শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এক টুকরো সাজানো বাগান

যত দূর থেকে চোখে পড়ে মন টানে। মাথার ওপরে এই সড়ক স্থাপনাটির রঙিন মোটা কাঁচ। কেমন যেন অন্যরকম ও নতুন লাগে। কবে তার দেখা পাব, যাব সেখানে এমন বোধ হয়। টিভি ও সংবাদমাধ্যমে যতটুকু বিজ্ঞাপন এবং প্রচার হয়েছে, সেটি নেমে দাঁড়ানোর পর যথেষ্ট মনে হলো না। ঢাকার এমইএসের কোনায় আসার পর চমকে যেতে হলো। এত ভালো, সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী কাজও করা সম্ভব এই দেশে? পথচারী পারাপারের আন্ডারপাসটি অত্যন্ত যত্নে, দীর্ঘস্থায়িত্ব দিয়ে করা। প্রবেশ পথের আগেই বামে বসার জন্য দুটি স্টিলের আসন সারি পাতা আছে। প্রতিটিতে অন্তত ৫ জন করে বসতে পারেন।

সেগুলোতে বসে তারা উল্টোদিকের মহাসড়কের গাছের সারি ও অক্সিজেন ভান্ডার দেখতে পারবেন। নিয়মকানুনের চাদরে মোড়া, দারুণ চলমান মহাখালী-এয়ারপোর্ট রোডের গাড়ির সারিগুলোকে চলে যেতে ও আসতে দেখবেন। আরো দেখবেন, রোড ডিভাইডারে বাঁধাই করা আছে বড় গাছের সারি। শহরের দুর্লভ বৃক্ষ এখন পথের মাঝে মানুষের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে বারবার। বলছে, আমাদের বাঁচাও, তোমাদের স্বার্থেই। প্রশস্ত পথচারি হাঁটার পথটি, কোমর সমান উঁচু দালানের প্রাচীরের পেছনে বিরাট চাষের পুকুর, সুরক্ষা প্রাচীরে ঘেরা। এই দালানটি এগিয়ে আন্ডারপাসের দেওয়ালে পরিণত হয়েছে।

উল্টোদিকের ঢাকার এমইএস, সশস্ত্র বাহিনীর মানুষদের বাসাবাড়ি। তার একটু সামনে আর্মড ফোসেস মেডিক্যাল কলেজের সামনে আছে ফ্লাইওভার, তার নীচে এই মহাখালী-বনানী সড়কটি বিরাট। প্রবল ব্যস্ত থাকে সারাক্ষণ। রাতে সড়কবাতি ও গাড়িগুলোর হেডলাইটের আলোতে ঠিক বিদেশের, হলিউডের বা টিভিতে দেখা অন্য কোনো দেশের সড়কের মতো দেখা যায়। মিনিটখানেকের বিরতি নেই কোনো। এখানে অনেক বড় এলাকাজুড়ে রাস্তার মাঝখানের ডিভাইডারগুলোতে শিক দিয়ে উঁচু করে বাঁধানো। বামে এমইএসের সামনে দাঁড়িয়ে মহাখালীর দিকে যেতে ঢাকা-এয়াপোট নামের এই মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডাপাসটি। একেবারেই নতুন সংযোজন এই রাজধানী, মহানগরে।

একই দিন ঢাকা সিলেট সড়ক বাইপাস-গ্যারিসন লেন মহাসড়ক; বালুখালী (কক্সবাজার) ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগ সড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরে চেংগী নদীর উপর ৫শ মিটার দীঘ সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থান-গণভবন, সময়-সকাল ১০টা। তারিখ-১২ জানুয়ারি ২০২২। এই চারটি কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনষ্ট্রকাশন ব্রিগেড। কাজগুলো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে সম্পন্ন করা হয়েছে। ‘মুজিব শতবর্ষ’ উপলক্ষে করা এই কাজটির ওপরেও শেখ সাহেবের শিশুতোষ ছবি আঁকা আছে। বামে আছে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী। তাতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিখ্যাত আঙ্গুলটি রয়েছে। নীচে তার ফিদেল কাস্ত্রো ফেইস।

শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আন্ডারপাসটির ওপরে লেখা-সুস্বাগতম, পথচারী আন্ডারপাস। তার ওপরে সাদা সিম্বলে সাদা একজন মানুষ রাস্তা পেরুচ্ছেন, ছবিটি আঁকা আছে। রাতে বন্ধ রাখার জন্য প্লাস্টিকের কটি রোড ডিভাইডার বামের কোণায় সাজানো আছে। ভেতরে ঢুকলে আধুনিকতা ও মানবিকতার ছড়াছড়ি দেখবেন যেকোনো মানুষ। সবই তার ও তাদের জন্য। আছে হুইল চেয়ারে চলার জন্য সিঁড়ি। প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেখানে সহজে পথে চলতে পারবেন। তারা সিঁড়ি বেয়ে নিচের মূল মোজাইকের সমতল পথে চলে আসতে পারবেন একাই, কারো সাহায্য ছাড়াই। ওপরে আছে বনানী, মহাখালীর পথে ওঠার আলাদা চেনার চিহ্ন। সাদা এই আন্ডারপাস পুরোটা। মাথার ওপরে পুরোটাতেই শক্ত কাঁচের ছাউনি। সেগুলোর প্রতিটি আলাদা, আলাদা কাঁচের টুকরো, জোড়া লাগানো হয়েছে। দারুণ সুন্দর ও টেইসই। রোদ এসে পড়ে ভেতরে। ফলে বাতি জ্বালিয়ে পয়সা খরচের কোনো দরকার হয় না। সেনাবাহিনীর সুনাম এখানেও ধরে রেখেছে। আছে ডানে ও বামে কোমর সমান দেওয়াল শুরুতে, খুব মজবুত এবং চওড়া। বহু বছরের উপযোগী আন্ডারপাসটি। সেখানে চেয়ারে বসে আছেন ২৪ ইসিবি ব্রিগেডের সৈনিক মামুন। তিনি কথা বলতে এগিয়ে এলেন। বললেন, ‘আমাদের এখানে অসুস্থদের জন্য লিফট আছে, হুইল চেয়ার আছে প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্তদের জন্য। সুস্থ-সবলদের জন্য আছে সিঁড়ি। আমরা সেনাবাহিনীই এই আন্ডাপাসের রক্ষণাবেক্ষণ করি।’ জানালেন, ২০১৮ কী ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ওপরের দিকে ফলক লাগানো আছে চেনার জন্য-বাহির, একজিট, ধন্যবাদ ইত্যাদি। প্রথম ধাপে ১১টি সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয় আন্ডারপাসে, এরপর সামান্য পথ হেঁটে আবার ১১টি সিঁড়ি। এভাবে মোট চারটি ধাপ, শেষটিতে ৪টি সিঁড়ি।

বিরাট উঁচু সাদা মোজাইকের দালান পুরো আন্ডারপাস। নানা জায়গাতে শিল্পকর্মের উদাহরণ হিসেবে বাঁধানো বড় ছবি আছে। প্রথমটি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ হাওড়। তাতেও বাংলাদেশের অদম্য সাধারণ নারীরা কাজ করছেন। খুব সুন্দর প্রকৃতি ফুটে উঠেছে বড় করতে গিয়ে ফাটিয়ে ফেলা ছবিটিতে। এমন অনেকগুলো ছবি আছে। বেখেয়ালের আদর্শ উদাহরণ কোনো, কোনোটি। প্রথমটি শেখ মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের তোলা। এরপরের হিমছড়ি, কক্সবাজারের ছবিটি তুলনায় ভালো। বিরাট এই আন্ডারপাসটি ভালো কাজের অনন্য উদাহরণ। তাতে ওপরে টাঙানো আছে অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা। নীচের পুরোটা পথেই কোনা ধরে স্টিলের জলরোধী বিশেষ ব্যবস্থাটিও খুব ভালো। নীচে ড্রেনেজ সিস্টেমে বৃষ্টির পানি নেমে যাবে। ওপরে সাউন্ডবক্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের বিবরণ মানুষকে জানানো হচ্ছে। অনেকেই পারাপার হতে ও বেড়াতে এসেছেন। সাউন্ডবক্স বলছে-‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সেবায় সর্বক্ষণ নিবেদিত।’ এই ছবিটি ভালো-সারি নদী, সিলেট; খুব সুন্দর। মোহাম্মদ আলীর তোলা। প্রতিটি বড় বাঁধাই ছবিতে আলোকচিত্রীর নাম ও মেইল আইডি দেওয়া আছে। মোজাইক করা পুরোটা হাঁটা পথ আন্ডারপাসের। জরুরি প্রয়োজনের কলিংবেল আছে। আরেকটি ছবি আছে-সুনামগঞ্জের লাল শাপলা বিলে নৌকার দুপাশের দুইজন মাঝি জীবিকা উপার্জন করছেন। সবুজ পতাকাটি তাদের বাংলাদেশের পতাকার মতো পত পত করে উড়ছে। এই কাজের কারিগর সেনাবাহিনীর সুরসপ্তকের অফিসারদের ছবি আছে-তারা এই কাজের গর্বিত অংশীদার। এতে প্রাথমিক চিকিৎসার টুল বক্সের সাইন আছে দেওয়ালে। একেবারে শেষে সেই বক্স দেওয়ালে রাখা আছে। পাশে পাসটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেনা অফিস, পাতাল লিফট রয়েছে। নিজেদের ব্রিগেড, ব্যাটালিয়ন ও ২৫ ইসিবির নাম তারা দেওয়ালে খোদাই করে রেখেছেন ফুলের মতো ভালোবেসে। রাতে বাতি জ্বালানোর বিশেষ ব্যবস্থা ছড়িয়ে আছে। ওপরে আছে সুরক্ষিত বাতির সারির বক্স। বিশেষ ধরণের বাতিগুলো। তারা সবাই রাতের পরিবেশটি অন্যরকম করে ফেলে। তখন ওপরের তারা, চাঁদেরও দেখা মেলে কাঁচের আড়ালে।

ছবি বাঁধানো আছে ঢাকার হোসেনী দালানের ১৯০০ সালের। আজকের সঙ্গে কী মেলে? আছে কোনো ঐতিহ্য সংরক্ষিত? তবে আন্ডারপাসের দেওয়ালের ওপরের দিকে সেন্ট্রাল কারেন্ট বক্স আছে। সুন্দরবনের ছবিটি ভালো নয়, জাভেদ মানিকের তোলা; ফেটেও গিয়েছে। সেনাবাহিনীর খাল, নদী উদ্ধারের ছবি দিয়ে নীচে লেখা-‘সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা; সবত্র আমরা দেশের তরে।’ এই ছবিটি ভালো রেজ্যুলেশনের, আশ্চয তো। রায়ের বাজার বধ্যভূমির ছবিটি খুব সুন্দর, মোয়াজ্জেম মোস্তাকিমের তোলা। সিসিটিভিতেও সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে আন্ডারপাসকে। ছবি আছে ঢাকা ক্লাবের প্রথম দিকের-১৮৮০। পুরোনো মডেলের দালানের সামনের ছাউনিটি ছনের ছাউনির মতো। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কমকাণ্ডের ছবি আছে শক্তিশালী, সাদা মোজাইকের দালানে। লেখা একটিতে, ‘দেশমাতৃকার সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’ ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনেও তাদের উন্নয়ন কাজের ছবি বাঁধানো আছে। জাভেদ মালিকের সাদাকালো ছবিটি খুব সুন্দর-ঢাকা রংপুর হাইওয়েতে অনেক বছর আগে ছুটে চলছে গাড়ি। আছে পুরোনো আহসান মঞ্জিল।

‘গরমের জন্য স্টিলের বিশেষ ঝুলন্ত ফ্যান এগুলো’-বললেন সেনাবাহিনীর পোশাকের এক অফিসার। লাল রঙের বিরাট ফ্যানের বক্সগুলো। নানা জায়গাতে সুচিন্তিতভাবে লাগানো আছে। অসাধারণ ছবিটি সুন্দরবনে জোয়ার-ভাটায় নৃত্য করছে কয়েকটি ছেলে। দূরে জাহাজ ভাসছে। রেজ্যুলেশন ভালো। আলো চিক, চিক করছে বিরাট জলরাশিতে। সেনাবাহিনীর অফিসের সামনের দালানে ওয়াল টিভিতে দেখানো হচ্ছে আন্ডারপাসের শুরু থেকে শেষ কর্মযজ্ঞ। সেটি দেখতে দেখতে মনে হলো, মাথার ওপরের বিরাট ফ্লাইওভারের নীচে এ এক টুকরো সাজানো বাগান।

সুরসপ্তকের বিশেষ কালো দেওয়াল চিত্রে বঙ্গবন্ধু ও সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি আঁকা। তিনি সাত মার্চের ভাষণ দিচ্ছেন। সেখানে একটি ছবিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সূর্যমুখী বাগানে একটি কিশোরী মাথায় ফুল গুঁজছে। খুব সুন্দর গ্রাম বাংলার অপরূপ ছবিটি। অন্যরকম, অসাধারণ। পাশে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দুটি লাইফ সাইজ ছবি। আছে কালো বিরাট আরেকটি দেওয়াল চিত্রে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ এবং উন্নয়ন কমকাণ্ড। পাশে বনানীর মহাসড়কে ওঠার সিঁড়ি। আরো সামনে শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামফলক। এটি ধরে উঠে গেলাম। সামনে পড়লো জিয়া কলোনীর সামনের পথ। একেবারেই নিরাপদ। কতবার যে প্রাণ হাতে নিয়ে এই পথে যেতে হয়েছে। আর এখন ভেবে বিরাট এক স্বস্তির নি:শ্বাস বেরিয়ে এলো। ধন্যবাদ সবাইকে।

ঢাকা, ২৪-১-২০২২।

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ