বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘রাণী কিন্তু রাণী নয়’

তার জন্ম সালটি নেই উইকিপিডিয়াতে। ভারত বিভাগের বছরে-দেশভাগের সময়ে একমাত্র মেয়ের জন্ম হলো বলে বাবা ভারতীয় নাট্য আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ শম্ভু মিত্র ও মা বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব তৃপ্তি মেয়ের জন্মের তারিখটি লিখতে ভুলে গিয়েছিলেন কী না কে জানে! তবে তারা তাদের ঔরসজাত সন্তানের ভেতরে অভিনয়ের তুমুল নেশা ঠিকই ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিলেন। এই শাঁওলি মিত্র ছোট থেকেই উইংসের আড়ালে ও সামনে চলাফেরা করেছেন। মঞ্চের আলো অঁধারের জীবন তাকে এতোটাই বুঁদ করেছে, ভালোবাসার হাতছানিতে টেনেছে যে, একেবারে ছেলেবেলা থেকে অভিনয়ে হয়েছেন দারুণ সাবলীল।

ফলে সিনেমার রূপালি পর্দাকে নয়, দূরদর্শনের বোকাবাক্সকে নয়, মঞ্চে অভিনয়কেই নিয়েছেন প্যাশন হিসেবে। ছোটকালে কাজ করেছেন রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ‘ডাকঘর’ নাটকে, তাও আবার অমলের ভূমিকায়। একটি মেয়ে হয়ে ছেলে হওয়া কী যে কষ্ট ওই বয়সের কোনো অভিনেত্রীর জন্য, যিনি করেছেন তিনিই জানেন। তবে অনেক প্রশংসা ও মানুষের ভালোবাসা পেয়ে থিয়েটারের বীজ পাকাপোক্ত হয়েছে তার ভেতরে। নিজের জীবনের স্মৃতি ‘দিদৃক্ষা’ বইতে শাঁওলি মিত্র বলেছেন-“ছেলেবেলা থেকে অসুখ, বিসুখ লেগেই থাকত। রেডিয়োতে যখন ‘অমল’ করতে হল, তখন আমি খুব অসুস্থ থাকতাম। প্রায়ই বিছানায় শুয়ে, বসে কাটত। মা এক দিন রেডিয়োতে অমল করতে হবে বলে আবার পড়বার জন্য ‘ডাকঘর’ বইটা বিছানায় দিয়ে গেল। সেদিন পড়ে কাঁদতে লাগলাম।”

পারিবারিক উত্তরাধিকার নয়, রীতিমতো অভিনয়ের কলা তিনি শিখেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই নাটকে স্নাতকোত্তর। তবে দারুণ স্মার্ট, অসম্ভব এই প্রতিভা যে সিনেমাতে অচল তা নয়। দারুণ সচল হিসেবে রূপালি ভুবনে যাত্রা শুরু করেছিলেন। বিখ্যাত ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে। অভিনয় জীবনের একেবারে শুরুতে তিনি তাতে ‘বঙ্গবালা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একেবারে তরুণ বয়সের চরিত্রটি কেমন হয়েছে-সেটি দর্শকদের জন্য তোলা থাকলো। ম্যাজিক্যাল শাঁওলি মিত্রকে পাওয়া যাবে এক ঝলকে তাতে।

তবে সেখানে নয়, মঞ্চাভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ও বাবা শম্ভু মিত্র এবং মায়ের নাট্যধারা বয়ে বেড়ানোর যে অপূর্ব উত্তরাধিকার বর্তেছিল কাঁধে, সেটিকেই জীবনের আরাধনা হিসেবে মেনে নিয়েছেন তিনি। ফলে আর একটি ছবিতেও অভিনয় করেননি। আজকে সবাই একমুখে স্বীকার করেন-শাঁওলি মিত্র এই দায়িত্ব অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন।

বাংলা রঙ্গমঞ্চের এই একনিষ্ঠ কমী পরম ভালোবাসা ও মা-বাবার নিষ্ঠায় বছরের পর বছর ধরে মঞ্চকে আলো করে রেখেছেন। প্রথমে কাজ করেছেন বাবার ও বাংলা নাট্য আন্দোলনের প্রধান প্রতিষ্ঠান ভারতীয় গণ নাট্য সংঘে। এরপর পেশাদার ক্যারিয়ার গড়ার দিকে ঝুঁকে পড়তে হয়েছে। গড়েছেন নিজের দল ‘পঞ্চম বৈদিক’। কোনোটিতেই পিছিয়ে থাকেননি। পঞ্চম বৈদিকেও একের পর এক ঝড় তোলা মঞ্চ নাটক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তার বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে আছে-‘ডাকঘর’, ‘নাথবতী অনাথবৎ’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’, ‘পাগলা ঘোড়া’, ‘কথা অমৃত সমান’, ‘পুতুল খেলা’, ‘হ-য-ব-র-ল’, ‘লঙ্কাদহন’, ‘চন্ডালি’, ‘পাখি’, ‘গ্যালিলিওর জীবন’, ‘যদি আর এক বার’ ইত্যাদি। নাটকগুলোর প্রতিটিই দারুণ, দর্শক নন্দিত।

শাঁওলী মিত্র নামের থিয়েটার অন্ত:প্রাণটি আজীবন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন বাংলা থিয়েটারে। উদাহরণ হিসেবে ‘নাথবতী অনাথবৎ’র কথা বলি। এরও অনেক দৃশ্য ভুলতে পারেন না দশকরা। একটির বিবরণ-‘তবলা তরঙ্গ বেজে উঠছে। বাজছে মন্দিরা, মৃদঙ্গ। মঞ্চে সার বেঁধে বসা জুড়ির দলের দিকে মুখটি ফিরে একটা কালো কাঠের জলচৌকির ওপরে দুলছে একটা লম্বা বেণী। একটা আলতা রাঙা পায়ের নূপুর তাল রাখছে ছন্দে। জুড়ির দল গান ধরেছে, ‘কিছু কথা বলতে চায় ও রে মন...।’ গানের শেষে কথক ঠাকরুণ পেন্নাম করে বলে উঠলেন ‘এক অভাগিনী মেয়ের কথা...রাণী কিন্তু রাণী নয়!’’ সেই রাণীর কথা কে বা ভুলতে পারে! অভিনয়ের জন্য তাতে কত যে ব্যথা সইতে হয়েছে।

ছোটবেলা থেকে তৃপ্তি মিত্রের ছাত্র, ভারতের বিখ্যাত ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার অধ্যাপক শান্তনু বসুর মনে করেছেন-‘শাঁওলিদির এই নাটকে একদিন কলকাতার বাইরে শো ছিল। জেঠিমা (তৃপ্তি মিত্র) তখন খুব অসুস্থ। মেকআপ না তুলে ওই টানা কাজল চোখে চুলে জরির ফিতে বাঁধা অবস্থায় শাঁওলিদি চলে এসেছেন মায়ের সেবায়! সন্ধ্যাতে আবার শো। তাতে মেকআপ তোলার সময়টুকু যে বাঁচে!’

থিয়েটারের প্রতি এই ভালোবাসার জন্যই শাঁওলিকে আর কোনোকিছু টানেনি। তবে লিখতে হয়েছে তাকে অনেক। লেখক হিসাবে যথেষ্ট নামডাকও ছিল। বাবা অন্ত:প্রাণ মেয়ে ‘গণনাট্য, নবনাট্য, সৎনাট্য ও শম্ভু মিত্র’তে বাবার অভিনয় জীবন লিখেছেন। বঙ্গীয় আকাদেমির অভিধানের প্রসারেও তিনি কাজ করেছেন। মহান লেখক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে একের বেশি মূল্যবান কাজ আছে তার।

এই লেখার ভুবনে সাফল্যও আছে ১৯৯১ সালে ‘নাথবতী অনাথবৎ'র কল্যাণে। এটি তাঁকে এনে দিয়েছে মর্যাদাপূণ ‘আনন্দ পুরস্কা’র। তারও অনেক বছর পর বিখ্যাত লেখক মহাশ্বেতা দেবীর প্রয়াণের পর তার আসনে পশ্চিম বাংলা ‘বাংলা আকাদেমি’র সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে পত্র লিখে পদটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তবে শাঁওলি মিত্রকে খুব ভালোবাসেন মমতা। ফলে সে পদে ধরে রাখতে সরকারী তৎপরতা শুরু করতে হলো। নাচার হয়ে ২০১৮ সালের শুরুতে বাংলা আকাদেমি থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি। আবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে মাস কয়েকে ফিরে এলেন। মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজটি করে গিয়েছেন শাঁওলি মিত্র।

এর বাদেও ৭৪ বছরের দীঘ জীবনে অজস্র স্বীকৃতিতে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। বাংলা ভাষার থিয়েটারের এই অসামান্য অভিনেত্রীকে তুমুল অভিনয় প্রতিভার জন্য ২০০৩ সালে ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। তারও সাত বছর পর-২০০৯ সালে ভারতের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদক ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেছেন। তিনটি বছর পর, ২০১২ সালে এই অভিনয় প্রতিভা ও অবদানের জন্য লাভ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় বেসামরিক পদক ‘বঙ্গবিভূষণ’। ২০১১ সালে তিনি ছিলেন ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদ্যাপন কমিটি’র চেয়ারপারসন।

শাঁওলি মিত্র অভিনয়, লেখালেখি ও সমাজকর্মের বাইরে ভয়েজ আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর কন্ঠের জাদুতে বুঁদ হয়েছিলেন ওপারের বাঙালিরা। আকাশবাণী কলকাতাসহ বিভিন্ন রেডিওতে বহু শ্রুতি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকে নানাভাবে নিজেকে নিবেদন করেছেন। একেবারে শেষ জীবনে শাঁওলি মিত্রের লেখা ও অভিনীত একাঙ্ক ‘সীতা' মুুগ্ধ করেছে নাট্যমোদীদের।

অনেক গুণের মানুষটির রাজনৈতিক বোধ ছিল অসাধারণ। বাবা ও মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে যে অধিকার ও সাধারণের জন্য লড়াই করার অঙ্গীকার লাভ করেছেন, শাঁওলি মিত্র সেসব আজীবন বহমান রেখেছেন ভেতরে। দেশের ও রাজ্যের শোষিত, বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের পাশে বারবার থেকেছেন । নামকরা মঞ্চাভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভারত কাঁপানো সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। আন্দোলনগুলোতে পরিবর্তনপন্থীদের অন্যতম ছিলেন তিনি। সিঙ্গুরের আন্দোলনে অনিচ্ছুক কৃষকদের প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন। বামপন্থীদের সরকারের বিরোধিতা করেছেন তিনি। এভাবে রাজনৈতিক মঞ্চে এলেও সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হননি কখনো। কাজ করেছেন তার দল ও নিজের ভুবন নিয়ে। পঞ্চম বৈদিকদের প্রধান ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে অসুস্থ। তবে কেন যে চিকিৎসা নিতে বরাবর অনীহা ছিল। গুরুতর অসুখেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। শাঁওলি মিত্র নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। এই রোববার বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে রোগে ভুগে তার দেহঘড়ি চিরকালের মতো থেমে গিয়েছে। ৭৪ বছর বয়সে জীবন রঙ্গমঞ্চের লড়াই থেকে সরে গেলেন শম্ভু ও তৃপ্তি মিত্রের কিংবদন্তী মেয়ে মেয়ে শাঁওলি মিত্র।

জীবনের শেষ ইচ্ছাতেও বাবাকে অনুসরণ করেছেন তিনি। এই দুপুরে বাবার মতো সিরিটি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্যাবলী হয়েছে। তার আগেই দিনে, দিনে শরীর খারাপ হতে থাকায় একটি শেষ ইচ্ছাপত্র লিখে রেখেছিলেন। সেটি ২০২০ সালের বলে জানা গিয়েছে। শাঁওলি মিত্র তাতে তাঁর অসম্পূণ কাজগুলো শেষ করার গুরুভার প্রদান করেছেন মেয়ে, বিশিষ্ট নাট্যকর্মী ও তৃণমূলের রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষের ওপর। নিজের দাহের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, মারা যাবার পর তার মৃতদেহ যেন কেউ দেখতে না পারেন। শবযাত্রায় কোনো ফুলেরও প্রয়োজন নেই। এমন কোনো অহেতুক বাড়াবাড়িও যেন না হয়। বাবার মতো সাধারণ মানুষের ন্যায়, সবার অগোচরে তিনি শেষযাত্রা করবেন। এমনকী মুখাগ্নি শেষের আগে যেন কেউ জানতেও না পারেন। ফলে পরিবারের কয়েকজন, অর্পিতা ও সহযোদ্ধা, মানসপুত্র সায়ক চক্রবতী ছিলেন তার শেষ যাত্রায়। তারা তাকে শেষ তিনটি বছর পুরোপুরি দেখাশোনা করেছেন। আরো ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। ২৫ বছর আগে-১৯৯৭ সালে বাবার মতো সবার আড়ালে, অনাড়ম্বর হয়ে চলে গেলেন মেয়ে।

জীবনের সব দায়িত্ব থেকে ছুটি নেওয়া শাঁওলি মিত্র জীবনের মঞ্চের মতো চুপিসারে বিদায় নিয়েছেন। তবে রেখে গিয়েছেন অনেক স্মৃতি কাছের ও দূরের মানুষদের জন্য। তাঁকে বাংলা নাট্যজগতের মহীরুহ জানিয়ে শোকবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন “শাঁওলিদির ইচ্ছা অনুসারে তাঁর প্রয়াণের খবর শেষকৃত্যের পর আমাকে দেওয়া হয়। আমি কাছের মানুষ হিসাবে তাঁকে মনে ধরে রাখলাম। বহুদিনের সহকর্মী ও সুহৃদ হিসেবে তিনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন। তার অভিনীত ‘নাথবতী অনাথবৎ’, ‘কথা অমৃত সমান’র মতো সৃষ্টিকর্মগুলো বাংলার লোক মানসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” আরো জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বহুদিনের সহযোগী ছিলেন। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে একসঙ্গে ছিলেন। কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী থাকার সময়ও বিখ্যাত এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলা আকাদেমির সভাপতির দায়িত্বও খুব ভালোভাবে পালন করেছেন-স্মরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জাতীয় কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী টুইটারে শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘মহান নাট্যকার শাঁওলি মিত্র জীবনযুদ্ধ শেষ করে পরলোক গমন করলেন। বাংলা নাট্যজগত এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হারাল। আমরা প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হারালাম। আমি খুব মর্মাহত।’

শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে গভীর শোকে আকুল পর্দা ও মঞ্চের জাতীয় পুরস্কার লাভ করা সুদীপ্তা চক্রবর্তী-‘তার কাছ থেকে অনেক আদর ও ভালবাসা পেয়েছি। কত কী আদর করে খাইয়েছেন। আমি যে তাঁর বন্ধু বিপ্লবকেতন চক্রবর্তীর মেয়ে। অনেককিছু শিখেছি-মঞ্চাভিনয়ের খুঁটিনাটিও। তারপরও ছোট্টবেলা থেকে সারাজীবন আমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখেছি তাঁর অভিনয়। তিনিই আমার নাটক দেখে ফোন করে খুব প্রশংসা করেছেন। আনন্দে কেঁদেছি। বড় হয়ে সিনেমায় একসঙ্গে একটি কাজ করার আর্জি নিয়ে গিয়েছিলাম, করেননি। তাই একসঙ্গে কাজ করার বা একেবারে সামনে থেকে তার অভিনয় দেখার সৌভাগ্য হলো না।’

নাট্যকার, অভিনেতা মণীশ মিত্র স্মৃতি শেয়ার করেছেন-‘ তাকে জীবনের প্রথম একটি নাটক পড়ে শোনাতে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে দেখি, ঠিক আমার পড়ার উপযোগী করে সাজিয়ে রাখা একটি টেবিল। তাতে টেবিল ল্যাম্পও। জলের গেলাসে জল আছে। এরপর যেন পাথরের একটি প্রতিমা, স্থির হয়ে শুনছেন একটি নতুন লেখা নাটক।” তার আরেক স্মৃতিতে অছে-‘নন্দীগ্রামে গাড়ি যাওয়ার পথে বাধা। এক মুহূর্ত ভেবেই শাঁওলিদি একজনের বাইকের পেছনে উঠে বসলেন।’

এই শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে বাংলা নাট্যজগতের প্রধান তারকা শম্ভু মিত্র ও তার স্ত্রী তৃপ্তি মিত্রের রক্ত প্রবাহ থেমে গেল। তাদের হাত ধরে চলা রঙ্গমঞ্চের যুগটি শেষ হলো। তিনি নিজেকে শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের শিল্পমহলে একটি বিশিষ্ট নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একটি ভিন্ন প্রতিভা-যার নিখুঁত অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অবিস্মরণীয় শিক্ষা, নাট্যকলার প্রতি অপরিসীম শ্রম, নিজের গভীর সংযম , তীব্র শৃঙ্খলা। তাতেই শাঁওলি মিত্র ছিলেন একক ও একা।

(ভারতের বিভিন্ন বাংলা সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট অবলম্বনে)

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার