বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘দি লতা মঙ্গেশকর অ্যাওয়ার্ড’

কীভাবে তার জীবনের ছবিটি এগিয়েছে? লতা মঙ্গেশকরের বছরওয়ারি উল্লেখযোগ্য

১৯২৯ থেকে ২০২২ : সারাজীবন ধরে সংগ্রামটি করে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। একটি মহৎ জীবনের খোঁজে, একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তোলার আশায়, কাজ করে গিয়েছেন। সেটি করেছেন তিনি হাসপাতালে জীবনপ্রদীপ বাঁচানোর যুদ্ধেও। নিজেকে একজন যোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করেছেন ভারতের এই সুরসম্রাজ্ঞী। গতকাল রবিবার বিরাট দেশ ভারতের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিটির সংবাদ শিরোনাম হলেন-‘লতাজী’। কী তার জীবনের বছরওয়ারি উল্লেখযোগ্য?

২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ : ভারত ‘কুইন অব মেলোডি’ বা সুমিষ্ট কণ্ঠ স্বরগুলোর রাণীকে পাওয়ার আর্শীবাদে ধন্য হলো। তিনি মাটির পৃথিবীতে এলেন।

১৯৩৫ : বাবা মাঙ্গেশি নামের ভারতের পশ্চিমের প্রদেশ গোয়ার জন্মশহরের নামটি নিজের নামের সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন; ফলে হয়েছেন দীননাথ মঙ্গেশকর। তিনিই তাকে মোটে ছয় বছর বয়সে গানের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করলেন। তারও একটি বছর আগে লতা মারাঠি গীতনাট্যগুলোতে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৪১ : মোটে ১২ বছর বয়সে পেশাদার সঙ্গীত জীবনের শুরু করলেন। সে বছরের ১৬ ডিসেম্বর রেডিওর জন্য স্টুডিওতে দুটি গান গেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ রাজের হাত থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভের অনেক আগে তিনি তার যাত্রাটি শুরু করেছেন।

১৯৪২ : হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় তার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারা যাবার পর মঙ্গেশকরদের কাছের বন্ধু সিনেমা কম্পানি নাভিয়ুগ চিত্রপটের মালিক বিনায়ক দামোদর কার্নাটকি ১৩ বছরের মেয়েটিকে সঠিক পথে গাওয়া ও অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করতে সাহায্য করলেন। তার প্রথম ব্রেক বা সুযোগটি এলো কম্পানিটির মারাঠি সিনেমা ‘পাহিলি মানগালা-গাউর’ ছবিতে; তাতে গাইলেন তার প্রথম গান ‘নাটালি চিত্রাটি নভোলাইয়ি’।

১৯৪৩ : প্রথম হিন্দি গান হলো সিনেমাতে-মারাঠি ছবি ‘গজাভাই’; গানটি ছিল হিন্দি ভাষার-‘মাতা এক শপথ কি দুনিয়া বদল দে তু’।

১৯৪৫ : কার্নাটাকি তার নাভিয়ুগ চিত্রপটের সদরদপ্তর মুম্বাইতে নিয়ে আসার পর লতা মঙ্গেশকর এখানে চলে এলেন। বিন্দিবাজার ঘরাণার উস্তাদ আরমান আলী খানের কাছে হিন্দুস্তানী ক্লাসিক্যাল মিউজিক শেখা শুরু করলেন।

১৯৪৬ : ‘পা লাগোন কার জোরি’ তার হিন্দি ভাষার ছবিতে অভিষেক ঘটিয়েছে। বসন্ত জোগলেকারের, ‘আপ কী সেবা ম্যায়’ গানের শিরোনাম।

১৯৪৮ : কার্নাটাকি মারা যাবার পর অভিভাবক হারা হয়ে গেলে এতিম মেয়ে, নব প্রতিভা লতা মঙ্গেশকর। এরপর তাকে শিক্ষক ও পথ প্রদশক হিসেবে আগলে রেখেছেন সঙ্গীত পরিচালক গুলাম হায়দার। শশধর মুখার্জির প্রযোজনা ‘শহীদ’ থেকে তাকে বাতিল করে দেবার পর বলিউডের মূলধারাতে এলেন ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিল মেরা তোদা, মুঝে কাহিন কা না চাহোরা’ গানটি গাইতে পেরে।

১৯৪৯ : ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি সুপারস্টার গায়িকা কিংবদন্তী মধুবালার দেহে প্রচারিত হলো ‘মহল’ ছবিতে। এটিই তার প্রথম সুপারহিট।

১৯৫০ : সিনেমাতে বিরাট সুযোগ দেখতে পেয়ে লতা মঙ্গেশকর চারটি ছবি প্রযোজনা করলেন এই দশকে। মাতৃভাষা মারাঠিতে ‘ভাদল’-১৯৫৩ সালে বেরিয়েছে; আর দুটি ছবি হলো হিন্দিতে, ‘জাঞ্জিগর’-একই বছরে মুক্তি পাওয়া, অন্য আরেকটি, ‘কাঞ্চনগঙ্গা’-১৯৫৫ সালের ছবি।

১৯৬৩ : বছরটি হলো সেই সময় যখন লতা মঙ্গেশকর সঙ্গীত পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত-পিয়ারেলালের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ শুরু করলেন। তাদের তৈরি অনেকগুলো গানের চিত্রায়ণে কন্ঠ দিলেন গায়িকা এবং ত্রয়ী দিনে, দিনে শক্ত হয়ে এগুতে লাগলো। তাদের বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে আছে, সেগুলো জনপ্রিয় হয়েছে এমন কটি-‘মি, এক্স ইন বম্বে’, ‘মেরে হামদাম মেরে দোস্ত’ ‘ইন্টাকম’, ‘দো রাস্তে’।

১৯৬০-১৯৭০ : এই দশকে সঙ্গীত পরিচালনার চেষ্টা করলেন লতা মঙ্গেশকর। আনন্দ ঘান ছদ্মনামে মারাঠি ‘রাম, রাম পাভানা (১৯৬০)’, ‘মারাঠা টিটুকা মেলভাভা (১৯৬৩)’, ‘মহিথানচি মানজুলা (১৯৬৩)’, ‘শাদী মানসে (১৯৬৫)’ ও ‘টাম্বি মাটি (১৯৬৯)’ ছবিগুলোতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি।

১৯৬৫ : মহারাষ্ট্র সরকার তাকে শাদী মানসে’র জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালক অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ‘এরানিচা দেবা টুলা’ গানটি সেরা গানের স্বীকৃতি জিতে নেয়।

১৯৬৯ : লতা ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে বড় বেসামরিক সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করলেন, দেশের মানুষকে বছরের পর বছর আনন্দদানের অবদানে।

১৯৭৪ : এই আন্তজাতিক সম্মান লাভ করলেন তিনি-প্রথম ভারতীয় হিসেবে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে পারফরমেন্স করেছেন।

১৯৭৪ : মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করা শিল্পী হিসেবে নামটি উঠলো গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে। সেখানে লেখা ছিল তার নাম ও ছবির পাশে, ‘২৫ হাজারের কম নয় একক, দ্বৈত ও কোরাস গান রেকড করেছেন, ২০টি ভারতীয় ভাষায় লতা মঙ্গেশকর।’ আরেকজন বিশ্বখ্যাত ভারতীয় শিল্পী মোহাম্মেদ রাফি আপত্তি করলেন জানিয়ে, তিনি প্রায় ২৮ হাজার গান রেকর্ড করেছেন। তবে গানের এই রত্মদের কেউ রয়ালিটি বা গান বিক্রির টাকার স্বত্ব নিয়ে অসুবিধা ও যন্ত্রণা ভোগার পর উপযুক্ত অঙ্গীকারপত্র দেখাতে পারলেন না। গিনেজ তাদের দুজনের নামই দিয়েছে। এই তথ্যটি কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ১৯৯১ সালে বাতিল করেছে গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকডর্স।
১৯৬০-১৯৭০ : লতা মঙ্গেশকর লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের সাধারণ কন্ঠস্বরে পরিণত হলেন। তেমনটিই থাকলেন তিনি এই দশকে রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গীত পরিচালনাগুলোতে। একত্রে কাজ করেছেন চিরতরুণ গায়ক কিশোর কুমার, মহান শিল্পী মান্না দে, আরো ছিলেন মুকেশ, মোহাম্মেদ রাফি, আশা ও উষা নামের তার ভুবনজয়ী দুই বোনের সঙ্গে; হেমন্ত কুমার-বাঙলি আরেক সঙ্গীত কিংবদন্তীসহ অন্যদের কন্ঠসঙ্গীতে।

১৯৮৯ : এ বছর তাকে ভারতের সিনেমা ভুবনের সবচেয়ে বড় ও সম্মানিত পদক ‘দাদা সাহেব ফালকে’ দেওয়া হলো। ন্যাশনাল ফিল্মস অ্যাওয়াডস অ্যাকাডেমি তাকে এই ভুবনের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদকটি প্রদান করেছে।

১৯৯৭ : লতা মঙ্গেশকরের জন্মভূমি মহারাষ্ট্র প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার তাদের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদক ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ অ্যাওয়ার্ড’ দিলো কোকিলকন্ঠীকে।

১৯৯৯ : তিনি নিজের ‘পদ্ম বিভূষণ’ জয় করে নিলেন। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় বেসামরিক পদক। প্রদানের সময় ভারত সরকার লিখলো-“ব্যতিক্রমী ও বিশিষ্ট সেবা’-জাতিকে দেওয়ার জন্য”।

১৯৮৪ ও ১৯৯২ : মধ্য প্রদেশ সরকার ও মহারাষ্ট্র লতা মঙ্গেশকরের সম্মানে তার উত্তরাধিকারীদের ‘দি লতা মঙ্গেশকর অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান প্রবর্তন করলো।

২০০১ : ভারতের সবচেয়ে বড় পদক ‘ভারতরত্ন’ গ্রহণ করেছেন তিনি। সিনেমা ও গানে অবদানের অনন্য স্বীকৃতির চূড়ান্তটি পেলেন।

২০০৯ : ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদক ‘দি টাইটেল অব অফিসার অব দি ফ্রেঞ্চ লিজিওন অব অনোর’-এ সম্মানিত হলেন।

২০১২ : মিউজিক লেবেল কম্পানি বা সঙ্গীত অ্যালবামের প্রতিষ্ঠান এল এম মিউজিক ধ্বংস হয়ে আবার জীবনে ফিরে এলো বোন উষার সঙ্গে যৌথ অ্যালবাম ‘ভাইজানস’র মাধ্যমে।

২০১৫ : জীবনের শেষ হিন্দি ছবিটিতে গাইলেন লতা মঙ্গেশকর। ছবির নাম-‘ধুনো ওয়াই২...লাইফ ইজ অ্যা মোমেন্ট’। গানটি হলো ‘জেনা হায় কেয়া’। গানটি নিজের স্টুডিওতে রেকর্ড করলেন তিনি।

২০২২ : ৬ ফেব্রুয়ারি, রোববার ভারত সরকার দুইদিনের দেশজুড়ে শোকপালনের কর্মসূচি ও শ্রদ্ধা নিবেদন ঘোষণা করলো ‘ত্রেরঙ্গা’ জাতীয় পতাকাটিকে অধনমিত রেখে। কেননা ভারত তার ‘নাইটিংগেল লতা মঙ্গেশকর’কে হারিয়েছে।

(ইকনোমিক টাইমস অবলম্বনে)

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার