বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৫৬ ফিট লম্বা রোবট ডায়নোসর আগুন ছড়াতে পারে!


ট্রাডিনো নামের  নকল ডায়নোসরের গল্প চমকে দেবে আপনাকে নিশ্চিত!

রোবট নিয়ে কত মাতামাতি, কাজ হচ্ছে সারা দুনিয়াতে। আমাদের দেশেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবট বানানো এবং তাদের দিয়ে নানা কাজের চেষ্টার কোনো বিরাম নেই। তবে সবাইকে হারিয়ে দিয়েছে একটি বিরাট দানব। আসল ডায়নোসর মানুষ দেখেনি কিন্তু একে দেখলে ভয়ে পালিয়ে যাবেন অতি বড় সাহসীও। কেননা ও মুখ দিয়ে আগুন ছুঁড়তে পারে। নতুন একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছে এই রোবট ডায়নোসর। ২০১৪ সালে সেই যে গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাল নিজের; ট্রাডিনো তারপর থেকে আজও আছে-আট, আটটি বছর হয়ে গেল। কীভাবে হারাবেন তাকে?


সাড়ে ৫৬ ফিট লম্বা, ২৭ ফিট উঁচু, ডানা জোড়া ৪০ ফিট আর নিজের ওজন হলো ১১ টন। হাঁটতে পারে পুরোদমে, পা আছে চার, চারটি। দেখতেও অতিকায় ডায়নোসরের মতোই। ফলে রোবট ভাবলে ভুল হবে। আকাশে উড়ে বেড়ানো প্রাচীন বিশ্বের রাজাদের মতো তারও আছে ওই ডানা জোড়া। সেই তুলনায় ছোট্ট কিন্তু আমাদের খুব ভয় পাইয়ে দেবার মতো। বেশ বড় মাথা আছে তার। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, মাথাটি দিয়ে আগুন ছুঁড়ে মারতে পারে অতিকায় এই ডায়নোসর। এবার সত্যিই কী চমকে গেলেন?

নাম তার ‘ট্রাডিনো’; ওকে বানিয়েছে চয়না ইলেকটোনিক এজেন্সি-এটি একটি জামান প্রতিষ্ঠান। শব্দটি কিন্তু জামার্ন। ট্রাডিনোর দাম খুব বেশি নয়; ১ লাখ ডলারও ছাড়াবে না। বানানো হয়েছিল তাকে অনেক যত্নে জার্মানির ঐতিহ্যবাহী হাসি-তামাসার উৎসব ‘ড্রাকেনস্ট্রেচ’র জন্য। উৎসবটি এখন আরো অনেক আধুনিক, নানা রকমফের বেরিয়েছে। ড্রাগনকে মেরে ফেলার এই উৎসবটির খবর আছে ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে অনলাইনেও। তাতে বরাবরের মতো গিয়েছে ট্রাডিনো। যাকে বানানো হয়েছে একটি অতি কাল্পনিক কাহিনী থেকে।

একটি কল্পনার শহরে আছে একটি অলীক রানী। নাম তার ডেনারেস টারগেরিয়েন। সে উদ্ভট মহাকাব্যিক উপন্যাস সিরিজ-অ্যা সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার’র অন্যতম চরিত্র। মার্কিন ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার জর্জ আর আর মার্টিনের লেখা। মানুষের কল্পনার এই কাহিনীটিকে নিয়ে, লোককাহিনীটিকে তিনি প্রথম লেখা শুরু করেন ১৯৯১ সালে। সিনেমার নামটি শুনলেই তো চিনে ফেলবেন-‘অ্যা গেইম অব থন’। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চরিত্রটি এইচবিওর টিভি সিরিজে প্রথম করেছেন এমিলিয়া ক্লার্ক। তিনি এসেছেন বিবিসি ওয়ানের মেডিক্যাল সোপ অপেরা ডক্টরসের মাধ্যমে ২০০৯ সালে। ডেনারেস টারগেরিয়েন চরিত্রটি তাকে কয়েকটি আন্তজাতিক পদকে ভূষিত করে। অ্যামি অ্যাওয়াডের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। এরপর বিয়ার অব থর্নস-এ করেছেন কেটি উইলসন। ‌‌'দি রিয়েল হাউজওয়াভস অব ওয়েষ্টেরোস'-এ ছিলেন লিসা মেরি সামারস্কেলস। আগে বিশ্বজুড়ে খেলা গেমও।

ডেনারেস টারগেরিয়েন থেকে বানানো ট্রাডিনো হলো হাঁটতে পারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রোবট। ট্রাডিনো নামের প্রকল্পটিতে সে যা দাবী করে, তাই অর্জন করেছে। যন্ত্রচালিত সে-যন্ত্রের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাকে। ভয় কাটানোর একমাত্র উপায় হলো রিমোট কনট্রোল। সেটি দিয়ে তার আগুন বের হয় মুখ থেকে, চলাফেরা করতে পারে সে-সবই ঘটে ওর।

মেকানিক্স ও ইলেট্রনিক্সে তৈরি। জলহস্তির চেয়েও বিরাট এই সরীসৃপ তবে শিশু আসল ডায়নোসরের বিচারে। তৈরি করেছেন তারা বিনোদন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। জার্মান ট্রাডিনো নামটিতেও একই সঙ্গে ঐতিহ্য ও উদ্ভাবন মিশে আছে। এই ট্রাডিনো ডানা জোড়া দিয়েও আঘাত করতে পারে। ট্রাডিনোকে বানানোর উদ্দেশ্য ছিল একটিই-জার্মানির সবচেয়ে পুরোনো লোকশিল্প উৎসবের ড্রাকেসস্ট্রেচ গ্রামে পুরোনো বয়সী ড্রাগনের তাকে বসানো হবে। উৎসবের মতোই গ্রামের নাম এক।

জার্মানির সীমান্তের বাভারিয়ান শহর ফাথ ইম ওআন্ড-এ আছে এই গ্রাম। প্রতি বছর আগস্টে হয় ট্রাডিনোর আয়োজন। তার গায়ের খোসাটি বানানো হয়েছে পলিইউরেথেইনে। প্লাস্টিকের একটি উপকরণ। খোসাটির ভেতরে আছে ৯শ ৮৪টি হাইড্রোলিক গিয়ার ((জলের মাধ্যমে কাজ করে), শখানেক মিটার করে লম্বা পাইপলাইন, কয়েক হাজার মিটার তারের সারি। আরো যুক্ত হয়েছে ২শ ৩৮টি সেন্সর। এগুলো তার চারপাশের পরিবেশকে নির্ধারণ করে দেয় নিজের ও অন্যদের কাছে। ৬৫টি কাঠের টুকরো আছে ভেতরে। ২শ ৭২টি হাইড্রোলিক বাতি বা জল পরিবহন করে জ্বলে থাকা বাতি আছে। অনেক খেটে বানানো, দারুণ এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি দানবটিকে শিল্পীর আঁচড়ে একটি ছোট্ট শিশুর খেলনার ডায়নোসরের চেহারা দিতে পেরেছেন তারা।

আসল ডায়নোসরের অনেক গুণও তার আছে। সে হাঁটতে তো পারেই, নাড়াচাড়া করতে পারে, পেছন ফিরেও তাকাতে সক্ষম। নিজের ডানাগুলো ঝাপটাতে পারে। বিরাট মাথা নাড়তে পারে। চোখের পাতা পিটপিট করতে পারে। শিশুদের ডায়নোসরগুলোর চেয়ে অনেক, অনেক গুণ বড় ও। এমনকি ওদের সবার চেয়েও লম্বা, চওড়া; দানবীয়। একমাত্র দুঃখ হলো ট্রাডিনোর যে, সে আগের কালের জাতভাইদের মতো উড়তে পারে না। তবে শত, শত বছরের পুরোনো ‘ফাথ ইম ওআন্ড’ আগে একটিই গ্রাম ছিল। এই গ্রামের ৫শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী উৎসবটিতে খেলা দেখানোর আরামের কাজটিই এখন নিয়েছে নকল কিন্তু আসল ডায়নোসর ট্রাডিনো। তাতে অন্যগুলোকে হারিয়ে দেওয়া বা না দেওয়ার কাজ তার; মানুষকে বিনোদন দেওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য।

এই লোকশিল্প মেলার আগের ড্রাগনটি এমন একটি যান্ত্রিক মডেলে বানানো যেটি ৩৫ বছরে তেমন বদলানো হয়নি। তার ভেতরে চারজন অপরারেট বসে কাজ করতেন। ফলে কোনো রোবোটিক বিষয় তার ভেতরে ছিল না।

ট্রাডিনো নামের রোবট ডায়নোসরের চারটি পায়ের প্রতিটি ৭ ডিগ্রি পযন্ত ঘুরতে পারে।

রিমোট কন্ট্রোলে চালাতে হয়-এমন কোনো রোবটের কথা আগে শোনা যায়নি বলে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য উন্নয়ন ও নকশাবিদরা আগ্রহী হয়েছেন। একে চালাতে হয় একটি ২ লিটারের টাবো ডিজেল ইঞ্জিনে বা ২৪০ হর্স পাওয়ারে।

এই প্রকল্পের শুরু হয়েছে ২০০৭ সালে। গবেষণার ক্ষেত্রে কাজ করেছেন ১৫ জন। প্রথমে গবেষণা করে এর নকশা ও ভেতরের সব তৈরি করা হলো। এরপর তাকে বানানো শুরু হলো। এতে আলাদা নয়টি কন্ট্রোলার আছে। প্রতিটিকে দুটি করে আইটি বা ইলেকট্রনিক প্রসেসর আছে। আছে একটি ফুজিৎসু মাইক্রোকন্ট্রোলার।

জামানির ওই গ্রামে এই খেলাটি অন্যতম হিসেবে ৫শ বছর ধরে বসে। খেলাটি হলো একটি সুপ্রাচীন নাটক। তাতে শহরের নাইটরা পাশের শহরে জাহাজে যাত্রা করেছেন রাজদ্রৈাহীদের হারাতে; তখন তাদের শহরে হানা দিয়েছে একটি ড্রাগন। ‘ড্রাগনটির প্রতি বর্শা’ নামের এই বার্ষিক লোক উৎসবটিতে রোবটের ড্রাগন ট্রাডিনো আনন্দের একটি নতুন মাত্রা হাজির করেছে ও পুরোনো ঐতিহ্যবাহী খেলাটিতে আরো অনেক মজা এনেছে। উৎসবে যোগ দিতে হয় টিকিটের বিনিময়ে।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার