গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালও আছে
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের অন্যতম ছাত্র ইহসানুল কবীর আনিন বলেছেন তাদের অনুষদের গল্প
আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদ’ চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর অনুমোদন নিয়ে তারা শিক্ষা প্রদান শুরু করলেন। প্রথমবার ভর্তি হলেন ২৫ জন ছাত্র, ছাত্রী। এরপর পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় ইউজিসি আসন দ্বিগুণ করে। আমাদের অনুষদটি খুব উন্নত। আছে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ, উন্নত গবেষণা উপকরণ। আধুনিক গবেষণাগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোলট্রি ও ডেইরি গবেষণা খামার, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটাল আছে। হাসপাতালটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সারা দেশে ভেটেরিনারি শিক্ষায় নব দিগন্ত শুরু করেছে। আমরা সব বিভাগের ছাত্র, ছাত্রীরা হাতে-কলমে চিকিৎসক হতে পারছি। আশপাশের মানুষরা কম খরচে গৃহপালিত প্রাণী ও পশুসম্পদের রোগগুলোর চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন। আমাদের চিকিৎসকরা হলেন বিভাগের অধ্যাপকরা।
আছেন মোট ১৪ জন শিক্ষক। তারা মানসম্পন্ন ও ভালো। ফলে অনুষদটি সারা দেশেই সুনাম লাভ করে চলেছে। আমাদের যে ডেইরি ও পোলট্রি ফার্মগুলো রয়েছে, সেগুলো শুরু থেকে আছে। আরো রয়েছে টার্কি গবেষণা প্রকল্প। এখানেও গবেষণা চলছে সবার। ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটালের অধীনে অ্যানিমেল অপারেশন থিয়েটার নিমাণ করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করা হচ্ছে। তাতে অনুষদের ছাত্র, ছাত্রীদের কদর বেড়ে চলেছে। আছে এখন মোট চারটি বিভাগ-প্রি-ক্লিনিক্যাল, ক্লিনিক্যাল, প্যারা ক্লিনিক্যাল ও অ্যানিমেল প্রডাকশন।
আমাদের অনুষদটি ডিন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান। এখন ডিন আছেন অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন মন্ডল। তিনি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। এর আগে স্যার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং অনুষদের ডিন ছিলেন।
আমাদের বিভাগটি নিয়ে ড. মোস্তাফিজার রহমান মন্ডলের মুখোমুখি হলে স্যার বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যথাযথ মান বজায় রেখে উচ্চতম শিক্ষা প্রদানের সুনাম ধরে রেখেছি আমরা। সেজন্য তাদের পড়ালেখার যাবতীয় উপকরণগুলো প্রদান করতে কাজ করছি। ফলে গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে তারা দেশ, বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। করছেও।’
স্যারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে বছরে দুটি সেশনে এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি ছাত্র, ছাত্রী ভর্তি করে। একটি হলো এপ্রিল, অন্যটি অক্টোবর। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ ছাত্র, ছাত্রীরা পড়তে পারেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান আবিশ্যিক হিসেবে থাকতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান থেকে অন্তত ২.৫০ সিজিপিএ থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল বা বিভিসির নিয়ম মেনে ও ইউজিসির হিসেবে আমাদের সিলেবাসগুলো তৈরি করা হয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে মোট ১শ ৯২টি ক্রেডিট পড়তে হয় সবাইকে। চার বছরের অনার্স শেষে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এরপর এক বছরের মাস্টার্স আছে। পাশ করে বিভিসির রেজিষ্ট্রেশন লাভ করে ছাত্র, ছাত্রীরা। পড়ালেখা করতে মোট ৫ লাখ টাকা খরচ হয় পরিবারগুলোর।’
ওএস।