বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আলোর মানুষ লাইব্রেরিয়ান জসিম উদ্দিন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামে জন্ম মো. জসিম উদ্দিনের। তার বাবা মো. আব্দুল মোতালেব শেখ ও মা মোছা. আমেনা খাতুন। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। তৃতীয় শ্রেণির বই হাতে নিয়েই সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই অগ্রজ।

বাবা আর না ফেরায় পুঁথিগত বিদ্যার বা স্কুলের ইতি সেখানেই টানতে হয় জসিম উদ্দিনের। ওই বয়স থেকেই কাঠমিস্ত্রির কাজ শিখতে শুরু করেন। এখনো পেশাগতভাবে তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছেন নানা জায়গায়- ঢাকা, চট্টগ্রাম এমনকি ভারতেও। যখন কাঠের কাজ থাকত না তখন অন্য কাজ করতেন। এমনকি রিকশাও চালাতেন।

জীবন ও জীবিকার এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েও জসিম উদ্দিন নিজের মতো নিজেকে শিক্ষা দিয়েছেন। অবসর সময়ে নানা ধরনের বই-পত্রিকা পড়তেন, নিজের মতো লেখালেখিও করতেন। নিজেকে বাস্তব শিক্ষা ও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন বছরের পর বছর ধরে এবং মনে প্রাণে লালন করেছেন অদম্য এক আলোর স্বপ্ন। একটা উন্মুক্ত পাঠাগার বা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন নিজ গ্রামে, যেটা সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত।

বলতে গেলে কৈশোরবেলা থেকেই এই স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন জসিম। তিনি নিজেকে যেমন উন্মোচন করেছেন ঠিক তেমনই সবাইকে জ্ঞানের আলোয় উন্মোচিত করতে চেয়েছিলেন। তার এই স্বপ্ন অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর ২০১৫ সালে নিজ মায়ের ভিটার তিন শতাংশ জায়গার এক শতাংশের উপরে নির্মাণ করেন টিনের ছাউনি ও কংক্রিটের মেঝে দিয়েই শুরু 'খোসকা কমিউনিটি লাইব্রেরি'।

বর্তমানে লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৫০০ এর বেশি। পাঠক সংখ্যা প্রায় ৪৭০ জন। নিয়মিত পাঠক সংখ্যা দুইশ'র বেশি। জসিম উদ্দিন যে শুধুমাত্র বই পুস্তক নিয়ে কাজ করছেন তা নয়। তিনি কোমলমতি নতুন প্রজন্মদের নানাভাবে বিভিন্ন উপায়ে বৈশ্বিক জ্ঞান চর্চা, গান বাজনা, লেখালেখি, প্রযুক্তি ও তার স্বপ্নের মতোই গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, যেমনটা তিনি তার আপন কৈশোর বেলায় পাননি। তাদের শুধুমাত্র স্কুলের পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার দিকে তিনি নিরলসভাবে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন।

জসিম উদ্দিনের স্বপ্ন, তিনি এখানে একটি আধুনিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে চান। যেখানে বাংলা ভাষায় বৈশ্বিক জ্ঞান চর্চার এক ভান্ডার থাকবে, সব ধরনের বই থাকবে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ধরনের অগ্রযাত্রায় পদচারণা করতে চান ও অংশগ্রহণ করতে চান তিনি। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে বসবাস করে এমন ভাবনা ভাবা এবং তাকে স্বপ্ন করে সেটার বাস্তবায়ন করা সত্যিই বিরল।

তিনি গ্রাম্য পরিস্থিতি নিয়ে জানান, গ্রামের অনেকেই বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে তিনি প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি কম্পিউটার, ডিভাইস ও সফটওয়্যার বিষয়ক বই নিয়ে কথা বলেন। তার ইচ্ছা, অন্তত কিছু কম্পিউটার থাকবে তার পাঠাগারে, যেখান থেকে শিক্ষার্থী ও পাঠকরা কম্পিউটারের প্রাথমিক খুঁটিনাটি ধারণা পাবেন। এমনটাই স্বপ্ন তার। একটা আধুনিক পাঠাগার যেখানে সব ধরনের বই থাকবে, প্রযুক্তি থাকবে এবং সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে।

জসিম উদ্দিনের মায়ের ভিটায় দুটি টিনের ঘর, একটিতে তিনি ও তার পরিবার বসবাস করে এবং অন্যটি পাঠাগার। নিজের পরিবার ও জীবন-জীবিকার কথা তুলতেই তিনি বলেন, সমস্যা সবারই থাকে, হোক সেটা আর্থিক সমস্যা অথবা জাগতিক, কিন্তু মানুষের উচিৎ তার স্বপ্নে অবিচল থাকা।

কথা প্রসঙ্গে তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিখ্যাত উক্তিটি আওড়ান, 'তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব।'

জসিম উদ্দিনের দর্শন ও চিন্তাভাবনা দূরদৃষ্টি ও দূরদর্শী, যেটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নতুন আলোর মুখ দেখাবে এই কামনা করি। তিনি এখনো কাঠমিস্ত্রি হিসেবেই জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতি শুক্রবার ছুটি থাকে, সেদিন তিনি নানারকম উদ্বুদ্ধমূলক কাজ করেন পাঠাগারে। গানের প্রতিযোগিতা, ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা এবং পাঠ্যপুস্তক সম্বন্ধীয় সব ধরনের রুচিশীল ও মানসম্মত আয়োজন করে থাকেন। তিনি জানান, এতে তিনি তৃপ্তি বোধ করেন এবং নতুন এক শিক্ষিত আলোকিত প্রজন্মের স্বপ্ন দেখেন।

লাইব্রেরিয়ান মো. জসিম উদ্দিনের এখনকার স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা সুগঠিত আধুনিক এবং নিজ জমির উপর সুন্দর করে সম্পূর্ণ কংক্রিটের লাইব্রেরি তৈরি করতে চান। সরকারি-বেসরকারিভাবে সামান্য অনুদান পেলেও তিনি তার স্বপ্নকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে সবার সুদৃষ্টি ও শুভকামনার প্রত্যাশা করেন।

তার স্বরচিত পাঠাগার নিয়ে লেখা কবিতাটি হলো-

পাঠাগার
মো. জসিম উদ্দীন

পাড়া-মহল্লায় প্রতি বাড়ি-ঘরে পাঠাগার গড়তে চাই,
বিশ্বমানব আলোকিত জীবনে যার বিকল্প নাই!
পাঠাগারেই এনেছে সভ্যতা আজ অসভ্য করেছে দূর,
দুর্ভাগ্য আজ পাঠাগার ছাড়া তুলছি ভিন্ন সুর!

রাষ্ট্রীয়-পারিবারিক উৎসবে যেন বই'ই হবে উপহার,
ভুরিভোজ খেয়ে নগদ অর্থ কাম্য না অলংকার!
বই রাখব প্রতি রুমে র‍্যাকে রাখব হাতের কাছে,
আলসে নয় জ্ঞানাস্বাদনে রইব নাতো পড়ে পাছে।

কবি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, প্লেটো, মাইকেল মধুসূদন দত্ত,
মহামানব মনীষীর বাণী করব আমরা রপ্ত।
কেউই মরেনি এসেছে তারা আমাদের যাচ্ছে ডেকে,
এসো নবীন দল জ্ঞানচর্চা করি পাঠাগারের ওই র‍্যাকে।

এসেছে গুণী কবি বিজ্ঞানী জ্ঞান সাগরে জাহাজ বেয়ে,
নোঙর করেছে পাঠাগার মাঝে আমরা উঠব যেয়ে।

এসজি

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া