মাচায় দুলছে চাষির স্বপ্ন
শিমের বেগুনি রঙ্গের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। চলতি রবি মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় শিমের মাচায় দুলছে চাষির স্বপ্ন। রঙিন ফুল আর সবুজ ফলের সঙ্গে চাষির মুখ আজ উজ্জ্বল।
মৌসুম শুরুর আগেই শিম বাগানের মাচা মনোরম দৃশ্যে ভরে আছে। দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এবং উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নে বালুপাড়া গ্রামে আগাম শিম চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন ওই এলাকার কৃষকরা।
শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। কয়েক বছর ধরে এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিনদিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। আগাম বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
কথা হয় পৌর শহরের মাহমুদপুর গ্রামের শিম চাষি হাফিজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৯ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি, এতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত শিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আশা করছি, এবার শিম বিক্রি করে লাভবান হতে পারব। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শিমের ভাল ফলন হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে দাম ভাল থাকায় এবার আগাম জাতের শিম চাষ করেছি।
একই মাঠে কথা হয় আরেক শিম চাষি হবিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের আগাম সবজি চাষ করে থাকি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর ২০ শতক জমিতে শিম চাষ করছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য জিনিসের দাম অনেক বেশি। যে কারণে সবজি চাষে খরচও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। তবে আশা করছি এবার ভালো ফলন পাব, দামও ভালো পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলার মাটি খুবই উরবর এবং চাষ উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ সার্বিক পরার্মশ দিচ্ছে। রবির চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরএ/