বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কে চলে গেলেন?

পুরানা পল্টনের ২৪/৪, সেগুন বাগিচার নামটি প্রায় সবারই জানা, যারা বই পড়েন। এখানে পা পড়েনি বা শোনেননি এমন মানুষ বিরল। কেননা, সেবা প্রকাশনীর প্রতিটি বইয়ের কাভারের পরের পাতায় লেখা থাকে ঠিকানাটি। প্রকাশকের নাম লেখা কাজী আনোয়ার হোসেন। এই অফিসে ঢুঁ মারতে গিয়ে ফিরেছেন, তাদের সংখ্যা কোনোদিন কী হিসেব করা হয়েছে? তবে আজ সেটি খোলা আছে। খোলা মানে গেটে তালা নেই কোনো। ঠিক যেন কোনো ওয়ের্স্টানের সেলুনের গেটের সমান। সেটি ঠেলে ভেতরে ঢুকে যেতে, যেতে অবাক বনতে হলো। তারপর সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে বারটেন্ডারের মতো বসে আছে একটি ছেলে। তবে বয়স্ক কোনো বারটেন্ডার নয় সে, বয়স তার একেবারে কম। ওয়েসলি হারডিন, রক বেননের মতো মুখে তার কাঁচা দাড়ি ভর্তি। ক্ষুরের অভাবে কাটা হয়নি। তাকে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলাম, কাজী আনোয়ার হোসেনের সাহেবকে কোথায় রাখা হয়েছে? প্রশ্নের সঙ্গে, সঙ্গে আততায়ী বা এমন কোনো নামের পশ্চিমের বইয়ের মতো মোটাসোটা একজন লোক বেরিয়ে এলেন। ছেলেটি উঠে দাঁড়িয়ে বললো, ‘আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি।’

কাঠের টেবিল-চেয়ার বইগুলোর প্রতিটির মতো, চেয়ার সরিয়ে সে বেরিয়ে এলো আগে। তাকে নিয়ে আবার নামতে, নামতে চোখে পড়লো একটি চৌবাচ্চা। পরিস্কার পানিতে ভরা। তাতে একটি রূপালি অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ একা একা ভেসে বেড়াচ্ছে। সে মুখ হাঁ করে পানিতে শ্বাস নিচ্ছে। ঠিক যেন নি:সঙ্গ আততায়ী। তারপর চমকে যেতে হলো। পাশের যে গলি সেটিই যে সেবা প্রকাশনীর তিন লেখকের বাড়ি কোনোদিন জানা ছিল না। পরতে, পরতে গোপনীয়তায় ঠাসা, উত্তেজনায় ভরা ক্লাসিক বইগুলোর মতো; যেগুলো নামকরা নন, তবে বিদেশী নামের; সেগুলোর মতোই অবিশ্বাস্য বিষয়ের মধ্যে পড়ে যেতে হলো।

এটিই লাগোয়া, সেবা প্রকাশনীর পেছনের বিরাট আটতলা বাড়ি। রঙিন বাড়িতে থাকেন আরো রঙিন তিন লেখক, কাজী আনোয়ার হোসেন ও তার দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন এবং কাজী মায়মূর হোসেন। শুরুতেই সেলুনের গেটের মতো অ্যালুমিনিয়ামের গেট। তাদের বইগুলো মতো সাজানো আছে। লেখা-সেলুন পার্লার ফর ম্যান। ঠিকানা লেখা আছে, ২৪/২, সেগুন বাগিচা। এই হলো কাজীদার বাড়ি। কেউ কী জানেন, লেখকরা ছাড়া?

নীচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ের কালো একটি কার পড়ে আছে, মাসুদ রানার ব্যবহার করা কোনো কারের মতোই। তার বাতির সামনে শুয়ে আছেন লম্বা মানুষটি। একহারা গড়নের, সবুজ জায়নামাজে মোড়া তার তার শরীর। ঠিক যেন পশ্চিমের ঢেউ খেলানো কোনো তৃণভূমি। তার পায়ের কাছে স্বযত্নে মোড়া ফুলের তোড়ার ভেতরে জ্বলজ্বল করে ফুটে আছে লাল একটি গোলাপ। সেবার বাগানের মালির জন্য অর্ঘ্য সবার। তোড়াটির গায়ে কাগজ ও কস্টটেপ দিয়ে লাগানো একটিই সাদা পৃষ্ঠা-‘নবাবকে শ্রদ্ধাঞ্জলী, গেরিলা ’৭১।”

কে জানাতো, কোনোদিন বলেননি তো তিনি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একজন যোদ্ধা ছিলেন। এই নবাব কাজী মোতাহার হোসেনের বড় আদরের দুলাল। তাকে কোনো কোনো সময় দেখানো হচ্ছে দর্শনাথীদের দেখার জন্য। মাথার দুপাশে তার দুটি কালো ক্ষতচিহ্ন। মুখটি একেবারে পান্ডুর। ঠিক তার অতি বিখ্যাত ছাত্র ও সহকমী রকিব হাসানের বিশ্বখ্যাত ক্লাসিক অনুবাদ বাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলার মতো। তেমন লম্বা, তেমনি শরীর হয়ে গিয়েছে কাজী সাহেবের। এই সময়ে তার সমাধি যাত্রায় কেউ নেই। মানে কোনো হৈ, চৈ। নানা বয়সের নয়জন নারী বসে আছেন এই বিখ্যাত শবদেহকে ঘিরে।

অতি সুন্দরী এক মহিলা আছেন মুখে সবুজ মাস্ক পরে শবদেহের পাশে। শোকে আকুল একহারা গড়নের এক বয়স্ক নারী দূর থেকে, বাড়ির ছাউনির নীচ থেকে তাকিয়ে আছেন এক দৃষ্টিতে তার দিকে। বহুকালের চেনা তার আপনজন, পরিবেশই বলে দিচ্ছে। সেবার বইগুলোতে এমন পরিবেশের ছড়াছড়ি আছে। সেবার লাখ, লাখ পাঠকরা ভাবতেই পারবেন নির্জন এই গলির ভেতরের বাড়িতে পশ্চিমের দুনিয়ার কোনো বইয়ের মতো মোটে ৩০ থেকে ৩৫ জন মানুষকে সঙ্গী করে শেষ যাত্রায় চলেছেন কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে যাওয়া কাজী আনোয়ার হোসেন। তার ও তাদের নি:স্তব্ধ, চুপচাপ চারধারে শব্দের বাহুল্য নেই। প্রতিটি বইয়ের মতো। কথার তোড়েও নেই কারো ফুলঝুড়ি। কয়েকটি বেতের টুলে বসে আছেন কাজী সাহেবের স্টিলের শবাসনটির ডান পাশে। একেবারে মাথার কাছে বেতের টুলে বসে মাথার পাশের শবাসনের একটি কোনা ধরে আছেন দুই হাতে শক্ত করে কিশোর, তারুণ্যের মাঝামাঝি বয়সের একটি ছেলে। তার মতো বয়সের ছেলেমেয়েরাই তার লক্ষ্য ছিলেন। কাজী সাহেবের উত্তর পুরুষটি চুপচাপ কাঁদছে। থেকে, থেকে কেঁদে উঠছে। কান্নার দমকে শরীর কাঁপছে তার। ভাষাহীন ছেলেটি তাকে ছাড়ছে না। দৃষ্টিও পড়ে আছে ওই মানুষটির ঢেকে থাকা লাশের দিকে। উল্টো দিকের আসনে, তার মতোই লম্বা-চওড়া এক মহিলা; যৌবনে ভরপুর, প্রতিটি বিদেশী কাহিনীর মতো; এই পরিবারেরই একজন; দাপুটে, তিনি ঘুরে, ঘুরে কথা বললেন সবার সঙ্গে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ওই বয়স্ক, শীর্ণ নারীটির সঙ্গে সামান্য ক্ষণ কথা বললেন। তাদের সান্তনা বিনিময় হলো চোখের জলে।

তারপর ভেতরের সাদা দালানের বাড়িটির ভেতর থেকে লিফটে সাদা সালোয়ার কামিজের একটি তরুণী নেমে এলেন। রকিব হাসান ও শেখ আবদুল হাকিমের বহুতল বাড়িগুলোও এমন। আবার তারা দুজনে শোকের সাগরে ভাসলেন। লম্বা সেই নারীর উচ্চারণ স্পষ্ট, কোনো কথাতেই কোনো জড়তা নেই। নাতির দিকে তাকিয়ে অন্য একজনকে বললেন, ‘ও এখানে থাকুক না। থাকুক। দাদার সঙ্গে তার সম্পক খুব ভালো ছিল। সবসময় দাদার কাছে কাছে থাকতো।’ তার পরের বেতের টুলে বসে আছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা দুই গায়িকার একজন, সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি আছেন মুখের গড়নে চেনা গিয়েছে। মুখে তার কালো মাস্ক, কোনো কথা নেই। চুপচাপ বসে আছেন শান্ত মানুষটি। তার হাতে কালো ভ্যানেটি ব্যাগ, ছোটখাট এই নারী আজ বড় বেশি চুপচাপ। তার পায়ে কালো জুতো। ইস্ত্রি করা পাজামা পরণে। কারা এসেছেন কী আসেননি খোঁজ নিলেন একটু পরে সামান্য হেঁটে। তারপর আবার গিয়ে বসলেন কাজী সাহেবের পায়ের কাছের বেতের চেয়ারে। সাবিনা ইয়াসমিনের মাথা চাদরে মোড়া। সাদা।

এই গলিটি সবসময় চুপচাপ থাকে। কোনো শব্দ, বাহুল্যতা কোনো সময়ই দেখতে পান না কাছের বা দূরের কোনো মানুষ। এমনকি পাশের গাজী টিভি ও সারাবাংলা অনলাইনের অফিসের কেউই কখনো হৈ চৈ করেন না। এটি যে সেবা প্রকাশনীর পিতৃপুরুষের ভিটে। সাবিনা ইয়াসমিন ঘুরে আবার বসে পড়লেন।

‘বাবা জাত যোদ্ধা ছিলেন’
ফর্সা, একহারা গড়নের (আমরা বলি হালকা, পাতলা) সাদা সুয়েটার পরা, হাতে ঘড়ি। তিনি সামনে এসে দাঁড়ালেন। আট, দশটি টিভির ক্যামেরা অন হয়ে গেল। তিনি বললেন, “আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তিনি জন্মযোদ্ধা ছিলেন। জাত যোদ্ধা ছিলেন। তার জীবনের শেষ সময়ে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। তবে তিনি দেশেই চিকিৎসা করিয়েছেন। বিদেশে যেতে রাজি ছিলেন না। বলেছিলেন, ‘যা হয় হোক আমি এই দেশেই মারা যাব।’ এরপর আরো কিছু বললেন যুবক। কেঁপে, কেঁপে কাঁদছেন তিনি। তারপর ক্যামেরা অফ হয়ে গেল। পাশ থেকে জানা গেল তার নাম কাজী শাহনূর হোসেন। কাজী সাহেবের বড় ছেলে, লেখার প্রথম উত্তরাধিকার। লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যান-কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা পেছনের দুটি দরজা খুলে ফেললেন তার বইগুলোর দরজার মতো। সেখানে আত্মীয়, পরিজনরা তাকে নিয়ে নিলেন। সাইরেন বাজাতে, বাজাতে গাড়িটি সামনের দিকে চলে গেল। বাঁক ঘুরলো। আবার সামনের দিকে এগুলো। এমন দৃশ্য কেবল তার বইতেই মেলে। পেছনে সাংবাদিকের দল, তারা হোন্ডা ও পায়ে হেঁটে। দুজন নারী কাঁদতে, কাঁদতে চলেছেন ওদিকে।

নির্জন, পাতা ঝরার দিনের মতো, হালকা পায়ের আওয়াজে মৃদু শব্দ উড়ছে সেগুন বাগিচার এই পথে। যেখানে কচি, কাঁচার মেলার প্রধান অফিস। কাজী মোতাহার হোসেন সড়কের বাড়ির ছেলে কাজী সাহেব আজ চলেছেন।

জানাজার আগে ও পরে
ফ্রিজিং ভ্যানটি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের। তারা ওই পুরানা পল্টনেরই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন রোডের স্থায়ী বাসিন্দা। চলে এলেন একেবারে লক্ষ্যে। তখন কী আশ্চয, আজান হচ্ছে মসজিদে। সময় ও ক্ষণ পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। ১০/এ সেগুন বাগিচা, মসজিদ-ই-নূর’র সামনে এসে থামলো গাড়ি। খুব সুন্দর, সুললিত কন্ঠে আজান ভেসে আসছে। মসজিদে ইমাম সাহেব মাইকে বললেন, ‘সেগুন বাগিচা নিবাসী কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেব ইন্তেকাল করেছেন।’ কয়েকবার তিনি বলে গেলেন ঘোষণার মতো। উল্টোদিকে কমিশনারের কার্যালয়টি আছে। তাতে নামফলকে বিএনপির নেতা চৌধুরী আলমের নাম খোদাই। তবে এই পুরো এলাকার সবচেয়ে নামকরা লোকটি আজ চলে গিয়েছেন, জানেন সবাই।

সেবা প্রকাশনীর সুদীর্ঘকালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন সাহেব ও কাজী শাহনূর হোসেনের মধ্যে আলাপ হলো। ‘তিনি লেখাপড়ার দিকে খুব জোর দিতেন’ বললেন মহিউদ্দিন। এইখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এমন সব মানুষরা, যারা তার ও তাদের লেখাগুলোর প্রিয় চরিত্র। তিন গোয়েন্দার শুটকি টেরির মতো একজন আছেন, তেমন হালকা গড়নের; আরেকজন ওয়েসলি হারডিনের মতো, শক্ত কাঠামোর, মাথায় টাক। শক্ত শরীর। এই মানুষটি কাজী সাহেবের আত্মীয়। তার পরনে নীল জিন্ম ও গায়ে সাদা পাঞ্জাবি। পশ্চিমের আইনের মানুষের মতো সাদা পোশাকে আজ। কিংবদন্তীর প্রেত ম্যানিটুর মতো একজন মানুষ আছেন হুইল চেয়ারে। তিনি ভিক্ষুক। প্রাচীন রেড ইন্ডিয়ান ওই ওঝাও ছিলেন তাই। তার শরীরের নিচের অংশটি নেই।

নামাজের পর মসজিদের ভেতরে তার নামাজের জানাজা হলো। মানুষজন কাঁচের দরজা ঠেলে ভেতরে এলেন, জায়গা ফাঁকা হয়ে গেল। সামনে এগুলেন তারা। জায়গা ভরাট করলেন। সেসব লেখা আছে পশ্চিমের দুনিয়ার ওয়ের্স্টান সিরিজগুলোতে। নামাজ পড়ালেন ইমাম।

কে চলে গেলেন?

‘পত্রিকাটি ছিল পুরোপুরি ভিন্ন ধরণের’
আস্তে, আস্তে কথা বলছেন তারা এখানে, সেখানে। লেখা আছে যেমন তার সম্পাদিত বইগুলোতে। শেখ মহিউদ্দিন বললেন, ‘তার ব্যক্তিত্ব খুব প্রখর ছিল। সময়ের বিষয়ে খুব মনোযোগী ছিলেন। নিয়ম করে চলতেন। সম্পূণ ভিন্ন ধরণের একজন মানুষ ছিলেন।’ তিনি কাজ করেছেন রহস্য পত্রিকাতে। ২০ বছরের বেশি লিখেছেন। জানালেন, ‘তার এই পত্রিকাটিও ছিল পুরো ভিন্ন ধরণের। সেখানে রহস্য গল্পগুলো অনুবাদ করিয়ে ছাপাতেন। রূপান্তরকারী সম্পাদক হিসেবে খুব বড় ও সবচেয়ে নামকরা লোক ছিলেন।’ তার লেখা বই প্রিয়-তিনটি উপন্যাসিকা, পঞ্চ রোমাঞ্চ, ছয় রোমাঞ্চ।

‘প্রতিটি কাজ খুব যত্ন করে করতেন’
মাসুম কাজ করেছেন তার সঙ্গে। আগে সময় টিভিতে কাজ করতেন। এখন বেকার। বললেন, “নানা লোকের কাছ থেকে তিনি তার ও তাদের উপন্যাসগুলোর রশদ যোগাড় করতেন। সেগুলোর বেশিরভাগই ছিল ইংরেজি। কাজী আনোয়ার হোসেন প্রতিটি কাজ খুব যত্ন করে করতেন বলে সেগুলো মানোত্তীর্ণ হয়েছে। সম্পাদক হিসেবে অসাধারণ ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ তার স্টাইল বদলাতে চাননি বলে সেবা প্রকাশনী থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কাজীদা বলেছিলেন, ‘আমার ছেলেদের স্টাইলে লেখা ছাপা হবে আপনারও।’ তাতে অবশ্য হুমায়ূনের কোনো খেদ ছিল না। নিজেও বিরাট লেখক। বলেছেন, ‘কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখাপড়া খুব ভালো ছিল। তার বাবা ছিলেন নামকরা শিক্ষাবিদ। বইয়ের প্রতি অফুরান ভালোবাসা ছিল যার। বোনরাও খুব লেখাপড়া করেছেন। এই পরিবারটি লেখালেখির মানুষ।’ কাজী সাহেবই সেটিকে ধারণ করেছেন পূর্ণভাবে।

‘আমি পদকের কাঙাল নই’
আত্মীয় কাজী রওনক হোসেন বলেছেন, “বেতার ও সিনেমাতে গান লিখেছেন সঙ্গীতপ্রেমী দুই বোনের মতো কাজী আনোয়ার হোসেন। তবে শেষ পযন্ত সাহিত্যতেই ডুবে গেলেন; তাও আবার বিদেশী! গড়লেন সেবা প্রকাশনীর ভুবন। তবে তিনি তার জীবদ্দশাতে কোনো পদক লাভ করেননি। একুশে বা স্বাধীনতা পুরস্কার কোনোটিই নয়। তিনি বলেছেন, ‘আমি পদকের কাঙাল নই’।”

‘তাকে ছোট থেকে গড়ে তুলেছেন নিজের হাতে’
এ বি এম সাদী তাদের আত্মীয়। তার শ্যালিকা আয়েশা তাহনূর টিংকুর বিয়ে হয়েছে এই পরিবারে। সাদী ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়েছে। বললেন, ‘চমৎকার ছিলেন। কোনো ধরণের ঝামেলার মধ্যে থাকতেন না খালু। সেবা প্রকাশনীর পুরোনো লেখক ও তার স্টাফরা সবাই জানেনÑকেমন মানুষ ছিলেন। স্বাভাবিক মানুষ ছিলেন। যেসব কাজ ভালো তাই করতেন। তারা মানে কাজী মাহবুব হোসেন, সন্জীদা খাতুন, ফাহমিদা খাতুন ও কাজী আনোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন খুব নরমাল ছিলেন। অন্যদের সঙ্গেও তারা খুব স্বাভাবিক ব্যবহার করতেন। দেখলে মনে হতো না, বিখ্যাত পরিবারের অত্যন্ত বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কারো সঙ্গেই কোনো রাগারাগি তারা করেননি।’

নিজের প্রথম বইয়ের কথা বললেন ১৯৭৪ সালে পড়া ‘কুয়াশা’ সিরিজের একটি বই। এটিই কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রথম সিরিজ। জানিয়েছেন, “খালু সবার সঙ্গে খুব আন্তরিকতা নিয়ে মিশতেন। আন্তরিকভাবে কথা বলতেন। গল্প করতেন মন দিয়ে। পরিবার ও আশপাশের এবং অন্যদের খোঁজখবর রাখতেন। প্রচুর বই পড়তেন। কাজী আনোয়ার হোসেন প্রথম পড়েছিলেন বিখ্যাত রবিন হুড’। সেটিই তাকে অনুবাদ ও এই সাহিত্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তারপর তো সুদীর্ঘ জীবন। দুই বছর ধরে মানুষটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমি গিয়ে বলতাম, ‘খালু কেমন আছেন?’ বলেছেন, ‘ভালো আছি।’ মানুষটি কী না শেষ ছয় মাসে ক্যান্সারে বিছানায় পড়ে ছিলেন। যখন মাসুদ রানা নিয়ে আলোচনার শুরু হলো, তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম ছিলেন না। খালু কী করতেন? হঠাৎ তো তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। যে মানুষটিকে দিয়ে তিনি কাজ করিয়েছেন, যাকে ছোট থেকে গড়ে তুলেছেন নিজের হাতে; সেই শেখ আবদুল হাকিম বিপক্ষে যাবার পর তিনি এত ব্যথা পেয়েছেন যে এই নিয়ে একটি কথাও বলতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে এই নিয়ে তিনি ও হাকিম সাহেব কেউই বাড়াবাড়ি করেননি। তার ছেলেরা তো নিরীহ প্রকৃতির, লেখক মানুষ। তারাও এই বিষয়ে সবার মধ্যে ফাইট করতে আগ্রহী নন।”

তার জীবন কেমন ছিল, বলেছেন, ‘তিনি সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে সকালের নাস্তা করে ফেলতেন। এই বাড়ির সবারই এমন অভ্যাস তিনি গড়ে দিয়েছেন। দুপুরে সময় মতো খেতেন। একেবারে রুটিন লাইফ কাটাতেন তার উপন্যাসগুলোর চরিত্রের মতো। টেলিফোনে সবার নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন।’

চলে যাচ্ছেন
আস্তে, আস্তে আঁধার নেমে এলো। লাল সাইরেন বাজাতে, বাজাতে ভ্যানটি চলে যাচ্ছে। পেছনে ওয়েস্টানের যেকোনো সিরিজের মতো আলোচনায় মগ্ন একদল মানুষ। কে চলে গেলেন?

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার