বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

লিমনের মেডিক্যাল হেল্পলাইন-অ্যাডমিট ডক্টরস

একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বললে ভুল হবে অ্যাডমিট ডক্টরসকে। কেননা এতে আছে যেকোনো রোগী ও সচেতন মানুষের জন্য সবই। বিভিন্ন হাসপাতালের বিখ্যাত ও ভালো চিকিৎসকদের সেবা পাওয়ার সবসহ আছে চিকিৎসার সঙ্গে প্রয়োজনীয় রক্ত, অ্যাম্বুলেন্স সেবা। অনেক বছর ধরে লিমন লেগে আছেন এই বিশেষায়িত কাজটির পেছনে। কষ্ট অনেক হয়, আনন্দও তার কম নেই। সে গল্পই শোনালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শরীফ আহমেদ লিমন

শরীফ আহমেদ লিমনের ওয়েবসাইটটির নাম admitdoctors.com। ফেইসবুকে পাবেন medical helpline, admitdoctors/photos/?ref=page_internal-এই ঠিকানায়। তারা পুরোপুরি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করেন। ওয়েবসাইটটিতে সার্চ করলে যেকোনো মানুষ চিকিৎসকদের নামের তালিকা, তার উচ্চতর ডিগ্রি, হাসপাতাল, চেম্বার, বিএমডিসি রেজিষ্টেশন নম্বর, কখন তিনি রোগী দেখেন চেম্বারে, ফি ইত্যাদি জানতে পারবেন। এর বাদেও বিভিন্ন হাসপাতালের ঠিকানা ও ফোন নম্বর, কোন হাসপাতালে কী ধরণের সুবিধা আছে, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের নম্বরসহ নানা ধরণের তথ্য সেবা তারা বিনামূল্যে প্রদান করেন অসহায় মানুষদের। আরো সুবিধা আছে এখানে।

অ্যাডমিট ডক্টরসের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকরা রোগীদের যেকোনো রোগের চিকিৎসা করেন। প্রয়োজনে তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় বাতলে দেন। প্রতিষ্ঠাতা শরীফ আহমেদ লিমন-০১৭২৪৬২৪৮২০ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আইইউবিএটি (ইউনিভাসিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি)’র সাবেক ছাত্র ও মন্ডল গ্রুপের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম-০১৭৪৯০১৫৪৫৭ নম্বরগুলোতে সারাটি দিন থেকে গভীর রাত পযন্ত রক্তের প্রয়োজন, যেকোনো ধরণের চিকিৎসা সেবা এবং জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকেন।

আরো স্বেচ্ছাসেবী আছেন তাদের। তারাও নিজেদের সব কাজ সামলে কাজ করেন প্রিয় প্রতিষ্ঠানে। এমনও অভিজ্ঞতা আছে লিমনের-ফোন পেয়ে রোগীর সমস্যা ও রোগের ধরণ শুনে বলে দিতে পারেন তার ভবিষ্যতে রোগটি কেমন হতে পারে। হুবহু মিলে যায়। এর বাদেও তাদের এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্ট করে দিতে হয়। নিজেরা প্রয়োজনে রক্ত দিতে হয়। রোগীদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়, হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও প্রায়ই করে দেন তারা।

কোনো দু:খ নেই, অভিযোগ নেই কোনো। হাসিমুখে ফিরে আসেন তারা ভালো কাজের তুমুল আনন্দে। অবহেলা, অনাদর, অভিযোগ, অপ্রাপ্তি কোনোকিছুই নেই তাদের। জীবনের এমন বিলীন কে দেখেছেন কবে? প্রায়ই তাদের ফোন করে রোগীকে বিনামূল্যে সেবা দেবার অনুরোধ করে দিতে হয়। কেবল একটি লক্ষ্য এই তরুণ প্রাণগুলোর-মানুষগুলো বেঁচে থাকুক। তাদের রোগগুলো ভালো হয়ে যাক। মানুষের হাসি কতটা দুর্লভ সেটি হাড়ে, হাড়ে-জীবনের অনেক না পাওয়ার ভীড়ে পেয়ে চলেছেন তারা।

লিমনের খুব ইচ্ছে বিসিএসে যাবেন। লেখাপড়ায়ও খুব ভালো তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইআর) থেকে ৩.৫৫ পেয়ে পাশ করেছেন। তবে মানবতার জন্য কাজ করতে এখনো বিসিএসের দেখা পাওয়া তার হয়নি। সেই নিয়ে কোনো অভিযোগ করলেন না। বারবার বললেন, কীভাবে ভালো রাখতে পারবেন প্রাণের প্রতিষ্ঠানটিকে। তবে প্রতিষ্ঠান না বলাই ভালো তাদের অ্যাডমিট ডক্টরসকে। কেননা, অফিস নেই কোনো। নেই কোনো স্থায়ী ঠিকানা।

অস্থায়ী ঠিকানা তাদের মোবাইল ফোন, ফেইসবুকের বিনা পয়সার দ্বার। তাতেই কত প্রাপ্তি। প্রধানত তরুণ চিকিৎসকরা তাদের এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। লেখাপড়া, মেডিক্যালের কঠিন, কঠোর জীবন সামলে তারা মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের আলোময় করে তুলতে পারছেন।

এখন তিন থেকে চারজন চিকিৎসক অনলাইনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছেন। তারা এই বিভাগটির নাম রাখবেন অনলাইন ও ফেইসবুকে ‘বিনা পয়সার রোগী’-বললেন লিমন। তার হাসি খুব সুন্দর। শিশুর সারল্যে কাজ করে চলেছেন অ্যাডমিট ডক্টরসে। ভালোবাসার কাজ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করলে ভোর থেকে রাত ১১টা পযন্ত সাভিসটি দিতে পারব।’ এমন লোক যিনি স্বেচ্ছাসেবাকে সার্ভিস মনে করেন, তার কীভাবে বিসিএস হয়? বুঝেও বোঝেন না লিমন। মাথাব্যথার রোগে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। নিয়মিত নামাজ পড়েন কোনো ভুল না করেই। তবে তিনি কী জানেন-আজ পযন্ত কত মানুষের দোয়া তার পাথেয় হয়েছে? কত মা-বাবা তাকে ভালোবেসে দোয়া করেছেন? সেজন্যই কাজ করে যেতে পারছেন তারা, বেঁচে আছেন অপ্রাপ্তির জীবনে।

বলতে বলতে কত কী বলেছেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে আজ পযন্ত-২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিনা পয়সার রোগীতে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত জন রোগী দেখেছেন তারা। চিকিৎসকরা তাদের মূল অনুসঙ্গ। ফলে তাদের প্রতিষ্ঠান বলতেই ভালো লাগে শরীফ আহমেদ লিমনের। গবে তখন বুক ভরে গেল তার-‘এমন একটি দিনও আমরা এই সেবায় পার করিনি, যেদিন আমাদের কাছে কোনো রোগী আসেননি।’ কারা আসেন? ঢাকার মানুষ তো আকছার আসেন। এই শহরের রোগীরা আসেন অবিশ্বাস থেকে, অনেক চিকিৎসক ও সেবার ভীড়ে কার কাাছে যাবেন-সেই সংশয় থেকে। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা আসেন চিকিৎসা সেবা না পেয়ে, কোনো উপায় না দেখে। এমনকী অ্যাডমিট ডক্টরসের রোগী আসেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে। অনলাইনের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ থেকে ফোনগুলো পান তারা। নজরুল এই তথ্যগুলো দিয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘জানেন ভাই, একসময় আমাদের দেশের ও বিশ্বের মানুষ অনলাইন চিকিৎসা সেবায় অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে যাবেন। দিনে, দিনে মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিশগুলো ভালো হচ্ছে। তাতে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরী চিকিৎসার দিকেই ঝুঁকবেন সবাই।’

আইটির ছাত্রের এমন তথ্য না মেনে উপায় আছে! তার ও লিমনের আশা, একদিন সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত হয়ে যাবে অনলাইন চিকিৎসা সেবা। তাহলে হাসপাতালগুলোর কী হবে সেটি পাঠকের কাছে প্রশ্ন হয়ে থাকলো। তবে তারচেয়ে কাজের কথায় চলে গেলেন লিমন তাদের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থার দিকে চোখ ফিরিয়ে-‘আমাদের দেশে আরো কিছু প্রতিষ্ঠান (আসলে স্বেচ্ছাসেবী, ভালোবাসা থেকেই তারা প্রতিষ্ঠান বলেন। তাতে কাজের গুরুত্ব বাড়ে) অনলাইন চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। কিন্তু সেগুলোর অনেকগুলোই প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাবে এবং মনোযোগ দিতে না পারায় অনলাইনে সেবা দিতে পারছেন না। আবার দুস্প্রাপ্যতার অভাবে দেশের প্রায় কারো কাছেই এই সেবা পৌঁছেনি। বাংলাদেশে অনলাইনে চিকিৎসা সেবা কবে যে গরীবের কাছে পৌঁছাবে?’

লিমন মনে করেন, এই দেশের প্রান্তিক পযায়ের মানুষদের কাছে যারা অনলাইন চেনেন না, কোনো ওয়েবসাইট চালাতে পারেন না, ঠিকানাও তাদের কাছে বিজ্ঞাপন ও সহযোগিতার অভাবে পৌঁছাতে পারে না; তাদের অনলাইনভিত্তিক চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে হলে সেসব নিয়ে কাজ করতে হবে। নোয়াখালীর একজন মানুষ যিনি জীবনেও কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি, করেনও না; তাকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে গেলে, বিনামূল্যের চিকিৎসা তাকে প্রদান করতে হলে প্রয়োজন মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবক। আর চিকিৎসকদের নিয়ে তার কথা হলো-‘এই দেশের অসহায় ও গরীব মানুষরা এবং যাদের প্রয়োজন-তারা সবাই মনে করেন, চিকিৎসক সবাই ভালো। আর মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবকরা হতে পারেন-বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা। তাদের প্রয়োজনে প্রযুক্তিতে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। গ্রামগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের এই কাজে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবার পরামর্শ দিলেন অ্যাডমিট ডক্টরসের প্রাণ। চিকিৎসার সামান্য প্রশিক্ষণও থাকতে হবে তার। যাতে তিনি রোগটি চিনে তাকে সেই ধরণের চিকিৎসকের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে পারেন। ম্যাসেঞ্জার বা মোবাইল ফোনে এই সেবাটি দেওয়া হবে বলে তিনি মধ্যবতী হিসেবে কাজ করবেন রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে।

এমন মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবক দেশে খুবই কম। আড্ডা আর বেড়ানোতে, টিভি আর ফেইসবুকে ব্যস্ত সবাই বলে কারা কাজ করবেন মানুষের জন্য? এমন সমস্যায় ভুগে চলেছেন লিমনের মতো মানুষরা অনেক দিন ধরে। প্রয়োজনে লিফলেট, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্টারিং, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার করে কাজ করা যেতে পারে। তাতে ওরা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবেন।

লিমনরা যেমন স্বেচ্ছাসেবকের অভাবে ভোগেন, তেমনি রোগীরাও ভোগেন। প্রাথমিক উপসগ দেখে বা জেনে কোনো রোগীর পক্ষে রোঝা কঠিন তিনি কোন জটিল রোগে ভুগছেন? তার কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে? মাথাব্যথার উপসর্গে একজন রোগীর পক্ষে বোঝা কঠিন তিনি কী নিউরোলজিষ্ট, নাকি নাক, কান গলা নচেৎ মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া প্রয়োজন? তার কী চোখের চিকিৎসক দেখাতে হবে? এরপর লিমন জানালেন-‘আমরা আমাদের জ্ঞানে এবং স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকের মাধ্যমে অনলাইনে জেনে এমন রোগীরা কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন সেই পরামর্শ দেই। চাইলে আমরা যোগাযোগ করিয়ে দেই। নাহলে তারা আমাদের অনলাইনে যথেষ্ট চিকিৎসকের নাম ও নম্বর আছে তাদের কাছে যেতে পারেন। তাতেও রোগীদের সময় এবং জীবন বাঁচে।’

লিমন তাদের আরো কাজের কথা বলেছেন-‘২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৬ থেকে ১০ হাজার মানুষ গড়ে প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে তথ্য সেবা নিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন যেকোনো অজন দুর্লভ।’ তাই নিজের কষ্টের কথা বলতে নারাজ তারা সবাই। তারপরও লিমন জোরাজুরির পর জানালেন-‘দিনে আমাদের দুই থেকে তিন ঘন্টা তো সময় দিতেই হয়।’ সরকারী একটি ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। সেখানে সকাল ১০টা থেকে রাত সাতটা আটটা পযন্ত সময় দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে সেসব নয় অসুবিধার কথার বললেন এসব-ফান্ড বা আথিক সহযোগিতা পেতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। কেননা এই দেশের মানুষ অন্যের অসহায়ত্বের জন্য কাজ করা সংগঠনের পাশে দাঁড়ানোর চর্চাটি তৈরি করেননি। একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে অফিস খরচ আছে, আরো নানা খরচ হয়। সেজন্য অন্তত ২০ হাজার টাকা মাসে প্রয়োজন। সেটি যোগাতে না পেরে বাসায় থেকে কোনোমতে কাজ করেন তারা। নানা কাজেও দাতার অভাব হয়। অনলাইনে কাজ করেন-এমন ভালো ও অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ পাওয়া যায় না।

তাদের একজন আছেন রুবেল হোসেন, তিনি ওয়েবসাইটের মেমরি ও ব্যান্ডউইথ খরচ দেন। তার একটি আইটি ফাম আছে ডোমেইনবিডি.কম। সেখান থেকেই ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পেরেছেন তারা। এর দুই, তিন বছর পর তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের কাজ ভালো। আমি আইটি খরচ দেব।’ দুটি বছর ধরে অ্যাডমিট ডক্টরসের মেইনটেইনেন্স খরচ রুবেল ভাই দিয়ে চলেছেন বলে তাদের কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। এমনকী তিনি বলেনও না মাসে তার কত খরচ হয়। এত সদয় মানুষ পাওয়া ভার-জানালেন লিমন।

ভবিষ্যতে অনেক পরিকল্পনা আছে লিমনের। এখন তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ফেনীর চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পেরেছেন। কাজ করছেন। অনেক চিকিৎসক ও হাসপাতাল কাজ করছে এখানে। দফায়, দফায় সারা দেশের সব শহরকে অ্যাডমিট ডক্টরসের সেবাতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছেন তারা। ধনী বা গরীব কাউকে আলাদা করে দেখেন না তারা। কেননা রোগ এমনদের আলাদা করতে পারে না। যার প্রয়োজন, তার পাশেই আছেন তারা।

সিরাজগঞ্জে ১৫ শতাংশ জায়গা কিনেছেন শরীফ আহমেদ লিমন অ্যাডমিট ডক্টরসের নামে। বেলকুচি উপজেলাতে আছে এই ভূমি। সেখানে প্রবীণদের জন্য একটি ছোট আকারের হলেও হাসপাতাল চালু করবেন তিনি। প্রান্তিক প্রবীণরা ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর এমন মানুষরা এখানে হাসপাতাল সেবা পাবেন। সবশেষে মানুষের পরামর্শ ও আথিক সাহায্য চাইলেন তিনি। ধন্যবাদ দিলেন খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক ডা. আল আমিনের মতো মানুষদের-যারা সব সময় পরামর্শ, কনসালটেন্সি, চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করেন।

 

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার