করতোয়া নদীর চরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলন
পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা করতোয়া নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ব্যাপক ভাবে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। অল্প পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় নদীর দুই ধারে চরে ক্রমেই বাড়ছে পেঁয়াজ আবাদ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগবালাই কম হওয়ায় এবারে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। নদীর চরে পেঁয়াজ আবাদ করে লাভের মুখ দেখে আগামী বছরও এসব চরে ব্যাপক ভাবে পেঁয়াজ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নদীর চর ও নদীর তীরবর্তি বালুচরের বেলে-দোঁয়াশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ভূমিহীন অনেক কৃষক চরের এ মাাটির সদ্ব্যবহার করে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। নদীর চরে এ চাষাবাদ জেলার পেঁয়াজের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে। পেঁয়াজ চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে কৃষি বিভাগ। অনেকের নিজস্ব জমি না থাকায় নদীর চরকে ফসল ফলানোর জন্য বেছে নিয়েছে তারা । কৃষকরা জানায়, নদীর চরে পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মালচন্ডি গ্রামের কৃষক অমর আলী জানান, করতোয়া নদীর চরে তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। এতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশাকরি ভালো ফলন পেলে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে।
একই এলাকার ইনতাজ আলী জানান, করতোয়া নদীর চরে সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. শাহ আলম জানান, জেলার নদীর চরগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ। চর এলাকা সহ জেলার পেঁয়াজ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। এবারে জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ টন।