বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে, তোমার স্বপ্নের, স্বাধীন বাংলায়

আবার ফিরে গেলাম সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে; ৯০ তে এসে তিনি ফিরিয়ে দিলেন ‘পদ্মশ্রী’। তাকে নিয়ে লিখেছেন ওমর শাহেদ

৯০ বছরের সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বাঙালি কুলীন ব্রাক্ষ্মণ, ‘মুখার্জি’ নামে এই পদবীধারীদের ডাকা হয়। বিশ্বখ্যাত এই গায়িকা ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত জাতীয় পুরস্কারটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। ‘পদ্মশ্রী’- দেশের সবচেয়ে বড় বেসামরিক চতুর্থ পুরস্কার। অথচ এই গায়িকার গান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনপণ যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দানের অসীম কার্যকারণ হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনে দেশাত্মবোধের আবহ, আমেজ ও ভালোবাসা জাগিয়েছে। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে, শেখ মুজিবুর রহমান, তাকে বাংলাদেশ নামের নতুন রাষ্ট্রের পিতা হিসেবে সম্মান জানানো হয়, সম্মানিত করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে; পাকিস্তানের জেল থেকে তাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নিজের নতুন দেশটিতে এলেন, সেই ক্ষণে তাকে সম্মাননা ও ভালোবাসা জানানো হয়েছিল এই সন্ধ্যা মুখাজির গানে-‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে, তোমার স্বপ্নের, স্বাধীন বাংলায়।’

গানটি বেজেছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান শক্তি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেই। লিখেছিলেন আবিদুর রহমান আর কম্পোজ করেছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত। পশ্চিম বাংলা থেকে আসা সবচেয়ে বিখ্যাত ও সবচেয়ে বেশি গানের সঙ্গীত পরিচালকদের একজন; মানুষটি যেমন মার্জিত ও শান্ত ছিলেন, তেমনি ছিলেন শক্তিশালী গান রচয়িতা। তিনি সন্ধ্যার কন্ঠে সবচেয়ে ভালো স্মরণীয় গানগুলো তৈরি করেছেন। ওই গানটি একটি শান্ত ও আবেগী মনে করিয়ে দেওয়া-কষ্ট ও ত্যাগগুলোকে; একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর; সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আরো অনেক গানের মতো; সেগুলোর সবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ ভূমিকা রেখেছিল রেডিওতে সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে।

এই মানুষটির গানগুলো মুক্তিবাহিনীকে কেবল উদ্দীপ্ত করেনি, খুব ভালো ভূমিকা রেখেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি দেশাত্মবোধ হৃদয় ও মনে তৈরি করার ক্ষেত্রে। অনেকগুলো বছর পর আবারও চমকে দেবার মতো খবরে পরিণত হলেন জীবনের শেষ সীমানায় চলে আসা এই কিংবদন্তী গায়িকা। এই বছরের ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে, ৯০ বছরের মানুষটি তাকে উপহার দেওয়া সঙ্গীতে অবিস্মরণীয় অবদানের দৌলতে পদ্মশ্রীটিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই সম্মানটি গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন-‘এটি অপমান ও অবমাননার।’ এরপর বলেছেন, ‘আমাকে পদ্মশ্রী দেওয়ার সময়টি অনেক আগেই পেরিয়েছে। একজন জুনিয়র শিল্পী এটির আরো যোগ্য।’

মানুষটির জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতাতে। ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর জন্মেছেন তিনি কলকাতার দাকুড়িয়াতে। তার বাবা সঙ্গীতপ্রেমী নরেন্দ্রনাথ মুখার্জি, একজন রেলওয়ে অফিসার ছিলেন। ফলে ভালো ও স্বচ্ছল পরিবারে জন্মেছেন গানের পাখিটি। মা তার হেমপ্রভা দেবী। তাদের ছয় সন্তানের সবচেয়ে ছোট সন্ধ্যা। এই পরিবারটি ১৯১১ সাল থেকে এখানে বাস করছে। তার দাদু ছিলেন একজন পুলিশ অফিসার।

সন্ধ্যা মুখার্জির গান শেখার শুরু পন্ডিত সন্তোষ কুমার বসুর হাতে। এরপর অধ্যাপক এ টি কানন ও অধ্যাপক চিন্ময় লাহিড়ী তাকে শিখিয়েছেন ভালোবেসে গান। তবে নিজের গুরু বলতে সন্ধ্যা উস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানের কথা বারবার বলেন। পাতিয়ালা ঘরাণার সঙ্গীত কিংবদন্তী ওস্তাদ বাড়ে গুলাম আলী খানের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি। তার ছেলে উস্তাদ মুনাব্বার আলী খানের কছে এরপর তার গান শেখা। তিনি তাকে ভারতীয় ক্ল্যাসিক গানে মাস্টার করে তোলেন।

সন্ধ্যা মুখোপাখ্যায় পেশাদার সঙ্গীত শিল্পীর ক্যারিয়ার শুরু করেন ভারতের মুম্বাইয়ের সিনেমা সিটিতে। প্রথম ছবিটি সন্ধ্যার ছিল মধুবালা ও দিলীপ কুমারের ‘তারানা’! এটি মুক্তি পেয়েছে ১৯৫১ সালে। মুম্বাইয়ে তার প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হলেন অনীল বিশ্বাস। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সিনেমাতে প্রথম গানটি হিন্দি; তিনি গেয়েছেন ‘বল, পাপিয়া বল’। এই প্রথম ছবিতে তিনি কাজ করেছেন লতা মঙ্গেশকারের সঙ্গে!

এরপর একে, একে ১৭টি হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখার্জি। তারপর কলকাতাতে ফিরে এলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উচ্চ আসনের একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন তিনি। তার সবচেয়ে ভালো গানগুলো অমর গায়ক হেমন্ত কুমারের সঙ্গে; গানগুলো তাদের সিনেমাতে। সুচিত্রা সেনের প্লেব্যাকে সন্ধ্যা তুলনাহীন। হেমন্ত-সন্ধ্যা হিন্দি সিনেমাতেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

১৯৭১ সালে তিনি একটি পশ্চিম বাংলায় সিনেমার রাজ্য পুরস্কার লাভ করেন আগের বছর বাংলা সিনেমা ‘নিশি পদ্ম’তে গাওয়ার সুবাদে। এই ১৯৭১ সালেই তিনি ভারতের সবচেয়ে বড় সিনেমার পুরস্কার ‘দি ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়াড’ জয় করেছেন সেরা গায়িকা হিসেবে ‘জয় জয়ন্তী’ ছবিতে। ছবিটি বাংলায় রিমেক। ১৯৬৫ সালে ‘সাউন্ড অব মিউজিক’ নামের আমেরিকান মিউজিক্যাল নাটকীয় গল্প নিয়ে তৈরি প্রথম হলিউডি ছবিটি। জুলি অ্যান্ড্রুজ ও ক্রিস প্লুমেরের ছবিটি সে বছরই সিনেমা হলগুলোকে কাঁপিয়ে দেওয়া মাইলফলক হলিউডি ছবিতে পরিণত হয়েছিল। পাঁচ, পাঁচটি অস্কার জয়ের ঐতিহাসিক রেকড গড়েছে। বাংলা জয় জয়ন্তীতে অভিনয় করেছেন প্রধান নায়ক উত্তম কুমার ও তার বিপরীতে ছিলেন অপণা সেন। প্রতিটি প্রেমিক ও প্রেমিকার এবং ভালোবাসায় আকুল মানুষের হৃদয়টি জয় করে নিয়েছে সিনেমাটি। ছবিটিতে তাদের মতোই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এভারগ্রিন গানগুলো মন কেড়েছে। সঙ্গীতের অনবদ্য অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী দিয়েছে, সেজন্যই কী বেরিয়েছে ১৯৭১ সালে?

কলকাতাতেই তিনি ভারতের পূবের অংশ একই ভাষা ও জীবনাচরণের জনগোষ্ঠী পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় আসাধারণ, অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সমর দাশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছেন। এই রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্রটি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলোর জন্য তারা গড়ে তুলেছিলেন। কাজের গান ও অন্যান্য কার্যক্রম বাদেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বার্তাগুলো বেতারের মাধ্যমে সাধারণ এবং সব মানুষের কাছে পৌছে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কেবল তাই নয়, সন্ধ্যা মুখোপাখ্যায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম বাংলাতে সব হারিয়ে জীবন বাঁচাতে চলে আসা লাখ, লাখ বাঙালি শরনাথীদের সাহায্যের জন্য চাঁদা তোলার ক্ষেত্রেও অন্য ভারতীয় বাঙালি শিল্পীদের সঙ্গে যোগদান করেছিলেন। অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলাদেশ গঠনের পর একটি উৎসবে গান করতে যাওয়া নতুন দেশটির প্রথম বিদেশী শিল্পীদের একজন ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের অসাধারণ এই বন্ধু। ১৯৭১ সালে তার ঢাকার পল্টন ময়দানে পারফরমেন্স, যেটির আয়োজন করা হয়েছিল দেশটির ভাষা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য; একুশের সেই স্মরণানুষ্ঠান এখনো স্মৃতিময়।

তাকে ‘বাংলা বিভূষণ সম্মান’টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে ২০১১ সালে; পশ্চিম বাংলার পক্ষে।

কিংবদন্তী এই গায়িকা হাজারেরও বেশি গান করেছেন বাংলা সিনেমার জন্য। তার ও হেমন্ত মুখার্জির ডুয়েট কোনোদিন ভোলা যাবে না। অমর সঙ্গীত পরিচালক এস ডি বমণ, রোশান, মদন মোহন, নওশাদ, অনীল বিশ্বাস ও সুনীল চৌধুরীর অধীনে গান গেয়েছেন, কাজ করেছেন তিনি।

একজন অত্যন্ত বিখ্যাত ক্লাসিক্যাল ও সেমি-ক্লাসিক্যাল এই গায়িকা বাংলা ছবিগুলোকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য গান করে গিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও উইকিপিডিয়ার অনুবাদ, ২৯-১-২০২২।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া