সিলেটের তারকা ‘অনন্যা’
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় অনন্যার গানের শিক্ষকের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়ি। সুর, তাল, লয়ে অনন্য ‘অনন্যা তালুকদার জেনি’। ওস্তাদজীর কাছে গান শেখার সময় মাঝে, মাঝে গানের তাল কেটে গেলেও সেকেন্ডের মধ্যে মেধাবী ও মনোযোগী ছাত্রীটি তাল আবার পুনরুদ্ধার করতে পারত তার সাহায্যে। এভাবেই তো গাইতে গাইতে, গায়েন হয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রীটি। আর গানেই থেমে থাকেননি। বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি, অভিনয় এবং নৃত্যেও পটু-গুণী শিল্পী। পড়ালেখাও পিছিয়ে নেই। সিলেটের বিখ্যাত জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিদ্যালয় শাখা থেকে এসএসসিতে জিপিএ ‘৫’ পেয়েছেন। জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতেও বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্রীটি জিপিএ ‘৫’।
অনন্যা তালুকদার জেনি পড়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল অ্যান্ড বায়ো-মেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অত্যন্ত মেধাবী মুখ।
সিলেটে প্রথমবারের মতো সকল ক্যাম্পাসের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘সিলেটের তারকা ২০১৮’ আয়োজন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খলিলুর রহমান ফয়সালের স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন ‘কাকতাড়ুয়া’। গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, ফিল্ম এবং শিল্পের বিভিন্ন শাখা নিয়ে প্রতিযোগিতাটি হয়েছে। কাকতাড়ুয়ার সেবার ‘সিলেটের সেরা তারকা’ নির্বাচিত হয়েছেন ‘অনন্যা’। একশ প্রতিযোগী ছিলেন। সেরা ১৩ জন ফাইনাল রাউন্ডগুলোতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছেন তুমুল মেধার স্বাক্ষর রেখে। সেরাদের সেরা হয়েছেন ‘অনন্যা তালুকদার জেনি’। নানা গুণের পাশাপাশি ফয়সালের কারণে তিনি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও যুক্ত। তার ‘কাকতাড়ুয়া’, ‘বাঁধন’, ‘সিলেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’, সিলেটের ‘লুব্ধক থিয়েটার’, ‘প্রাধিকার’, ‘সিলেট এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব, ‘কৃষ্ণচূড়া’, ‘মেট্রোনোম মিউজিক্যাল ক্লাব’র সঙ্গে কাজ করেছেন গুণবতী অনন্যা। তিনি সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির নামকরা নিয়মিত শিল্পী। শিল্পের বিভিন্ন শাখায় পারদর্শী।
লেখা ও ছবি : খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএফএস।