লিমনের মেডিক্যাল হেল্পলাইন-অ্যাডমিট ডক্টরস
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট বললে ভুল হবে অ্যাডমিট ডক্টরসকে। কেননা এতে আছে যেকোনো রোগী ও সচেতন মানুষের জন্য সবই। বিভিন্ন হাসপাতালের বিখ্যাত ও ভালো চিকিৎসকদের সেবা পাওয়ার সবসহ আছে চিকিৎসার সঙ্গে প্রয়োজনীয় রক্ত, অ্যাম্বুলেন্স সেবা। অনেক বছর ধরে লিমন লেগে আছেন এই বিশেষায়িত কাজটির পেছনে। কষ্ট অনেক হয়, আনন্দও তার কম নেই। সে গল্পই শোনালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শরীফ আহমেদ লিমন
শরীফ আহমেদ লিমনের ওয়েবসাইটটির নাম admitdoctors.com। ফেইসবুকে পাবেন medical helpline, admitdoctors/photos/?ref=page_internal-এই ঠিকানায়। তারা পুরোপুরি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করেন। ওয়েবসাইটটিতে সার্চ করলে যেকোনো মানুষ চিকিৎসকদের নামের তালিকা, তার উচ্চতর ডিগ্রি, হাসপাতাল, চেম্বার, বিএমডিসি রেজিষ্টেশন নম্বর, কখন তিনি রোগী দেখেন চেম্বারে, ফি ইত্যাদি জানতে পারবেন। এর বাদেও বিভিন্ন হাসপাতালের ঠিকানা ও ফোন নম্বর, কোন হাসপাতালে কী ধরণের সুবিধা আছে, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের নম্বরসহ নানা ধরণের তথ্য সেবা তারা বিনামূল্যে প্রদান করেন অসহায় মানুষদের। আরো সুবিধা আছে এখানে।
অ্যাডমিট ডক্টরসের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকরা রোগীদের যেকোনো রোগের চিকিৎসা করেন। প্রয়োজনে তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় বাতলে দেন। প্রতিষ্ঠাতা শরীফ আহমেদ লিমন-০১৭২৪৬২৪৮২০ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আইইউবিএটি (ইউনিভাসিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি)’র সাবেক ছাত্র ও মন্ডল গ্রুপের আইটি বিভাগের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম-০১৭৪৯০১৫৪৫৭ নম্বরগুলোতে সারাটি দিন থেকে গভীর রাত পযন্ত রক্তের প্রয়োজন, যেকোনো ধরণের চিকিৎসা সেবা এবং জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকেন।
আরো স্বেচ্ছাসেবী আছেন তাদের। তারাও নিজেদের সব কাজ সামলে কাজ করেন প্রিয় প্রতিষ্ঠানে। এমনও অভিজ্ঞতা আছে লিমনের-ফোন পেয়ে রোগীর সমস্যা ও রোগের ধরণ শুনে বলে দিতে পারেন তার ভবিষ্যতে রোগটি কেমন হতে পারে। হুবহু মিলে যায়। এর বাদেও তাদের এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্ট করে দিতে হয়। নিজেরা প্রয়োজনে রক্ত দিতে হয়। রোগীদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়, হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজটিও প্রায়ই করে দেন তারা।
কোনো দু:খ নেই, অভিযোগ নেই কোনো। হাসিমুখে ফিরে আসেন তারা ভালো কাজের তুমুল আনন্দে। অবহেলা, অনাদর, অভিযোগ, অপ্রাপ্তি কোনোকিছুই নেই তাদের। জীবনের এমন বিলীন কে দেখেছেন কবে? প্রায়ই তাদের ফোন করে রোগীকে বিনামূল্যে সেবা দেবার অনুরোধ করে দিতে হয়। কেবল একটি লক্ষ্য এই তরুণ প্রাণগুলোর-মানুষগুলো বেঁচে থাকুক। তাদের রোগগুলো ভালো হয়ে যাক। মানুষের হাসি কতটা দুর্লভ সেটি হাড়ে, হাড়ে-জীবনের অনেক না পাওয়ার ভীড়ে পেয়ে চলেছেন তারা।
লিমনের খুব ইচ্ছে বিসিএসে যাবেন। লেখাপড়ায়ও খুব ভালো তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইআর) থেকে ৩.৫৫ পেয়ে পাশ করেছেন। তবে মানবতার জন্য কাজ করতে এখনো বিসিএসের দেখা পাওয়া তার হয়নি। সেই নিয়ে কোনো অভিযোগ করলেন না। বারবার বললেন, কীভাবে ভালো রাখতে পারবেন প্রাণের প্রতিষ্ঠানটিকে। তবে প্রতিষ্ঠান না বলাই ভালো তাদের অ্যাডমিট ডক্টরসকে। কেননা, অফিস নেই কোনো। নেই কোনো স্থায়ী ঠিকানা।
অস্থায়ী ঠিকানা তাদের মোবাইল ফোন, ফেইসবুকের বিনা পয়সার দ্বার। তাতেই কত প্রাপ্তি। প্রধানত তরুণ চিকিৎসকরা তাদের এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। লেখাপড়া, মেডিক্যালের কঠিন, কঠোর জীবন সামলে তারা মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের আলোময় করে তুলতে পারছেন।
এখন তিন থেকে চারজন চিকিৎসক অনলাইনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছেন। তারা এই বিভাগটির নাম রাখবেন অনলাইন ও ফেইসবুকে ‘বিনা পয়সার রোগী’-বললেন লিমন। তার হাসি খুব সুন্দর। শিশুর সারল্যে কাজ করে চলেছেন অ্যাডমিট ডক্টরসে। ভালোবাসার কাজ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করলে ভোর থেকে রাত ১১টা পযন্ত সাভিসটি দিতে পারব।’ এমন লোক যিনি স্বেচ্ছাসেবাকে সার্ভিস মনে করেন, তার কীভাবে বিসিএস হয়? বুঝেও বোঝেন না লিমন। মাথাব্যথার রোগে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। নিয়মিত নামাজ পড়েন কোনো ভুল না করেই। তবে তিনি কী জানেন-আজ পযন্ত কত মানুষের দোয়া তার পাথেয় হয়েছে? কত মা-বাবা তাকে ভালোবেসে দোয়া করেছেন? সেজন্যই কাজ করে যেতে পারছেন তারা, বেঁচে আছেন অপ্রাপ্তির জীবনে।
বলতে বলতে কত কী বলেছেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে আজ পযন্ত-২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিনা পয়সার রোগীতে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত জন রোগী দেখেছেন তারা। চিকিৎসকরা তাদের মূল অনুসঙ্গ। ফলে তাদের প্রতিষ্ঠান বলতেই ভালো লাগে শরীফ আহমেদ লিমনের। গবে তখন বুক ভরে গেল তার-‘এমন একটি দিনও আমরা এই সেবায় পার করিনি, যেদিন আমাদের কাছে কোনো রোগী আসেননি।’ কারা আসেন? ঢাকার মানুষ তো আকছার আসেন। এই শহরের রোগীরা আসেন অবিশ্বাস থেকে, অনেক চিকিৎসক ও সেবার ভীড়ে কার কাাছে যাবেন-সেই সংশয় থেকে। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা আসেন চিকিৎসা সেবা না পেয়ে, কোনো উপায় না দেখে। এমনকী অ্যাডমিট ডক্টরসের রোগী আসেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে। অনলাইনের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ থেকে ফোনগুলো পান তারা। নজরুল এই তথ্যগুলো দিয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘জানেন ভাই, একসময় আমাদের দেশের ও বিশ্বের মানুষ অনলাইন চিকিৎসা সেবায় অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে যাবেন। দিনে, দিনে মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিশগুলো ভালো হচ্ছে। তাতে প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরী চিকিৎসার দিকেই ঝুঁকবেন সবাই।’
আইটির ছাত্রের এমন তথ্য না মেনে উপায় আছে! তার ও লিমনের আশা, একদিন সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত হয়ে যাবে অনলাইন চিকিৎসা সেবা। তাহলে হাসপাতালগুলোর কী হবে সেটি পাঠকের কাছে প্রশ্ন হয়ে থাকলো। তবে তারচেয়ে কাজের কথায় চলে গেলেন লিমন তাদের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থার দিকে চোখ ফিরিয়ে-‘আমাদের দেশে আরো কিছু প্রতিষ্ঠান (আসলে স্বেচ্ছাসেবী, ভালোবাসা থেকেই তারা প্রতিষ্ঠান বলেন। তাতে কাজের গুরুত্ব বাড়ে) অনলাইন চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। কিন্তু সেগুলোর অনেকগুলোই প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাবে এবং মনোযোগ দিতে না পারায় অনলাইনে সেবা দিতে পারছেন না। আবার দুস্প্রাপ্যতার অভাবে দেশের প্রায় কারো কাছেই এই সেবা পৌঁছেনি। বাংলাদেশে অনলাইনে চিকিৎসা সেবা কবে যে গরীবের কাছে পৌঁছাবে?’
লিমন মনে করেন, এই দেশের প্রান্তিক পযায়ের মানুষদের কাছে যারা অনলাইন চেনেন না, কোনো ওয়েবসাইট চালাতে পারেন না, ঠিকানাও তাদের কাছে বিজ্ঞাপন ও সহযোগিতার অভাবে পৌঁছাতে পারে না; তাদের অনলাইনভিত্তিক চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে হলে সেসব নিয়ে কাজ করতে হবে। নোয়াখালীর একজন মানুষ যিনি জীবনেও কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি, করেনও না; তাকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে গেলে, বিনামূল্যের চিকিৎসা তাকে প্রদান করতে হলে প্রয়োজন মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবক। আর চিকিৎসকদের নিয়ে তার কথা হলো-‘এই দেশের অসহায় ও গরীব মানুষরা এবং যাদের প্রয়োজন-তারা সবাই মনে করেন, চিকিৎসক সবাই ভালো। আর মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবকরা হতে পারেন-বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা। তাদের প্রয়োজনে প্রযুক্তিতে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। গ্রামগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের এই কাজে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবার পরামর্শ দিলেন অ্যাডমিট ডক্টরসের প্রাণ। চিকিৎসার সামান্য প্রশিক্ষণও থাকতে হবে তার। যাতে তিনি রোগটি চিনে তাকে সেই ধরণের চিকিৎসকের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে পারেন। ম্যাসেঞ্জার বা মোবাইল ফোনে এই সেবাটি দেওয়া হবে বলে তিনি মধ্যবতী হিসেবে কাজ করবেন রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে।
এমন মধ্যবতী স্বেচ্ছাসেবক দেশে খুবই কম। আড্ডা আর বেড়ানোতে, টিভি আর ফেইসবুকে ব্যস্ত সবাই বলে কারা কাজ করবেন মানুষের জন্য? এমন সমস্যায় ভুগে চলেছেন লিমনের মতো মানুষরা অনেক দিন ধরে। প্রয়োজনে লিফলেট, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্টারিং, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার করে কাজ করা যেতে পারে। তাতে ওরা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবেন।
লিমনরা যেমন স্বেচ্ছাসেবকের অভাবে ভোগেন, তেমনি রোগীরাও ভোগেন। প্রাথমিক উপসগ দেখে বা জেনে কোনো রোগীর পক্ষে রোঝা কঠিন তিনি কোন জটিল রোগে ভুগছেন? তার কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে? মাথাব্যথার উপসর্গে একজন রোগীর পক্ষে বোঝা কঠিন তিনি কী নিউরোলজিষ্ট, নাকি নাক, কান গলা নচেৎ মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া প্রয়োজন? তার কী চোখের চিকিৎসক দেখাতে হবে? এরপর লিমন জানালেন-‘আমরা আমাদের জ্ঞানে এবং স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকের মাধ্যমে অনলাইনে জেনে এমন রোগীরা কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন সেই পরামর্শ দেই। চাইলে আমরা যোগাযোগ করিয়ে দেই। নাহলে তারা আমাদের অনলাইনে যথেষ্ট চিকিৎসকের নাম ও নম্বর আছে তাদের কাছে যেতে পারেন। তাতেও রোগীদের সময় এবং জীবন বাঁচে।’
লিমন তাদের আরো কাজের কথা বলেছেন-‘২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৬ থেকে ১০ হাজার মানুষ গড়ে প্রতি মাসে আমাদের কাছ থেকে তথ্য সেবা নিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন যেকোনো অজন দুর্লভ।’ তাই নিজের কষ্টের কথা বলতে নারাজ তারা সবাই। তারপরও লিমন জোরাজুরির পর জানালেন-‘দিনে আমাদের দুই থেকে তিন ঘন্টা তো সময় দিতেই হয়।’ সরকারী একটি ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। সেখানে সকাল ১০টা থেকে রাত সাতটা আটটা পযন্ত সময় দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে সেসব নয় অসুবিধার কথার বললেন এসব-ফান্ড বা আথিক সহযোগিতা পেতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। কেননা এই দেশের মানুষ অন্যের অসহায়ত্বের জন্য কাজ করা সংগঠনের পাশে দাঁড়ানোর চর্চাটি তৈরি করেননি। একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে অফিস খরচ আছে, আরো নানা খরচ হয়। সেজন্য অন্তত ২০ হাজার টাকা মাসে প্রয়োজন। সেটি যোগাতে না পেরে বাসায় থেকে কোনোমতে কাজ করেন তারা। নানা কাজেও দাতার অভাব হয়। অনলাইনে কাজ করেন-এমন ভালো ও অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ পাওয়া যায় না।
তাদের একজন আছেন রুবেল হোসেন, তিনি ওয়েবসাইটের মেমরি ও ব্যান্ডউইথ খরচ দেন। তার একটি আইটি ফাম আছে ডোমেইনবিডি.কম। সেখান থেকেই ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পেরেছেন তারা। এর দুই, তিন বছর পর তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের কাজ ভালো। আমি আইটি খরচ দেব।’ দুটি বছর ধরে অ্যাডমিট ডক্টরসের মেইনটেইনেন্স খরচ রুবেল ভাই দিয়ে চলেছেন বলে তাদের কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। এমনকী তিনি বলেনও না মাসে তার কত খরচ হয়। এত সদয় মানুষ পাওয়া ভার-জানালেন লিমন।
ভবিষ্যতে অনেক পরিকল্পনা আছে লিমনের। এখন তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ফেনীর চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পেরেছেন। কাজ করছেন। অনেক চিকিৎসক ও হাসপাতাল কাজ করছে এখানে। দফায়, দফায় সারা দেশের সব শহরকে অ্যাডমিট ডক্টরসের সেবাতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছেন তারা। ধনী বা গরীব কাউকে আলাদা করে দেখেন না তারা। কেননা রোগ এমনদের আলাদা করতে পারে না। যার প্রয়োজন, তার পাশেই আছেন তারা।
সিরাজগঞ্জে ১৫ শতাংশ জায়গা কিনেছেন শরীফ আহমেদ লিমন অ্যাডমিট ডক্টরসের নামে। বেলকুচি উপজেলাতে আছে এই ভূমি। সেখানে প্রবীণদের জন্য একটি ছোট আকারের হলেও হাসপাতাল চালু করবেন তিনি। প্রান্তিক প্রবীণরা ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর এমন মানুষরা এখানে হাসপাতাল সেবা পাবেন। সবশেষে মানুষের পরামর্শ ও আথিক সাহায্য চাইলেন তিনি। ধন্যবাদ দিলেন খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক ডা. আল আমিনের মতো মানুষদের-যারা সব সময় পরামর্শ, কনসালটেন্সি, চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করেন।