্কর বলেছেন, ‘এবারের প্রতিযোগিতাটিও তিনটি রাউন্ডে হবে। প্রথমে কাজ হলো কমপক্ষে তিনজন ও সবোচ্চ চারজনের দল তৈরি করা। এরপর রেজিস্ট্রেশন করে ফেলা। ফেইসবুকে আমাদের লিংক আছে-https://www.facebook.com/hultprizesust/. তাতেও অবশ্যই দলের নাম দিতে হবে, একটি ইভেন্ট আইডিয়া জমা দিতে হবে।’
ইউনিভাসিটি অব লিবারেল আটর্স বা ইউল্যাবও এবারের হাল্ট প্রাইজের দায়িত্ব পেয়েছে। তবে ফেইসবুক পেইজটি এখনো চালু হয়নি।
অনলাইন আবেদন ছাড়াও সরাসরি আবেদনপত্রগুলো আইডিয়া আকারে নির্বাচিত ক্যাম্পাসগুলোতে জমা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাল্ট প্রাইজ-২০০ বিশ্ব আসরের বাংলাদেশ ক্যাম্পাসের একটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী।
মোট ১৫টি ক্যাম্পাস দলকে সেমিফাইনালে অংশ নেবার সুযোগ দেওয়া হবে। সেমিফাইনাল রাউন্ডও হবে অনলাইনে, জানিয়েছেন আমিনুল হক লস্কর।
অনলাইনে ভিডিও প্রতিযোগিতাতে সেমিফাইনাল রাউন্ডে নিজেদের আইডিয়া প্রেজেন্টেশন (আসলে বিস্তারিতভাবে কীভাবে এই আইডিয়া কাজ করবে, ধাপে, ধাপে বিবরণ ও উন্নয়ন এবং কার্যক্রম ও ফলাফল) করা হবে। তাতে জীবনমান বদলানোর দারুণ আইডিয়াগুলো অসাধারণ উদ্ভাবন কৌশলী হতে হবে। হাল্টের নিয়মই এই-আইডিয়া ও ডেভেলপমেন্ট অসাধারণ এবং জীবনমুখী হতে হয়। এরপর ফাইনাল রাউন্ড হবে। তাতে বাংলাদেশে মোট ৫টি দল থাকবে। তাদের মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় দল সেরা হবে বা চ্যাম্পিয়নশিপ লাভ করবে।
সেই বাংলাদেশ সেরা সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় দলটি যাবে ওয়ার্ল্ড হাল্ট প্রাইজে। তারা লড়বেন বিশ্বের সেরা দেশগুলোর সেরা বিশ্ববিদ্যালয় দলগুলোর সেরা উদ্ভাবকদের সঙ্গে।
ওএস।